-->
শিরোনাম

কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তরে কর্মসূচি গ্রহণ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গাজীপুর প্রতিনিধি
কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তরে কর্মসূচি গ্রহণ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তর করতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে।

 

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্স প্রঙ্গেনে ৬০তম ব্যাচ কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স-এর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

এর আগে তিনি খোলা জিপে চড়ে প্যারেডস্থল পরিদর্শন এবং মার্চপাস্ট উপভোগ করেন। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো.আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হক, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় কারা উপ মহাপরিদর্শক একেএম ফজলুল হক, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার মোঃ আমিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ছয় মাস মেয়াদি ৬০তম ব্যাচ কারারক্ষীদের এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ৩০১ জন কারারক্ষী অংশগ্রহণ করেন।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী আরো বলেন, কারাবন্দিদের সংশোধনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে কারা আইনকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারাগার ও সংশোধন মূলক পরিষেবা আইন- ২০২১ প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

কারাগারের বন্দি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, জীবনমান উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করণার্থে বিভিন্ন মেয়াদী ৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং আরও কয়েকটি নতুন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারাগারে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগস্থ ৩২ টি কারাগারে বিভিন্ন নিরাপত্তা সামগ্রী সরবরাহ ও স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল কারাগারে নিরাপত্তা সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।

 

তিনি বলেন, কারাগারে বন্দিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশ ও বিদেশের শ্রম বাজারের চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে দেশের ৩৮টি কারাগারে যুগোপযোগি ৩৯টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল কারাগারকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। কারাগারে কয়েদি বন্দিদের শ্রমে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর বিক্রয় লব্ধ অর্থ হতে শতকরা ৫০ ভাগ লভ্যাংশ বন্দিদের মজুরি হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে। যা বন্দিরা তাদের পরিবারের নিকট প্রেরণ করতে পারছেন।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, কারাগার একটি সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান হওয়ায় দায়িত্বশীল মনোভাব নিয়ে কর্তব্য পালন করতে হয়। কারাগারের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি বন্দিদের প্রতি মানবিক আচরণ প্রদর্শন ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে অপরাধীদের চরিত্র সংশোধন করে সমাজে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আর এ ধরনের উদ্যোগকে সফল করতে হলে কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিক উৎকর্ষ ও কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের আন্তরকিতায় রাজশাহীতে কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাজ চলমান রয়েছে যা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সমাপ্ত হবে। এছাড়াও ঢাকার কেরাণীগঞ্জে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি” নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version