বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভূগর্ভস্থ আন্ডারগ্রাউন্ড করা হবে। আর পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার বড় অংশ ভূগর্ভস্থ করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিপিডিসির আওতাভুক্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে এরই মধ্যে ব্রুইনার, কাতার ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
আগামী বছরেও যেন লোডশেডিং না হয় সরকার সেই চেষ্টা করছে। আশা করছি লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার চলমান প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই। এর মধ্যেও আমরা জনভোগান্তি কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
উল্লেখ্য, গত ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে ১৯.৯২ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিইআরসি। সে সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। আগে পাইকারি পর্যায়ে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দর ছিলো ৫ টাকা ১৭ পয়সা, এখন যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা।
এ দফায় প্রতি ইউনিটে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম রেড়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য