-->
শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রী আজ উদ্বোধন করবেন গণপূর্তের ১১ প্রকল্প

বদলে যাচ্ছে ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী রমনা পার্ক

মো. রেজাউর রহিম
বদলে যাচ্ছে ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী রমনা পার্ক

মো. রেজাউর রহিম: আধুনিকায়নে ও দৃষ্টি নন্দনে বদলে যাচ্ছে ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী রমনা পার্কের চেহারা। উন্নীতকরণে ও সংস্কারে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার লাইব্রেরি ভবনেও। বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন সংকট নিরসনে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে কয়েকটি সরকারি আবাসিক প্রকল্পের।

 

এসব প্রকল্প আজ সোমবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়নকৃত ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন কবলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

 

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে দিন দিন উন্নয়নের ধারায় ইতিবাচকভাবে বদলে যাচ্ছে দেশ। দেশের উন্নয়নের চাকা থামাতে পারেনি বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক মরণব্যধী করোনা। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকরী ভ‚মিকা রাখছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের দক্ষ কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা।

 

জানা গেছে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রমনা বটমূল প্রান্তে উপস্থিত থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমদ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার। এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

 

সূত্র জানায়, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় গত কয়েকবছর ধরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে রমনা পার্ক এর আধুনিকায়ন এবং উন্নয়ন প্রকল্প এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ১৯৭২ সালের স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের ঘোড়দৌড় বন্ধ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে বৃক্ষরোপণ করেন।

 

উল্লেখ্য, রমনা পার্ক ঢাকার ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী একটি পার্ক। সকাল বিকেল মানুষের পদচারণায় মুখরিত, অতি প্রাচীন এই রমনা পার্ককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২০১৯ সালে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর পার্কের উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেন।

 

গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ঢাকার ফুসফুস খ্যাত রমনা পার্কের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে পার্কের অভ্যন্তরে অবস্থিত পুরাতন লেক খনন করে তৈরি হয়েছে দুই লেন বিশিষ্ট আধুনিক ডেক, লাল সিরামিক ইটের রাস্তা, কালভার্ট, বিটুমিনাস কার্পেট এর তৈরি রাস্তা। আধুনিকায়ন করা হয়েছে টয়লেট, কফি কর্নার, বসার বেঞ্চ এবং পার্কের অভ্যন্তরে ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে স্থাপিত হয়েছে দিক নির্দেশনা। শিশুদের জন্য আধুনিক খেলাধুলা সামগ্রীসহ নতুনরূপে সাজানো হয়েছে শিশু চত্বর।

 

রমনা পার্কের ভ্রমণকারী ও দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য স্থাপিত হয়েছে অত্যাধুনিক এলইডি ডিসপ্লে। রমনা পার্ককে সান্ধ্যকালীন আলোকিত করার জন্য স্থাপন করা হয়েছে ল্যাম্পপোস্ট ও আধুনিক লাইট। বাড়ানো হয়েছে পার্কের অভ্যন্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গড়ে তোলা হয়েছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। এ প্রকল্পে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার লাইব্রেরি ভবন, অ্যানেক্স ভবন অডিটোরিয়াম নবায়নসহ আনুষঙ্গিক কাজের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা।

 

এছাড়া ঢাকায় কর্মরত বিচারকদের আবাসন সমস্যা সমাধানে ঢাকার আজিমপুরে ২০ তলা বিশিস্ট দুইটি আধুনিক আবাসিক ভবনও একই দিন উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য ঢাকার মিরপুরে ২৮৮টি ফ্ল্যাট, তেজগাঁয়ে ১৩ তলা বিশিষ্ট ২৮৮টি অ্যাপার্টমেন্ট, নোয়াখালী সদরে ৯টি ১০ তলা ভবনে ৩২৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। যা একইদিন উদ্বোধন করা হবে।

 

উল্লেখ্য, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার দায়িত্ব নেয়ার পর তার প্রচেষ্টায় বদলে গেছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির নেতিবাচক ভাবমূর্তি। এর ফলে সরকারি নির্মাণ কাজ ঘিরে দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। নির্মাণ কাজ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। সরকারি অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নির্মাণকাজের যথাযথ মান নিশ্চিত করা হয়েছে এবং সরকারি অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

 

এছাড়া, বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সারা দেশে ১০০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করায় দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version