-->

‘রহস্যময়’ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ

ইমরান আলী
‘রহস্যময়’ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ

ইমরান আলী: দেশজুড়ে নানা সময় রহস্যময় বিস্ফোরণ কিংবা আগুনে বিপুলসংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও এর কুলকিনারা হচ্ছে না। কোনো কারণে বিস্ফোরণ কিংবা বিস্ফোরণ প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সেগুলোর বিষয়ে কেউ কিছু জানছে না। মূলত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার বিশাল ঘাটতির কারণে সময়ে-অসময়ে এ ধরনের বিস্ফোরণ ঘটছে। প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত কয়েক দিন টানা এ ধরনের বিস্ফোরণে সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ধারাবাহিক ঘটনা নাশকতা কিনা, সেটি নিয়েও চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সর্বশেষ খোদ রাজধানীর ছিদ্দিকবাজারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র‌্যাব এবং সেনাবাহিনীর দল সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ তা কেউ স্পষ্ট করেনি।

 

তবে ছিদ্দিকবাজারের ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, এটি আমাদের নাড়া দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে। মামলার তদন্তে যে ধরনের অবহেলা পাওয়া যাবে, তার ব্যাপারে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। তবে যেহেতু এখনো মামলা হয়নি, বিভিন্ন সংস্থা এর তদন্ত করছে। মামলার পরে কী কী অবহেলায় এ বিস্ফোরণ, সে ব্যাপারগুলো নিয়ে আমরা কাজ করব।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। এত বিকট আর ভয়াবহ বিস্ফোরণ যে, ঘটনাস্থল থেকে দুই তিন কিলোমিটার পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। এর মধ্যে মঙ্গলবারের সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণ ছিল ভয়াবহ। বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল, বিশাল এলাকাজুড়ে কেঁপে উঠে। বিভিন্ন ভবনের গ্লাস ও রাস্তায় থাকা যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে যাত্রীরাও মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।

 

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মনে হচ্ছে ‘পারমাণবিক’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। হঠাৎ করেই এ ধরনের বিস্ফোরণে সেখানকার স্থানীয়রা হতবিহব্বল হয়ে পড়েন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বিস্ফোরণের পর ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতেই অন্তত ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে মৃত্যের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৮ জনে পৌঁছেছে। শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট ও ঢাকা মেডিকেল মিলিয়ে অন্তত শতাধিক মানুষ চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন বেশকিছু মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া নিখোঁজও রয়েছে আরো প্রায় ৩ জন। বলা যায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস এবং সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ভেতরে বিস্ফোরক থাকার ব্যপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য কেউ করেনি। এটি নাশকতা নয় বলেও জানান সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবারের এ ঘটনার একদিন আগে রোববার স্যায়েন্সল্যাবের একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এ বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত হয়। আহত হয় আরো প্রায় ২০ জন। এখানকার বিস্ফোরণও ছিল অস্বাভাবিক। ঘটনাস্থলেও আসে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ র‌্যাব এবং ডিএমপির ইউনিট। তারাও এটিকে নাশকতা নয় বলে দাবি করেন। ২০২১ সালের ২৭ জুনে মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়। শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক নয়, রাজধানীর বাইরে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামেও মাঝে মাঝে ঘটে এ ধরনের বিস্ফোরণ। আর এ বিস্ফোরণগুলোতেও প্রাণ হারিয়েছে শত শত মানুষ।

 

পুলিশের তথ্যমতে, গত তিন বছরে নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮২ জন। তবে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি সে তালিকায়। বেশিরভাগ ঘটনা তিতাসের পাইপ লিকেজ ও সিলিন্ডার থেকে হলেও তা নিবারণের কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। ঘটনার পর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হলেও জোরালো তদন্ত না হওয়ায় দোষীদের শনাক্ত করা যায় না। ফতুল্লার তল্লার মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণে ৩৭ জন নিহতের ঘটনা আজো ভুলতে পারেননি স্বজনরা। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আরো অনেকে।

 

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ১০৪টি গ্যাস বিস্ফোরণের অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তার মধ্যে তিতাসের লাইনের ত্রুটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে ৬৯টি। রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার, বয়লার ও এসি বিস্ফোরণ ঘটেছে ৩৪টি। এসব ঘটনায় নারী-শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো অন্তত ২৫ জন। ২০২১ সালে ১১৪টি গ্যাস বিস্ফোরণের অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তার মধ্যে তিতাসের লাইনের ত্রুটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে ৯৬টি। রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার, বয়লার ও এসি বিস্ফোরণ ঘটেছে ১৮টি। এসব ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। দগ্ধ হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। ২০২০ সালে ১০৬টি গ্যাস বিস্ফোরণের অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এর মধ্যে তিতাসের লাইনের ত্রুটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে ৭১টি। রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার, বয়লার ও এসি বিস্ফোরণ ঘটেছে ৪১টি। এসব ঘটনায় ৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ২৬ জন। এর মধ্যে তল্লায় মসজিদে এক বিস্ফোরণেই মৃত্যু হয় ৩৭ জনের।

 

