-->
শিরোনাম

স্বস্তির ঈদ যাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বস্তির ঈদ যাত্রা শুরু

টিকেট সংগ্রহে ভোগান্তি পোহালেও স্বস্তিইে শুরু হয়েছে ঈদ যাত্রা। সোমবার থেকে ট্রেন বাস ও লঞ্চে করে বাড়ি ফিরছে শুরু করেছে যাত্রীরা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ অথবা ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। গত ৭ এপ্রিল থেকে এসব পরিবহণে ঈদে ঘরে ফিরতে অগ্রিম টিকেট প্রদান করা হয়। সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদ যাত্রা শুরু হয়।

 

এদিকে ভোগান্তির আশঙ্কা ছাপিয়ে ট্রেনে আজ থেকে শুরু হয়েছে স্বস্তির ঈদযাত্রা। নৌ-সড়ক ও রেলপথেও বলার তেমন এবার তেমন একটা দুর্ভোগ হয়নি এদিন। সকাল থেকে সন্ধ্যাঅধি কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বেশিরভাগ ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। যদিও বাড়তি মানুষের চাপ ছিল কমবেশি সবগুলো ট্রেনের কামরায়। সড়কপথও ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। ফেরীঘাটগুলোতে বাড়তি গাড়ির চাপে কিছুটা যাত্রী দুর্ভোগ হয়েছে।

 

রাজশাহীগামী ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে শুরু হয়েছে বাড়িফেরা মানুষের ঈদযাত্রা। প্রতিবার এই যাত্রায় ভোগান্তি ও অভিযোগের চিত্র লক্ষ্য করাও গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। স্বাচ্ছ্যন্দেই বাড়ি ফিরছেন ট্রেনযাত্রীরা। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে প্লাটফর্মে প্রবেশ করছেন টিকিটধারীরা। যাদের টিকিট নেই,তাদের প্লাটফর্মে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

 

এবারের ঈদযাত্রায় টিকিট ব্যবস্থা অনলাইনে করায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার কোনো ভোগান্তি ছিল না। তবে যারা অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি, তাদের জন্য স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটার ব্যবস্থা করছে। তবে সেখানেও নেই ভিড় বা কালোবাজারি।

 

যাত্রীরা সহজেই টিকিট কেটে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারছেন। প্লাটফর্মেও অতিরিক্ত কোনো ভিড় বা হট্টগোল লক্ষ্য করা যায়নি। টিকিটধারী যাত্রীরা নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ট্রেনের শিডিউলে তেমন কোনো বিপর্যয় ঘটেনি।

 

এবারের ঈদযাত্রায় ট্রেন পর্যন্ত পৌঁছাতে যাত্রীদের পেরোতে হয়েছে কয়েক স্তরের তল্লাশি। এতে অধিকাংশ যাত্রী সন্তুষ্ট থাকলেও আবার অনেকেই জড়াচ্ছেন বাগবিতন্ডায়, শাসাচ্ছেন ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারদের (টিটিই)। ঈদযাত্রায় এবার টিকিট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণের কোনো সুযোগ নেই। এমনকি ট্রেনের ছাদে চড়েও এবার ভ্রমণে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কমলাপুর স্টেশন থেকে জয়দেবপুর স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনের ছাদে যাত্রা প্রতিহত করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে বলে জানান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার।

 

তিনি বলেন, এবার ছাদে কোনো যাত্রী নেয়া হবে না। এ বিষয়ে কমলাপুর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত আমরা নজর রাখছি। কেউই বিনা টিকিটে বা ছাদে যাতায়াত করতে পারবে না। যাত্রীরা যদি এই বিষয়ে সচেতন হন,আশা করছি এ বিষয়ে আমরা সফল হবো।

 

সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনের শুরুতে রয়েছে বাঁশের তৈরি জিগজ্যাক পাঁচটি গেট। এতে পাঁচজন টিটিই যাত্রীদের টিকিট ও এনআইডি চেক করছেন। তাদের কাজে সহায়তা করছেন রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আএনবি) সদস্যরা। দ্বিতীয় চেকিং হচ্ছে টিকিট কাউন্টারের সামনের অংশে, সেখানে রয়েছে তিনটি গেট।

 

সবশেষে মেইন গেটে প্রবেশপথে সন্দেহভাজনদের তৃতীয় চেকিং করা হচ্ছে। পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) মেশিন ব্যবহার করে টিকিট চেকিং ও এনআইডি মিলিয়ে দেখার কাজটি অতি দ্রæত করছেন টিটিইরা। তাদের এই কাজে সর্বোচ্চ ১০-২০ সেকেন্ড সময় লাগছে। এমনই কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে যাত্রীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে প্লাটফর্মে।

 

কর্তব্যরত এক টিটিই বলেন, প্রায় ৯৫ শতাংশ যাত্রীর টিকিটের সঙ্গে এনআইডির মিল আছে। ৫ শতাংশ যাদের মিল নেই, তাদের আমরা ফেরত পাঠাচ্ছি। আমাদেরকে এভাবেই নির্দেশনা দেয়া আছে। ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সফিকুর রহমান বলেন, স্টেশনে প্রবেশের জন্য একজন যাত্রীকে কয়েক স্তরের চেকিং সম্পন্ন করতে হচ্ছে। যারা সত্যিকারের টিকিটের যাত্রী তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। যারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছেন, তারা হয়তো অসুবিধায় পড়েছেন।

 

