-->

পরে কিনে দেব

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ
পরে কিনে দেব

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: বইমেলায় ভাঙনের সুর বাজার কারণে এখন ভিড় আরো বাড়ছে। বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও মেলায় আসছে অভিভাবকের হাত ধরে। কিনছে তাদের পছন্দের বই। তবে কিছু অভিভাবক আছেন তারা শুধু মেলায় ঘুরতে আসেন। ঘোরাফেরা-খাওয়া শেষে বাসায় ছুট দেন। শিশুরা বই কেনার কথা বললে তাদের বোঝায় বাক্য-পরে কিনে দেব। কেউ বলেন ঘরে তো বই রয়েছে আবার নতুন বই কেন, কেউ কেউ বলেন আগের বইটা শেষ কর তার পর কিনে দেব।

 

মেলার শিশু কর্ণারে গেলে দেখা যায় অভিভাবকরা শিশুদের বই না কিনে দেয়ার নানা বাহানা করছেন। কিছু অবিভাবক শিশুদের আইসক্রিম-চকোলেট কিনে দেবেন, কিন্তু বই কিনে দেবেন না। মিরপুর থেকে মেলায় আসা এক শিশু বাবার কাছে দাবি করছে ডাইনোসরের বই কিনে দিতে। বাবা নাছোড় বান্দা এ ধরনের বই তিনি কিনে দেবেন না। বারবার বোঝাতে চেষ্টা করছিলেন পরে কিনে দেবেন। কিন্তু শিশুটি বাবার কথা শুনছে না। পরিশেষে ছেলের হাত ধরে টানতে টানতে শিশু কর্ণার থেকে বের হয়ে যান। একই দৃশ্য দেখা যায় বাংলা একাডেমি ভবন প্রাঙ্গণে।

 

জানতে চাইলে মাহবুবা ইসলাম (ছদ্মা নাম) বলেন বাচ্চারা বই পড়ে না। শুধু শুধু বই কিনে টাকা নষ্ট করা। বাসায় কিছু বই পড়ে রয়েছে ওরা পড়ে না। তাই বই কিনে দিনি। তাছাড়া ওরা ক্লাসের বই-ই পড়তে চাই না। সেজন্য অন্য বই কম কিনি।

 

এবার বইমেলার স্লোগান- ‘পড় বই গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। মেলার আঙ্গিকে এবার কিছু পরিবর্তন এসেছে। বইয়ের সব প্যাভিলিয়ন-স্টল একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল অংশে রয়েছে। আর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের অংশে রয়েছে খাবারের দোকান, নামাজের স্থান ও টয়লেট। প্রাপ্ত তথ্যমতে, এবারের বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে মোট ৪৭০টি প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬৭টি সাধারণ প্রতিষ্ঠান। শিশুচত্বরে রয়েছে ৬৯টি প্রতিষ্ঠান এবং প্যাভিলিয়ন ৩৪টি। অন্যদিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সাধারণ প্রতিষ্ঠান ১০৩টি ও প্যাভিলিয়ন আছে ১৪৭টি। সব মিলিয়ে ৫৭৩টি প্রতিষ্ঠান এবং মোট ৭০৪টি (প্যাভিলিয়ন বাদে) স্টল। এছাড়া ফুডকোর্ট, নামাজের জায়গা, ওয়াশরুম পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা হয়েছে এবার। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বইমেলার চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নিয়োজিত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version