-->
শিরোনাম
ধোপে টেকেনি পদ্মা সেতু নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র

শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে স্বপ্নের বিজয়

# যেভাবে সরে যায় বিশ্ব ব্যাংক # বাধ্যতামূলক ছুটিতে যান প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা আবুল হোসেনের পদত্যাগ # ড. মুহম্মদ ইউনূসের তদবির # সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা # কল্পিত দুর্নীতির গল্প ও তার অবসান # জল দেবতার তুষ্টিতে লাগবে মানুষের মাথা

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ
শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে স্বপ্নের বিজয়

এক সময় যে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো; দেখতে দেখতে সেই দেশের বয়স ৫০ পেরিয়েছে। এখন আর কেউ বাংলাদেশকে এ কথা বলার ধৃষ্টতা দেখান না। পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে অনেক প্রাপ্তি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী থাকা সেই দেশের মাথায় আজ যুক্ত হচ্ছে আর একটি হিরে বসানো সোনার মুকুট। কিন্তু মুকুট অর্জন করা সহজ ছিল না। এর পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিল ষড়যন্ত্রের কালো ছায়া। ছিল সেতু বানচালের নীলনকশা। যদিও এর কোনোটাই ধোপে টেকেনি। সব পঙ্কিলতা দূর করে পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে বর্ণিল সেতু। কালের সাক্ষী হয়ে আজ থেকে যার পথচলা শুরু।

বাঙালির গৌরবের প্রতীক পদ্মা সেতু আজ সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। একটু পেছনে ফিরলে দেখা যায় এ সেতু ঘিরে ছিল নানা ষড়যন্ত্র। ছিল দুর্নীতির কল্পিত অভিযোগ। গত ১২ জুন পদ্মা সেতু পারে সেসব ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, দুর্নীতিচেষ্টার ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে বিশ্ব ব্যাংকের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া, রাজনৈতিক বাদানুবাদ, গুজব, জটিল রকমের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে নিজস্ব অর্থায়নে বাঙালির গর্বের পদ্মা সেতু নির্মাণের একক কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার হাতেই ২১ বছর আগে ২০০১ সালে পদ্মা সেতুর প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল।

২০০৯ সালের শুরুতে সরকার গঠনের পর শুরু হয় সেতু তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনা। শুরুতে দাতাদের অর্থে সেতু তৈরির পরিকল্পনা করা হলেও বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ তোলার পর নানা নাটকীয়তা শেষে নিজ অর্থে সেতুর কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। কাঠখড়, ঘাত-প্রতিঘাত, গুজব, আরো কত বাধা- সব পেরিয়ে প্রমত্ত পদ্মার বুকে গৌবের প্রতীক হয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু।

এই নদীতে সেতু তৈরির স্বপ্ন স্বাধীনতার পরপরই। তবে সে সময়ের বঙ্গবন্ধু সরকারের আর্থিক সঙ্গতি ছিল না। তাকে হত্যার পর একেবারেই ধামাচাপা পড়ে যায় স্বপ্ন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের আগে ইশতেহারে সেতুটি নির্মাণের অঙ্গীকার করে আওয়ামী লীগ। ২০০৯ সালের শুরুতে সরকার গঠনের পর শুরু হয় সেতু তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনা। শুরুতে দাতাদের অর্থে সেতু তৈরির পরিকল্পনা করা হলেও বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ তোলার পর নানা নাটকীয়তা শেষে নিজ অর্থে সেতুর কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে।

যেভাবে সরে যায় বিশ্বব্যাংক : পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সাথে চুক্তি হয় ২০১১ সালে। সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর প্রস্তুতি যখন চূড়ান্ত, ঠিক সে সময়ে ২০১২ সালের জুনে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। একই পথ অনুসরণ করে প্রকল্প থেকে একে একে সরে দাঁড়ায় এডিবি, জাইকা ও আইডিবি। পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘দুর্নীতিচেষ্টার’ কল্পিত এক অভিযোগ এনেছিল বিশ্বব্যাংক। তবে সেই অভিযোগ প্রমাণ হয়নি কখনোই, এমনকি ২০১৭ সালে কানাডার একটি আদালতের রায়ে বলা হয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল ভিত্তিহীন। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ নিয়ে কানাডার আদালত বলেছিল, গুজব বা অনুমানকে সমর্থন করার মতো কোনো তথ্য-প্রমাণ হাজির করা হয়নি। যেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, তা ‘ধারণানির্ভর’। যেসব আড়িপাতা তথ্য হাজির করা হয়েছে তা হাস্যকর। এর ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। বিদেশি সংস্থাগুলো সরে যাওয়ার ঘোষণায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে পুরো প্রকল্প।

