সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সংগীত আমাদের ভীষণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে, অনুপ্রাণিত করেছে। রণসংগীত ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের গান মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়েছে, উদ্বুদ্ধ করেছে। একইভাবে জনপ্রিয় লোকসংগীত শিল্পী আব্বাসউদ্দীন-এর গানও আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনকে বেগবান করেছে, ত্বরান্বিত করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর-এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে লোকসংগীত সম্রাট আব্বাসউদ্দীন আহমদ স্মরণে জাদুঘর আয়োজিত 'আব্বাসউদ্দীন আহমদ: জীবন ও কর্ম' শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা ২০২২' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, আব্বাসউদ্দীন- এর মত শিল্পী যুগে যুগে জন্মায় না, হাজার বছরে একজন জন্মায়। তিনি তার গানের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আব্বাসউদ্দীনের খুব ভক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু রচিত অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থে এর উল্লেখ রয়েছে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে শব্দসৈনিক মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, আব্বাসউদ্দীন আহমদ লোকসংগীতের অন্যতম পথ প্রদর্শক। তিনি সারা জীবন সংগীতের মধ্যে দিয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। তিনি একসাথে লোকসংগীত ও ভাওয়াইয়া গানের সম্রাট।
তিনি বলেন, শিল্পী আব্বাসউদ্দীন গানের মাধ্যমে মুসলিম জাগরণ গড়ে তুলেছিলেন। তার গানে বাঙ্গালিরাও জাগরিত হয়েছিল। তার গানের মধ্যে সবসময় একটা জাগরনের বিষয় থাকত। সাথে ছিল জাতীয়তাবাদের বিষয়।
নতুন প্রজন্মকে উদ্দ্যেশ্য করে তিনি বলেন, যারা সংগীতে আসতে চায় তাদের উচিৎ হবে আব্বাসউদ্দীনের গান, চিন্তা ও মেধাকে ধারণ করা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিল্পী আব্বাসউদ্দীন ছিলেন একজন কীর্তিমান ও অসাধারণ মানুষ। সত্যের সৈনিক যারা তারাই মূলতঃ অসাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, সাধারণ আর অসাধারণ মানুষের মধ্যে পার্থক্য হলো- অসাধারণ ও কীর্তিমান মানুষরা সত্যের সঙ্গে আপোস করেন না। জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি এসময় উপস্থিত সবাইকে এসব কীর্তিমান ও গুণী মানুষের দর্শন ও আদর্শকে নিজেদের জীবনে ধারণ করার আহবান জানান
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদ -এর নাতনি বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী অধ্যাপক ড. নাশিদ কামাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর- এর মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর -এর জনশিক্ষা বিভাগের কিপার ড. শিহাব শাহরিয়ার। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী শ্যামল কুমার পাল।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য