২০২২ সনের ৪ জুন ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে সীতাকুণ্ডে। এ ঘটনায় ৪১ জন মারা যায়। বিএম ডিপোর হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বিস্ফোরণের নিদারুণ ক্ষত ও দাগ মোছেনি এখনো। নয় মাস না যেতেই আবারো বিস্ফোরিত হয় সীতাকুণ্ড। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল (কেশবপুর) এলাকায় ‘সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেডের’ প্লান্টে গত ৪ মার্চ আবার ঘটে বিপজ্জনক বিস্ফোরণ। এতে নিহত হয় ৬ জন এবং আহত শতাধিক। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের কুমিরা, সীতাকুণ্ড ও আগ্রাবাদের নয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে অংশ নেয়। র‌্যাব, সেনাবাহিনী, পুলিশ, নৌবাহিনী, বিভিন্ন সংস্থা ও সাধারণ মানুষ উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।

 

বিস্ফোরণে প্রায় দুই কিলোমিটারের বেশি এলাকা কেঁপে ওঠে। আশেপাশের বহু বাড়ির কাচের জানালা ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে বহু দূরে ৩০০ কেজি ওজনের লোহার খণ্ড উড়ে এসে মাথায় আঘাতে একজন নিহত হন। সীমা অক্সিজেন কারখানায় কেন বিস্ফোরণ ঘটেছে, এ বিষয়ে কেউ কিছু জানাতে পারেনি।

 

গ্যাস সিলিন্ডার নীতিমালা-১৯৯১ অনুযায়ী অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের জন্য বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নিতে হয়। সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের লাইসেন্স নবায়ন হয়েছে কিনা কেউ জানে না। এমনকি এই অতিগুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ কারখানাটি নিয়মিত পরিদর্শনের আওতায়ও ছিল না।

 

সীমা অক্সিজেন বা বিএম ডিপো নয়, চট্টগ্রাম বন্দরে এর আগেও বহু রাসায়নিক বিস্ফোরণ ঘটেছে। ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালে মিথানলভর্তি ড্রামে বিস্ফোরণ ঘটে। ৪ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হন ও দগ্ধ হন অনেকেই। ২০২০ সালের ১৫ জুলাই রাতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কেবল বন্দর নয়, দেশের রাসায়নিক মজুদগার, কী করপোরেট কারখানা সর্বত্রই ঘটছে বিস্ফোরণ ও প্রাণহানি। পুরান ঢাকার নবাব কাটারার নিমতলীতে অগ্নিবিস্ফোরণ ঘটে ২০১০ সালের ৩ জুন। আগুনে নিহত হয় ১২৪ জন মানুষ। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডে আগুন লেগে ১১৭ জন গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীর টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় বিস্ফোরণ ও ভবন ধসে ৩৫ জন নিহত হয়। ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের’ কারখানায় ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর অগ্নিকাণ্ডে ২১ জন নিহত হয়। পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে রাসায়নিক বোঝাই এক ভবন বিস্ফোরিত হয় ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৬৭ জন, দগ্ধ আরো ৪ জন হাসপাতালে মারা যান। ২০২১ সালের ৭ জুলাই রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপে অবস্থিত ‘হাসেম ফুড বেভারেজ কোম্পানির’ ছয় তলা কারখানাটিতে আগুন লাগে। পুড়ে মারা যায় ৫২ জন শ্রমিক।

 

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, এ ধরনের প্রতিটি ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনও দেন। তবে প্রতিবেদনে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন সে অর্থে হয় না। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক ভবনগুলোর বর্তমানে কী অবস্থা তা যাচাইয়ের এখনই সময়। ত্রুটি থাকলে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ত্রুটিমুক্ত করা অতিব জরুরি। তাছাড়া এ রকম ঘটনা অব্যাহত থাকবে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব নতুন বাণিজ্যিক ভবন তৈরি হবে সেটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিস্ফোরক রাখা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে ঝুঁকিমুক্ত আছে কিনা সেটিও নিশ্চিত করতে হবে, পাশাপাশি নিরাপত্তা মহড়া চালাতে হবে।

 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সদস্য ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান ড. কুদরাত ই খুদা বাবু বলেন, চলমান ঘটনা খুবই উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের ঘটনার আগে যদি তদন্তের সুপারিশ কাজে লাগানো ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলত শাস্তি হতো, তবে সবাই সচেতন হতো।

 

তিনি বলেন, প্রাণহানি এড়াতে দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। তাছাড়া দায়ীদের দৃষ্টান্ত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

 

এদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনা প্রকৃত দুর্ঘটনা নাকি অন্তর্ঘাতমূলক কিছু, তার সঠিক তদন্ত প্রয়োজন।

 

বুধবার সকালে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেন কামাল উদ্দিন আহমেদ। পরে তিনি সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, কী কারণে এমন বিস্ফোরণ, কেন এত মানুষকে প্রাণ হারাতে হলো, সেটার সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, ঢাকার সায়েন্সল্যাবে, এখন সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। এ ঘটনাগুলো কোনো কিছুর ইঙ্গিত কিনা, সেটাও গোয়েন্দাদের দেখতে হবে। তিনি আরো বলেন, কয়েক বছর আগেও দেখা গেছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ধরেছেও। তাই সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ বের করতে হবে। কোনো বিস্ফোরক নাকি রাসায়নিক থেকে এ ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার।

 

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version