বাধ্যতামূলক ছুটিতে যান প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা আবুল হোসেনের পদত্যাগ : পদ্মা সেতুবিরোধী নানা মহলের সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে। সে সময়ে সংবাদমাধ্যমে ড. মসিউর রহমান আর্তি জানিয়ে বলেছিলেন, আপনাদের কাছে আমি সহানুভূতি চাই। আপনারা আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। শেষমেশ বাধ্যতামূলক ছুটিতে যেতে হয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টাকে, দেড় মাস জেল খাটেন সেতু সচিব, ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি পদত্যাগই করতে হয় তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে। দফায় দফায় তাদের হাজিরা দিতে হয় দুদকে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা : ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ছাত্রদলের এক সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন, পদ্মা সেতু এই আওয়ামী লীগের আমলে হবে না। জোড়াতালি দিয়ে বানানো সেতুতে কেউ উঠবেও না। এরপর একের পর এক পদ্মা সেতুবিরোধী মন্তব্য আসতে থাকে বিএনপি নেতাদের পক্ষ থেকে। রাজনৈতিক বিরোধিতার সুরে তাল মিলিয়ে ‘কান নিয়ে গেছে চিলে’ এমন রব তোলেন সুশীল সমাজের কয়েকজনও। এর আগে ২০১২ সালে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির জন্য বিশ^ব্যাংক সরে দাঁড়ায়।

ড. মুহম্মদ ইউনূসের তদবির ও হিলারির ফোন : গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ হারিয়ে ক্ষুব্ধ নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের তদবিরের কারণেই দুর্নীতিচেষ্টার মিথ্যে অভিযোগ এনে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে বিশ^ব্যাংক সরে দাঁড়িয়েছিল। উন্নয়নমূলক এ কাজটা যাতে না হতে পারে সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে ইউনূস পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছিল আমাদের বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ। তারা টকশো, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে একইভাবে কণ্ঠ মিলিয়েছিল।

 

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পদ্মা সেতুতে টাকা দিতে বিশ্বব্যাংক সব সময় রাজি ছিল। কিন্তু ইউনূসের কারণে সেটি হয়নি। বিশ্বব্যাংক যেন টাকা না দেয়, সে জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে সংস্থাটিকে চাপ দিয়েছিলেন। বহির্বিশ্বে সরকারের বিরুদ্ধে তিনি অনবরত অভিযোগ করে যাওয়ায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। অবাক লাগে, একজন নোবেলজয়ী কী করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মেখ হাসিনা গত ৮ জুন রাতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বলেন, আমরা যখন সেতুর উদ্যোগ নিই তখন এডিবিকে নিয়েছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক এসে ঢোকে। কিন্তু আমাদের দেশে মানুষ কতটা স্বার্থপর হয়, একটুও দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ থাকে না। আমাদের দেশে অনেক ব্যাংক আছে, সেখানে অনেক এমডি আছেন। গ্রামীণ ব্যাংক একটা ব্যাংক তার যিনি এমডি তিনি হচ্ছেন ড. ইউনূস। আইনমতো ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এমডি থাকা যায়। কিন্তু বেআইনিভাবে ৭১ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি এমডি ছিলেন। এ পদে থাকার জন্য তিনি হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে আমাকে ফোন করিয়েছেন, টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ারকে দিয়ে ফোন করিয়েছেন। ইউনূসকে ব্যাংকের এমডি রাখতে হবে। নোবেল পুরস্কার যে পায় সে এমডি পদের জন্য এত লালায়িত কেন। গ্রামীণ ব্যাংককে ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম যাতে টিকে থাকে। একজন এমডি এত টাকার মালিক হন কীভাবে এবং ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে এত টাকা দেন কীভাবে, কার টাকা দেন, কীভাবে দিলেন সেটা তো কেউ খোঁজ করল না! যারা আমাদের পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির কথা বলল। আমি, আমার বোন রেহানা, আমার ছেলে, মেয়ে কেউ বাদ যায়নি। তাদের প্রতি অকথ্য অত্যাচার, মসিউর রহমান সাহেব, আমাদের শফিক, মোশারফ, মন্ত্রী আবুল হোসেন এদের ওপর যে জুলুম তারা করেছে...! যখন এই পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিল একটা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে, তখন আমরা বললাম যে আমরা নিজের টাকায় করব। অনেকেই ভেবেছিল এটা অস্বাভাবিক। কিন্তু আমি বলেছিলাম, না আমরা পারব, আত্মবিশ্বাস ছিল।

