-->
শিরোনাম

সিত্রাং তাণ্ডবে ২৪ জনের মৃত্যু, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিত্রাং তাণ্ডবে ২৪ জনের মৃত্যু, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরছে মানুষ

উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রেখে বিদায় নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে গাছের চাপায়, ডাল ভেঙে, ট্রলার ডুবে ও দেয়ালচাপায় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া এসব জেলায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ঝড়ের সময় উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৮০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন ছিল। বিদ্যুতের ২ হাজার খুঁটি ভেঙে গেছে।

 

মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় বহু মানুষ বিদ্যুৎবিহীন ছিল। তবে দুর্যোগের আর্থিক ক্ষতির সঠিক হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি নিরূপণের কাজ চলছে।

 

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হলেও স্থলভাগে ঝড়ের কেন্দ্রীয় অংশ উঠে আসার সময় এটি দুর্বল হয়ে পড়ে। দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে শুধু বৃষ্টি আর বাতাস বেশি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পটুয়াখালীর কলাপাড়া, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এবং ভোলার কিছু বেড়িবাঁধ ভেঙে অনেকে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি ঢুকে মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে অনেক কৃষক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

 

গত সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এটি পটুয়াখালীর খেপুপাড়া দিয়ে প্রবেশ করে বরিশাল-চট্টগ্রামের উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার পর প্রচুর বৃষ্টি ঝরিয়েছে। স্থলভাগে উঠে আসার সময় এটি দুর্বল হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ এটি লঘুচাপে রূপ নিয়ে ভারতে গিয়ে বিলীন হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ার পরপরই মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা দেশে আবহাওয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে আসায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষজন ঘরে ফিরে গেছে।

 

রেকর্ড বৃষ্টিপাত : তবে এর প্রভাবে সোমবার সকাল থেকেই সারা দেশে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বরিশালে। আবহাওয়া অফিস জানায়, ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩২৪ মিলিমিটার। এটাই দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এ ছাড়াও মাদারীপুরে ৩১৫ মিলিমিটার, ঢাকায় ২৫৫ মিলিমিটার, টাঙ্গাইলে ২৫১ মিলিমিটার, ফরিদপুরে ২১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে ছিল প্রবল বাতাস। আবহাওয়া অফিস জানায়, ২০০৯ সালের পর রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় এত বৃষ্টিপাত হয়নি। ওই বছর রাজধানীতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৩৩৩ মিলিমিটার। এরপর ২০১৭ সালের ৪ আগস্ট ৩ ঘণ্টায় ১২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় সোমবার সকাল থেকে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। সেই সঙ্গে ছিল প্রবল ঝড়ো হাওয়া। ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় দেয়াল চাপা পড়ে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে।

 

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শুরু থেকেই সিত্রাং এলোমেলো আচরণ করতে শুরু করে। বারবার পাল্টাতে থাকে গতিপথও। তাই এর গতিবিধি ঠিকমতো বোঝা যায়নি। আসতে পথে বৃষ্টি ঝরিয়ে নিজের শক্তি ক্ষয় করেছে। এসেছে দ্রুত, চলেও গেছে দ্রুত। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। এরপর রাত ৯টার পর মূল অংশ আঘাত হানে। রাত ১টার মধ্যেই উপকূল মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যায়। আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে মঙ্গলবার বিকেলেই লঘুচাপে পরিণত হয়। সেটি আরো দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল থেকে ভারতে চলে যায়। পরে এটি বিলীন হয়ে যায়।

 

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি এ সময় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার প্রায় দুই হাজার খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ক্ষয়ক্ষতির এই চিত্র তুলে ধরে বলেন, রাত থেকেই বিতরণ সংস্থাগুলোর কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের চার কোটি ৮০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৮০ লাখ গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন আছেন। বিকেলের মধ্যে এর ৭০ শতাংশ বিদ্যুতের আওতায় চলে এসেছে। তিনি জানান, এ মুহূর্তে আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে দ্রুত বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনা। হাসপাতালগুলোতে কত দ্রুত বিদ্যুৎ দেয়া যায়, সেদিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

 

বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষা : এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে আঘাত হানার আগেই আবহাওয়া অফিস থেকে সতর্ক করা হয়েছিল বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কার বিষয়ে। বিশেষ করে তারা উল্লেখ করেন ঝড়ের সময় অমাবশ্যা তিথি থাকার কারণে ৫ থেকে ৮ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে। কিন্তু ঝড়টি স্থলভাগের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় সাগরে ভাটা চলছিল। ফলে বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে বেঁচে গেছে দেশ। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০০৭ সালে সিডরের সময় সাগরে জোয়ার ছিল। এ কারণে অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কারণে ওই বছর প্রায় ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু এবার সেই আশঙ্কা থাকলেও ভাটার কারণে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশ।

 

২৪ জনের প্রাণহানি : এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝড়ের সময় গাছ উপড়ে, ডাল ভেঙে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে এবং পানিতে ডুবে, দেয়াল চাপা পড়ে এবং নৌকাডুবিতে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে বালু তোলার ড্রেজার ডুবে আট শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের ৩ নম্বর জেটি এলাকার পশ্চিমে এ ড্রেজারডুবির ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শ্রমিকরা হলেন- ইমাম মোল্লা, মাহমুদ মোল্লা, শাহীন মোল্লা, আল আমিন, মো. তারেক ও বাশার। শ্রমিকদের সবার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠি এলাকায়।

 

এ ছাড়া ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে মারা গেছেন চারজন। গাছ ভেঙে পড়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দুজন এবং নড়াইলের লোহাগড়ায় এবং বরগুনা সদর উপজেলায় একজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ পড়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় এক নারী মারা গেছেন। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঝোড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে। এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের শিশুর মৃত্যু হয়।

 

সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালীতে ট্রলার ডুবে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ঝড়ের সময় ঢাকার হাজারীবাগেও দেয়াল ধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে।

 

রাজধানীতে ব্যাপক ক্ষতি : এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও প্রবল বৃষ্টি আর বাতাসের কারণে সোমবার রাজধানীর বাসিন্দাদের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ঢাকার নিউমার্কেট, আজিমপুর, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ধানমন্ডি, গ্রিনরোড, বাসাবোসহ অনেক এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার তৈরি হয়। অনেক সড়কে যানবাহনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মঙ্গলবার দুপুরেও মোহাম্মদপুর, আজিমপুরের বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকায় পানি জমে থাকতে দেখা যায়।

 

ঢাকার অনেক এলাকায় গাছ পড়ে যানবাহনের ক্ষতি এবং সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে এসব গাছপালা কেটে সরানোর কাজ শুরু করেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। মহাসড়কে গাছ পড়ার কারণে সোমবার রাতে ঢাকার সঙ্গে খুলনা ও বরিশালের সড়ক যোগাযোগ কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেসব গাছ সরানোর পর আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

 

ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা বিভাগ। আর এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকাতেই ক্ষয়ক্ষতি বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাবি ক্যাম্পাস, আগারগাঁও, ধানমন্ডি লেকসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়ে আছে ছোট-বড় গাছ। এসব গাছ সরাতে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

 

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তথ্য বলছে, দুই সিটিতেই তিন থেকে চারশ ছোট-বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কুইক রেসপন্স টিম ঝড়ে উপচে পড়া প্রায় দুই শতাধিক গাছপালা অপসারণ করেছে বলে জানান।

 

পরিস্থিতি স্বাভাবিক : আবহাওয়াবিদদের মতে, দ্রুতই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে দ্রুতই উপকূলে এসেছে। দ্রুতই উপকূল অতিক্রম করে চলে গেছে সিত্রাং। সোমবার সন্ধ্যায় আঘাত হানার আগেই ওই দিন সকাল থেকে সারা দেশে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। রাতেই ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান, মঙ্গলবার বিকেলে লঘুচাপে রূপ নিয়ে এটি ভারতের আসমের দিকে চলে যায়। পরে বিলীন হয়ে গেছে। আজ থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, সিত্রাং সোমবার রাতেই উপকূল অতিক্রম করেছে। ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এবং বুধবার থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়া সমুদ্রবন্দর থেকে সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে।

 

গত ২০ অক্টোবর আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপের সৃষ্টি হয়। পরদিন সেটি পরিণত হয় সুস্পষ্ট লঘুচাপে। ২২ অক্টোবর সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়। নিম্নচাপটি আরো শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয় পরদিন। ২৩ অক্টোবর এটি রূপ নেয় ঘূর্ণিঝড়ে। মাঝারি শক্তি নিয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version