অনেক স্বপ্ন ছিল শিশু তাসমিমের বাবা মোস্তাক আহমেদের,সিঙ্গাপুরে গিয়ে সংসারের স্বচ্ছলতা আনবেন। তাই ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ করাতে ইমাদ পরিবহনে রওয়ানা হয়েছিলেন ঢাকায়।
কিন্তু পথে বাসটি খাদে পড়ে মোস্তাকের সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে তার স্বপ্নেরও। গোপালগঞ্জের বনগ্রামের বাড়ি থেকে শিবচর উপজেলা হাসপাতালে আসা পাঁচ বছরের শিশু তাসমিম আহমেদের চিৎকার করে কান্নায় ভেঙে পড়লেও কিছুতেই বুঝতে পারছে না যে তার বাবা আর কোনদিন ফিরবেন না। তবে মা জোনাকি বেগমের বুকফাটা কান্না দেখে সেও চিৎকার করে কাঁদছে।
সদ্য স্বামীহারা জোনাকি বেগম জানান, তার স্বামী সিঙ্গাপুর যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। শ্রমিক ভিসায় বিদেশ গিয়ে তিনি সংসারের অভাব ঘোচাতে চেয়েছিলেন। সেজন্যই ঢাকা গিয়ে ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ করাতে তিনি সকালে বাড়ি থেকে রওয়ানা দিয়েছিলেন মোস্তাক আহমেদ। কিন্তু তার আর ঢাকা যাওয়া হলো না।
রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের বাসটি সড়কের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে দুর্ঘটনায় মোস্তাক আহমেদসহ অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে এক এক করে হাসপাতালে আসছেন নিহতের স্বজনরা। তাদের কান্নায় হাসপাতাল চত্বর ভারী হয়ে উঠেছে।
এই বিষয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পারি অতিরিক্ত দ্রুত গতিতে বাসটি চলা গাড়িটির চাকা ফেটে গেলে আর নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি চালক।
বাসটি রেলিং ভেঙে পড়ে যায় প্রায় বিশ মিটার নিচে। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়।
পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, “আমরা নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হলেই স্বজনদের কাছে তাদের লাশ হস্তান্তর করছি।”
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য