কল্পিত দুর্নীতির গল্প ও তার অবসান : হেলাল নামে এক ব্যক্তির ভুয়া চিঠির ভিত্তিতে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের প্রথম অভিযোগ আনে বিশ^ব্যাংক। হেলাল জানান, তিনি চায়না রেলওয়ে ফিফটি কোম্পানির বাংলাদেশি এজেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির প্যাড ব্যবহার করে হেলাল বিশ্বব্যাংককে জানান, তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের প্রতিষ্ঠান সাকো ইন্টারন্যাশনালকে লোকাল এজেন্ট নিয়োগ দিলে তারা চায়না কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেবে। আসলে হেলালের চিঠিটিও ছিল জাল। হেলালের চিঠি দুদকের কাছে পাঠায় বিশ্বব্যাংক। দুদকের অনুসন্ধানে ওঠে আসে চায়না রেলওয়ে ফিফটি কোম্পানি এ ধরনের কোনো চিঠি দেয়নি বিশ্বব্যাংককে। এরপর থেকেই পলাতক হেলাল। এরপর এসএনসি লাভালিন কর্মকর্তা রমেশ সাহার কথিত ডায়েরিতে ঘুষের হিসেব পাওয়া যায়। সেখানে উল্লেখ ছিল দুর্নীতির টাকার অংশ কে কত পাবেন। অথচ এ ডায়েরির কোনো অস্তিত্বই মেলেনি।

দুর্নীতির তদন্তে ২০১২ সালে দুই দফা ঢাকায় আসেন বিশ্বব্যাংকের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠক করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে। বৈঠকে হেলালের চিঠি এবং এসএনসি লাভালিন কর্মকর্তা রমেশ সাহার ডায়েরি নিয়ে আলোচনা হয়। বিশ্বব্যাংক দাবি করে, রমেশ সাহার নোটে পরামর্শক নিয়োগ নিয়ে ঘুষ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ আছে। নামের আদ্যাক্ষরসংবলিত ১০ জনের একটি তালিকা কানাডা পুলিশ উদ্ধার করে বলে দাবি করা হয়। কানাডায় গিয়েও এমন ডায়েরির কোনো অস্তিত্ব মেলেনি। তারা একবার বলে ডায়েরি, একবার বলে নোটপ্যাড, আরেকবার বলে কাগজ। এটা পাওয়া গেছে তার মধ্যে। কিন্তু কোনো কিছুর খোঁজ মেলেনি। দেশি-বিদেশি চাপ উপেক্ষা করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে দুদক। এরপর রায় আসে কানাডার আদালত থেকে। যেখানে বলা হয় দুর্নীতির অভিযোগ গালগল্প ছাড়া কিছুই নয়। এভাবেই কল্পিত গল্পের অবসান।

জল দেবতার তুষ্টিতে সেতুতে মানুষের মাথা লাগার গুজব : জল দেবতাকে তুষ্ট করতে সেতু তৈরি করতে শিশু-কিশোরের মাথা লাগে, রক্ত লাগে এই ধরনের গুজব বহু প্রাচীন। নিন্দুকেরা কোনোভাবে না পেরে পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে এমন গুজব রটান। গুজবটি দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে জীবন দিতে হয় হতভাগ্য রেনুর মতো নারী। বাড্ডার একটি স্কুলে তাকে পিটিয়ে মারা হয়। তার পরিবার মনে করে, পদ্মা সেতুর ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে তাদের রেনু। একইভাবে মারা যান সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে এক নারী। একই ইস্যুতে কেরানিগঞ্জে একজন প্রাণ দেন। নেত্রকোনায় এক যুবকের ব্যাগে শিশুর মাথা পাওয়া যায়। সারা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পরে এর বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া একটি গুজবের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, পদ্মা সেতু নির্মাণকাজে মানুষের মাথা লাগবে বলে একটি মহল সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

নিজেদের অর্থে প্রধানমন্ত্রীর সেতু তৈরির ঘোষণা : নানা অভিযোগ ষড়যন্ত্র চাপ উপেক্ষা করে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন, প্রয়োজনে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু হবে। তিনি বলেন, কোনো দুর্নীতি করা হয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সে কথা কেউ কানে তোলেনি। বারবার দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করার পরও বিদেশি কিছু এজেন্ট ও বিএনপি মানুষকে ভুল বোঝাতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগের সামনে মাথা নত করবে না বাংলাদেশ। মূলত সেই থেকেই পদ্মা সেতু নিয়ে সংগ্রাম শুরু। সেতু উদ্বোধনের মধ্যে আজ সেই বিজয়ী পতকা উড়ছে। সেতু ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন ২১ জেলার কোটি কোটি মানুষ।

মন্তব্য

Beta version