স্বপ্নপূরণের মাহেন্দ্রক্ষণ আজ

রাজন ভট্টাচার্য
স্বপ্নপূরণের মাহেন্দ্রক্ষণ আজ

সামনে ছিল বহু বাধা। নানামুখী চ্যালেঞ্জ, জল্পনা-কল্পনা আর ষড়যন্ত্র। সব প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন থেকে দৃশ্যমান, যান চলাচলের উপযোগী স্বপ্নের পদ্মা সেতু রাতের আঁধার ভেদ করে এখন আলোকিত। আজই উদ্বোধন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। অবসান ঘটবে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার যুগ-যুগান্তের ভোগান্তির। জমকালো আয়োজনে সেতু খুলে দেওয়ার অপেক্ষায় দেশের মানুষ। আগামীকাল রোববার ভোর ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ এ সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণের ২৯টি জেলার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন। আন্তর্জাতিক যোগাযোগে পা রাখবে বাংলাদেশ। বাড়বে কর্মসংস্থান। বিকাশ ঘটবে পর্যটনের। উন্নত দেশের আদলে নির্মাণ করা হবে আশপাশের নতুন নতুন পরিকল্পিত শহর। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে ১.৫ শতাংশ।

দেশে যোগাযোগ খাতের ৬ কিলোমিটারের বেশি সর্ববৃহৎ এ প্রকল্প পদ্মার বুকে সেতু বাঁধল রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলকে। দেশের দীর্ঘতম এ সেতুতে গাড়ি ও রেল দুটিই চলবে। নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর, শেষ হলো ৭ বছরে। আগামী বছরের জুন মাস থেকে সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে চলতে পারবে ৭৫ হাজার যানবাহন। সেতু পারাপারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় করার ব্যবস্থা যেমন থাকছে, তেমনি ম্যানুয়ালিও টোল দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশে হেলিকপ্টারে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০টায় মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচনের পর টোল দিয়ে সেতু পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তে যাবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সেখানেও পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন করবেন। পরে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ীর জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘদিন পর এরকম জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে। সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার দুপুর থেকেই দূরদূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। মূলত প্রধানমন্ত্রীকে দেখা ও সেতু উদ্বোধনের উৎসবে নিজেকে যুক্ত রাখার ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে অনেকে আগেভাগেই চলে আসেন সভাস্থলে। এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বড় বড় পর্দায় দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী আয়োজনের ব্যস্ততার ফাঁকে হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী গাড়ির মহড়া। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে গাড়িবহরটিকে মাওয়া প্রান্তের দিকে আসতে দেখা যায়। শনিবার সেতু উদ্বোধনের পর এ বহরে করেই টোলপ্লাজায় টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেশকিছু লঞ্চ নিয়ে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে একটি নৌ মহড়াও হয়েছে। এ সময় লঞ্চগুলোয় উড়ছিল লাল-সবুজের পতাকা। আজ যখন প্রধানমন্ত্রী সেতু পাড়ি দেবেন, তখন পদ্মার জলে দেখা যাবে এ মহড়া। আকাশেও ছিল জাতীয় পতাকাশোভিত সারি সারি হেলিকপ্টার। উড়তে দেখা যায় যুদ্ধবিমান। সবই শনিবারের (আজ) জমকালো উদ্বোধনী আয়োজনের প্রস্তুতি বলে জানা গেছে। ২০০৫ সালে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, সেতু দিয়ে ২০২২ সালে দিনে ২৩ হাজার ৯৫৪টি যানবাহন চলবে। আর ২০৩০ সালে তা বেড়ে ৩৬ হাজার ৭৮৫টি হবে। চার লেনের এ সেতু দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার যানবাহন চলতে পারবে বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়। পদ্মা সেতু দিয়ে দিনে ২৪ হাজার যানবাহন চলাচল করলে এর সবই রাজধানীকে স্পর্শ করবে। পদ্মা সেতু থেকে কেরানীগঞ্জ এসে রাজধানীতে প্রবেশের দুটি পথ তৈরি হয়েছে। এগুলো হচ্ছে পোস্তগোলা ও বাবুবাজার সেতু। ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট ও উত্তরবঙ্গের যানবাহন পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াত করতে হলে ঢাকার ওপর দিয়ে যেতে হবে। তবে ঢাকার ওপর যানবাহনের চাপ কমাতে বিকল্প সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

