বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে ‘রোহিঙ্গা মাদক কারবারিরা’ বাংলাদেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ করে গুলি করেছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গত সোমবার রাতে কোনারপাড়া শূন্যরেখায় ওই ঘটনায় সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা নিহত এবং র্যাবের এক সদস্য আহত হন।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মিরপুরে ফায়ার সার্ভিসের এক অনুষ্ঠান শেষে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে নজিরবিহীন এ ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানের ওই জায়গাটি নোম্যান্সল্যান্ড। সেখানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থান আছে বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘যখন এ ধরনের অভিযানে যাওয়া হয় তখন গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনামাফিক অভিযান হয়ে থাকে।’ ‘দুর্ঘটনাবশত একজন অফিসার সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন এবং কোনো মাদক কারবারিরা গুলি করেছে এসব বিষয়সহ সবধরনের বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।
এ ঘটনার সত্য উদ্ঘাটন করে আমরা জানাব’, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর জানায়, র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন।
এ সময় আহত হন র্যাবের একজন সদস্য। এদিকে আহত র্যাব সদস্য সোহেল বড়ুয়া (৩০) র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নে কর্মরত। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ‘আশঙ্কাজনক অবস্থায়’ মঙ্গলবার ভোরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য