জননিরাপত্তা ও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পল্টন পার্টি অফিসের সামনে বিএনপিকে গণসমাবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না। বিএনপি যদি সমাবেশ করতে চায় তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা কোনো খোলা মাঠে করতে হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত জরুরি সংবাদ সম্মেলন এ কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করলে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি। কিন্তু অনুমতি ছাড়া যদি কোথাও বিএনপি সমাবেশ করে বা করতে যায়, তবে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, রাস্তায় জনসভা বা সমাবেশ করা যাবে না। পল্টনের সামনে ১০ লাখ লোকের জায়গা হবে না। সর্বোচ্চ এক লাখ লোক পল্টনে দাঁড়াতে পারবে। বাকি ৯ লাখ লোক ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে। যার ওপর বিএনপির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। আইন না মানার সম্ভাবনা রয়েছে। আইন অমান্য করলে বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা গোয়েন্দা সংস্থা এবং মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, বিএনপি ঢাকা শহরে ১০ লাখ লোক জমায়েতের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কাজেই পার্টি অফিসের সামনে জনদুর্ভোগ করে এবং ঢাকার আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করে তাদেরকে সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া যাবে না। আপনারা যেকোনো খোলা মাঠে যেতে পারেন বা অন্য কোনো প্রস্তাব দিতে পারেন। অন্য প্রস্তাব হিসেবে তাদের বলা হয়- ইজতেমা মাঠ আছে, সেখানে আপনারা ১০ লাখ লোক জমায়াত করতে পারবেন। পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠ আছে, সেখানে যেতে পারেন।
সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়। পরে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে আগ্রহী নয়। তারা পল্টন বা তার আশপাশে কোনো রাস্তায় করতে আগ্রহী। এ প্রসঙ্গে ডিএমপির সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বা এর মতো কোনো খোলা মাঠে সমাবেশ করতে হবে। আমরা জনদুর্ভোগ এবং জননিরাপত্তা বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য