সাজ সাজ রব : পদ্মা সেতু নির্মাণে অন্যতম সাক্ষী মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার পদ্মাপাড়। তাই সেতুর উদ্বোধনের আগ মুহূর্তে মাওয়া এলাকায় আনন্দে উদ্ভাসিত পদ্মাপাড়ের মানুষ। সর্বত্র সাজ সাজ রব। সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন ও সুধী সমাবেশ হবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পদ্মাপাড়ে। প্রস্তুত ফলক মঞ্চ। সমাবেশে আমন্ত্রণ পেয়েছেন সাড়ে ৩ হাজার অতিথি। এ তালিকায় রয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্য, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, নির্মাণ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকরা। অনুষ্ঠানস্থল ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সাজসজ্জায় ভরে উঠেছে। এক্সপ্রেসওয়ে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন। পদ্মা সেতুর নির্মাণ করায় স্থানীয় নেতাকর্মীরাও টানিয়েছেন ফেস্টুন। সমাবেশস্থলের দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ তৈরিসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার কাজ শেষের পথে। এছাড়া সেতুর নামফলক ও ম্যুরাল স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে পুরো মাওয়া এলাকায় জোরদার করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়। পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কাজ করছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, নৌপুলিশ সবাই একযোগে মোতায়েন রয়েছে। বিভিন্ন পেট্রোলিং ছাড়াও আকাশপথে থাকবে র‌্যাবের হেলিকপ্টারের নজরদারি।

দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া ২১ জেলা তিনটি বিভাগের অন্তর্গত। দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকলেও বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব জেলায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চলছে। দেশে বর্তমানে আটটি ইপিজেড ও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু আছে। এর মধ্যে পদ্মার ওপারে রয়েছে শুধু মোংলা ইপিজেড। পদ্মা সেতু ঘিরে যশোর ও পটুয়াখালীতে আরো দুটি ইপিজেড করার প্রস্তাব আছে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে সঙ্গে যেগুলো হওয়ার কথা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক- এগুলোও হতে হবে। এছাড়া মোংলা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও পায়রা বন্দর এলাকায় চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। দুই বছর আগে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায় একটি তাঁতপল্লি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১২০ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠছে ওই তাঁতপল্লি। সেখানে ৮ হাজার ৬৪টি তাঁত শেড হবে। এদিকে মুন্সীগঞ্জে বিসিকের চারটি প্রকল্পের কাজ চলমান। সেগুলো হলো- প্লাস্টিক শিল্পকারখানা, রাসায়নিক শিল্পকারখানা, মুদ্রণশিল্প ও এপিআই শিল্পপার্ক। আছে বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্পও। ফরিদপুরে ৫০০ একর জায়গায় শিল্পপার্ক, খুলনায় ৫০০ একর জায়গায় শিল্পপার্ক, নড়াইলে ২০০ একর, মাগুরায় ২০০ একর জায়গায় শিল্পপার্ক এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০ একর জায়গায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করারও চিন্তা আছে সরকারের। পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজারঘাট এলাকায় জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বেনজীর আহমেদ বলেন, জনসভাস্থল শেষে সবাই নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে, সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এখানে এসএসএফ, ডিজিএফআই, এনএসআই, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌপুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের হুমকি রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, প্রতি মুহূর্তে আপডেট তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে শুধু জনসভাস্থলই নয়, সারা দেশেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা প্রস্তুত রয়েছেন। ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮ মিটার। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ হয় ৩০ হাজার ১৯৩.৩৯ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদীশাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি। বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

পদ্মা সেতুতে কোন গতিতে চলবে গাড়ি : সেতু বিভাগ জানায়, পদ্মা সেতু দিয়ে পাড়ি দেওয়ার সময় গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর বেশি গতিতে গাড়ি চলতে পারবে না। সেতুর ওপর যানবাহন দাঁড়ানো এবং যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা বা হাঁটাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। থ্রি হুইলার (রিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোরিকশা), হেঁটে, সাইকেল বা নন-মটোরাইজড গাড়ি দিয়ে সেতু পার হওয়া যাবে না। ৫.৭ মিটারের চেয়ে বেশি উচ্চতার মালবাহী কোনো গাড়ি নিয়ে সেতু পার হওয়া যাবে না। সেতুর ওপর ফেলা যাবে না কোনো ময়লা।

রাজধানী থেকে যেভাবে যাবেন সেতুতে : রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার দূরে মাওয়া ঘাটের কাছে গিয়ে পদ্মা সেতু দেখে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যায়। পদ্মা সেতু দেখতে চারটি উপায়ে বাসে করেই যেতে পারেন মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত। গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার থেকে মাওয়াগামী ইলিশ বাস ছাড়ে এবং ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বিআরটিসি এসি বাসে করেও যেতে পারেন পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে। আবার ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে এসে এসি কিংবা নন-এসি বাসে করে যেতে পারেন সেতু দেখতে। যারা উত্তরা থেকে যাবেন, তাদের জন্যও আছে বাসের ব্যবস্থা, একই ব্যবস্থা আছে গাবতলী থেকেও। পদ্মা সেতুকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল এটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এ এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকা প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এ দূরত্ব অতিক্রম করতে সাধারণভাবে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। আর ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে যেতে সময় লাগবে ২৭ মিনিট। যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া রোডে উঠে এ এক্সপ্রেসওয়ে সোজা নিয়ে যাবে পদ্মা সেতুর দ্বারে।

মন্তব্য