-->

শিশুরা বঙ্গবন্ধুর ন্যায় উদার চেতনা নিয়ে বড় হোক : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
শিশুরা বঙ্গবন্ধুর ন্যায় উদার চেতনা নিয়ে বড় হোক : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দ্রিরা বলেছেন, ২০৪১ সালের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আজকের শিশুরাই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠন করবে। আমাদের প্রত্যাশা শিশুরা বঙ্গবন্ধুর ন্যায় উদার চেতনা নিয়ে বড় হোক।

 

সোমবার (০৩ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘গড়বে শিশু সোনার দেশ ছড়িয়ে দিয়ে আলোর রেশ’ শিরোণামে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২২ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডোন ইয়েট প্রমূখ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বের মাধ্যমেই নিশ্চিত হবে আগামীর শিশুদের অধিকার। এ লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে।

 

সভাপতির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, ১৯৭৫ সালে নির্মম বুলেটে এদেশে শিশু অধিকারকে বুলেট বিদ্ধ করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে রাজনৈতিক কারণে হত্যা করা হয়েছিল। তবে শিশু রাসেলকে কেন হত্যা করা হল। নিষ্পাপ রাসেলের শিশু অধিকারটি কোথায় গেল। প্রধানমন্ত্রী ৬৪ জেলায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে।

 

শিশুদের উপযোগী ডিজিটাল বাংলাদেশ করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের শিশুদের ডিজিটাল বাংলাদেশের উপযোগি করে গড়ে তুলতে চাই। রোবটিক্স, ড্রোন এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মত প্রযুক্তির সঙ্গে আজকের শিশুদের প্রাথমিক ধারনা গুলো দিতে চাই। শিশু একাডেমিও এ বিষয়ে শিশুদের সাহায্য করবে। এর মাধ্যমেই আগামীর বাংলাদেশে স্মার্ট শিশু গড়ে উঠবে।

 

প্রধানমন্ত্রী শিশুদের নিয়ে অনেক বেশি ভাবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুরা যেন করোনার ভেকসিন থেকে বাদ না পরে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শিশুদেরকে ভেকসিনের আয়তায় আনেন। একসময় আমরা মায়েদের মাতৃত্ব কালীন ভাতা দিতাম। তবে বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যেমে প্রতি মাসে ১ কোটি ৩০ লক্ষ মা ও শিশুকে ৮০০ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। যাতে করে মা ও শিশুর পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। ফলে আগামীর শিশুরা হবে মেধাবী শিশু। আজকের শিশুরাই ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে।

 

এ সময় অনুষ্ঠানে শিশুদের জাতীয় পর্যায়ে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরষ্কার দেয়া হয়। জাতীয় পর্যায়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুরা হলেন, ক বিভাগের (১ম-৪র্থ শ্রেণি) বিষয়- ইচ্ছেমত প্রথম স্থান  মোসা. আবিদা আওয়াল, দ্বিতীয় স্থান তানিশা তাবাসসুম ইথা, তৃতীয় স্থাম মিফতাহুল জান্নাত। খ বিভাগ (৫ম -৭ম শ্রেণি) বিষয়- শিশু অধিকার প্রথম স্থান প্রত্যয় পাল রাজ, দ্বিতীয় স্থান তাসনিম তাহিরা, তৃতীয় স্থান রাজদীপ ভূঁইয়া। গ বিভাগ (৮ম- ১০ম শ্রেণি) বিষয়- শিশু সুরক্ষা প্রথম স্থান মোছাম্মদ তাওহিদুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থান রাতুল চন্দ্র দত্ত, তৃতীয় স্থান শ্রীজনী চাকমা। ঘ বিভাগ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু (১ম-১০ম শ্রেণি) বিষয়- ইচ্ছেমতো প্রথম স্থান মো. সিজান, দ্বিতীয় স্থান মাশহুন জাহান মুগ্ধ, তৃতীয় স্থান সিয়াম শেখ।

 

জাতীয় পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিশুরা হলেন, ক বিভাগের (৩য় -৫ম শ্রেণি) বিষয়- বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা প্রথম স্থান জারিফ তানহাব, দ্বিতীয় স্থান তাসনিম তাহিরা, তৃতীয় স্থান ওয়াসিমা ইবনাত মজুমদার। খ বিভাগ (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি) বিষয়- বঙ্গবন্ধুর শিশু ভাবনা প্রথন স্থান ফাতেমা তাসনিম আফিয়া, দ্বিতীয় স্থান অর্পিতা সরকার জ্যোতি, তৃতীয় স্থান জান্নাতুল ফেরদৌস রাইসা। ঘ বিভাগ (৯ম-১০ম শ্রেণি) বিষয়- বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার প্রথম স্থান মো. মুকুল শাহরিয়ার আলিফ, দ্বিতীয় স্থান শর্মিষ্ঠা সরকার, তৃতীয় স্থান তানজিমা তাসমীম হক মোহনা।

 

ভোরের আকাশ/ইএস/জেএস/

মন্তব্য

Beta version