-->

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল কাল

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষণগণনা গত ১১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। আইন অনুযায়ী নির্বাচিত প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বের ১৮০ দিন বা ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে আসায় আগেই সিটির করোপোরেশন নির্বাচনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ক্ষণগণনায় এগিয়ে থাকায় গাজীপুরে সবার আগে ভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগামীকাল সোমবার ৫ সিটির তারিখ নির্ধারণে ইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

 

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ওই বছর ১৫ মে অনুষ্ঠিত হয় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হয়েছে ১১ মার্চ থেকে। আইন অনুযায়ী আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

 

২০১৮ সালের ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ের এক মাস পর শপথ নেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেন তিনি। এ অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সিটির মেয়াদ থাকলেও জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে আসায় আগেই এই সিটির নির্বাচন করার উদ্যোগ নিচ্ছে ইসি। পর্যায়ক্রমে বাকি ৪ সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ইসির রয়েছে।

 

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৫ সিটি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণে আগামীকাল সোমবার ইসির সভাকক্ষে বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে অনুষ্ঠিত হবে। ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচ সিটি নির্বাচন নিয়ে পরবর্তী কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। তবে এর মধ্যে গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রথমে অনুষ্ঠিত হবে।

 

সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠাকালের দিক থেকে কনিষ্ঠতম হলেও আয়তনের দিক থেকে এটি দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আয়তন ৩২৯ দশমিক ৫৩ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৬৫ লাখ। ৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। প্রায় ৭৫ ভাগ গার্মেন্ট শিল্প এ অঞ্চলে অবস্থিত। এই সিটির ভোটার সংখ্যা ১০ লাখের বেশি।

 

সিটি করেপারেশন ঘোষণার পর ২০১৩ সালে প্রথম মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন বিএনপি সমর্থিত সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। এরপর ২০১৮ সালের ১৫ মে এই সিটিতে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম জয়লাভ করেন। তিনি তিন বছর ক্ষমতায় থেকে দলীয় পদ হারান এবং মেয়র পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়ে ক্ষমতার বাইরে অবস্থান করছেন।

 

এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। আর খুলনা সিটির সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। এই দুই সিটিতেই নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছর ১১ অক্টোবর। এজন্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আসছে ১০ অক্টোবরের মধ্যে।

 

সিলেট সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে একই বছর ৭ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে চলতি বছর ৫ নভেম্বরের মধ্যে।

 

এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছর ১৪ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময়গণনা শুরু হবে আগামী ১৪ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এ বছর ১৩ নভেম্বরের মধ্যে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version