-->

বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো খুব বেশি নয়: প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো খুব বেশি নয়: প্রতিমন্ত্রী

জানুয়ারি মাসের ধারাবাহিকতায় ফেব্ওরুয়ারিতেও নির্বাহী আদেশে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। এটি খুব বেশি নয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

 

তিনি বলেন, ‘ধাপে ধাপে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে তা সহনীয় হয়। খুব বেশি চাপও পড়ে না।’ 

 

বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট ঘাটতি কমাতে হবে। আর বাজেটে ঘাটতি কমাতে হলে এটা (বিদ্যুতের দাম বাড়াতে) করতে হয়। ঘাটতি সহনীয় রাখতে হলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করতে হবে। এতে মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব পড়বে না।’ শামসুল আলম বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে বহু দিক থেকে চাপ আসতে পারে। আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

 

মঙ্গলবারনির্বাহী আদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে সরকার। এ নিয়ে গত ১৪ বছরে ১২ বার এবং গত দুই মাসে তিনবার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হলো। এমন একটি সময়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো, যখন মূল্যস্ফীতির প্রভাবে সাধারণ মানুষ দিশেহারা।

 

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভঅবে আবাসিক খাতে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ বাড়বে ১০ থেকে ২০ শতাংশ।

 

সর্বশেষ মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ (৫০ ইউনিটের কম) ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ৪.১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪.৩৫ টাকা করা হয়েছে।

 

এছাড়া ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর বিদ্যমান দর ৪.৬২ থেকে বাড়িয়ে ৪.৮৫ টাকা, দ্বিতীয় ধাপে ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যমান দর ৬.৩১ থেকে বাড়িয়ে ৬.৬৩ টাকা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যমান দর ৬.৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬.৯৫ টাকা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের বিদ্যমান দর ৬.৯৯ থেকে বাড়িয়ে ৭.৩৪ টাকা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যমান দর ১০.৯৬ থেকে বাড়িয়ে ১১.৫১ টাকা, সর্বশেষ ধাপ ৬০০ ইউনিটের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীদের বিদ্যমান দর ১২.৬৩ থেকে বাড়িয়ে ১৩.২৬ টাকা করা হয়েছে।

 

ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা শামসুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত এক অদূরদর্শী পরিকল্পনায় চলছে। যার দায়ভার পড়ছে সাধারণ জনগণের ওপর। বিদ্যুতের এভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে।

 

আগে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, গণশুনানি করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করত। এখন নির্বাহী আদেশে সরকার সরাসরি সেটা করছে। সরকার কোনোরকম জবাবদিহিতা ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি করে যাচ্ছে। যা মূল্যস্ফীতি আর জনগণের বোঝা দুটোই বাড়িয়ে চলেছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version