সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, চারিদিকে অবনতির ধ্বংসস্তুপ দেখছি। আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু উন্নতি হচ্ছেনা। অবনতির জন্য আমরা মহাসংকটে আছি। সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক ঐক্য প্রয়োজন। সংকট নিরসনে সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট দফা নির্ধারন করে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিকসবাইকে জাতীয় সনদে সবাইকে স্বাক্ষর করতে হবে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় গনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সঞ্চালনায় জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, অর্তনীতিবিদ ড. আনু মোহাম্মদ, ড. আসিফ নজরুল, নুরুল হক নুর, হাসনাত কাইয়ুম সহ গনতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সুজন সম্পাদক বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার অনির্বাচিত হলেও এর প্রতি মানুষের আত্মবিশ্বাস আছে। যারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে তারা এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবে। নির্বাচনই ক্ষমতা বদলের মাধ্যম।
তিনি সমস্যা সমাধানে ২১ দফা সংস্কার প্রস্কাব তুলে ধরেন। এসব দাবি নিয়ে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান। আর বাস্তবায়ন না হলে দেশ ভয়াবহ সংকটে পড়বে বলেও তিনি দাবি করেন। ২১ দফার মধ্যে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন, মনমানসিকতার পরিবর্তন। এটি সম্ভব হবে ঐক্য হয়। নির্বাচন ও নির্বাচন কালীন সরকারের সংস্কার করতে হবে, স্বাধীন বিচার বিভাগ, সাম্প্রদায়িকতার অবসান, তরুনদের জন্য বিনিয়োগ, নারীর ক্ষমতায়ণ, পার্বত্য শান্তিচুক্তির সঠিক বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশের ১৫ আনা মানুষ কালকেই সরকারের পদত্যাগ চায়। সংবিধান পরিবর্তন না করে সরকার পরিবর্তন হলে যিনি সরকারে আসবেন তিনিও শেখ হাসিনার মতো কতৃত্ববাদী হবেন। তাই নির্বাচনের আগে সংবিধানের সংস্কার করতে হবে।
দেশের সবকিছু নির্বাহী বিভাগের কতৃত্বে চলছে। ব্যতিক্রম ছাড়া উচ্চ আদালতের ব্যাঞ্চগুলো সরকারের নোটের দিকে তাকিয়ে থাকে কি রায় দিবে।
দেশের সাংবিধানিক ও গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলো ভেঙে পড়েছে। দেশের কোন মানুষ বিশ্বাস করেনা যে এই সরকারের অধীনে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে। যেই সরকার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচীতে হামলা করে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ কে হামলা করে তাদের কাছে আর কি চাওয়ার আছে। এমন কতৃত্ববাদী সরকার অবাধ নির্বাচন করবে এটা কোন সাধারণ কথা না এটা কাণ্ডজ্ঞানহীন কথা।
নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করা দরকার। দেশটা আজ মগের মুল্লুকে পরিনত হয়েছে। দুর্যোগকালিন সময়ে ইভিএম প্রকল্প যৌক্তিক নয়।
আমরা একটি অন্তবর্তীকালিন সরকার চাই। এই সরকারকে নির্বাচনের আগে গনতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করবে এবং বিদ্যমান সংকটের সমাধান করে নির্বাচন দিবে। আমরা অতীতের ভুলগুলো করতে চাইনা। আমরা একটি গনতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র চাই।
মন্তব্য