এদিকে ঈদ যাত্রার প্রথম দিনে বাস ও লঞ্চেও অনেকটা নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরেছে সাধারণ যাত্রীরা। ভোর থেকে নগরীর মানুষের পায়ে পায়ে সব স্রোত ছিল টার্মিনাল মুখি। সবাই নিজেদের মতো করেই বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা। কেউ যান গণপরিবহনে। কেউবা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেটকার বা মাইক্রোতে নাড়ির টানে ছুটেন বাড়ির দিকে। কেউ কেউ নিজের মোটরসাইল নিয়েই ছুটে গেছেন। তবে স্বল্প আয়ের মানুষদের নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে রাতে পিকআপ, ট্রাকে করে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।

 

এদিকে ঈদুল ফিতরকে সামন্যে রেখে মঙ্গলবারই শেষ অফিস। আগামীকাল বুধবার শবে কদরের ছুটি। পরের দিন বৃহস্প্রতিবার সরকারের নির্বাহি আদেশে ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে। ফলে প্রথম দিনের চেয়ে আজ মঙ্গলবার ঘরে ফেরা মানুষ ভিড় দ্বিগুন হতে পারে। অনেকই অফিসে হাজির দিয়ে বাড়ি পথে রওয়ানা দেবেন।

 

এদের কারো কারো অগ্রিম টিকেট থাকলেও অনেক লোকাল পরিবহনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাড়ি পথে হাটবেন। ফলে আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে পরিবহন চাপ অনেক বেড়ে যেতে পারে। ফলে যানজট ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।

 

এদিকে আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরে রাজধানীর প্রধান নৌবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বাড়ছে নৌযাত্রীদের ভিড়। সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদের ছুটিতে আগেভাগেই বাড়ি ফিরতে সদরঘাটে আসছেন দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীরা। নিয়মিত চলাচল করা লঞ্চগুলো প্রায় পূর্ণ যাত্রী নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে যাত্রী সংকটে প্রতিটি নৌরুটে নিয়মিত দুই থেকে তিনটি করে লঞ্চ স্বল্প যাত্রী নিয়ে চলাচল করতো। ঈদ উপলক্ষে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চগুলো কানায় কানায় ভরে ঘাট ছাড়ছে। খালি নেই দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চগুলোর কেবিন। ডেকেও দেখা গেছে যাত্রীর ভিড়।

 

ঢাকা-বরিশাল রুটের এমভি সুরভী লঞ্চের স্টাফ মেহেদী হাসান বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়ার পর যাত্রীতো একেবারেই নেই আমাদের। ঈদের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভালো যাত্রী হচ্ছে, লঞ্চ প্রায় ভরে যাচ্ছে। এমন হলে ঈদের আগের দুই-তিন দিন ছয় থেকে সাতটা করে লঞ্চ চলবে বরিশালে।' ঈদ উপলক্ষে নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু হয়েছে অগ্রিম টিকিট বিক্রিও।

 

২০ এপ্রিল পর্যন্ত গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ কেবিন বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৭ এপ্রিল থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও রোজার শুরু থেকেই অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। অনেকে এসে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করছেন। আবার কেউ ফোন করে কেবিন বুকিং দিচ্ছেন।

 

ঢাকা নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ‘ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গত ঈদ মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ৬৮টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে চলাচল করতো। তবে যাত্রী কমে যাওয়ায় এ বছর ৪৬টি লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরও চাপ থাকলে স্পেশাল ট্রিপের ব্যবস্থা করা হবে।

 

এদিকে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল। ওইদিন বিক্রি হয় ১৭ এপ্রিলের টিকিট। এরপর ৮ এপ্রিল ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল বিক্রি হয় ২১ এপ্রিলের টিকিট। একইভাবে ঈদের ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গতকাল ১৫ এপ্রিল থেকে। ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম দিন অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল বিক্রি হয়েছে ২৫ এপ্রিলের টিকিট। আজ ১৬ এপ্রিল বিক্রি হয়েছে ২৬ এপ্রিলের, ১৭ এপ্রিল ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের, ১৯ এপ্রিল ২৯ এপ্রিলের এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট।

 

এরই মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে। ঈদযাত্রা শুরুর দিন ১৭ এপ্রিল হতে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুত যান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনসমূহের ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে না।

 

এদিকে আসন্ন ঈদে যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে ও ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলরত যেসব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) ছিল, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে প্রতিদিন চলাচল করবে।

 

এছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না। রেলওয়ের তথ্য মতে, ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলোর মধ্যে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ৩ চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ২ ও ৪ চাঁদপুর-চট্টগ্রাম-চাঁদপুর; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ সিলেট-চাঁদপুর-সিলেট রুটে ঈদের আগে ৪ দিন (১৮ এপ্রিল থেকে) এবং ঈদের পরে দিন থেকে ৫ দিন (২৭ এপ্রিল পর্যন্ত) চলাচল করবে।

 

এছাড়া শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ১১ ও ১২ ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ১৩ ও ১৪ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শুধুমাত্র ঈদের দিন চলাচল করবে। ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ বী.মু.সি.ই (পঞ্চগড়)-জয়দেবপুর-বী.মু.সি.ই; ঈদ স্পেশাল ১৫ ও ১৬ ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল এবং ২৪-২৫ এপ্রিল চলাচল করবে।

 

এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ঈদের অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৫৩টি (পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি এমজি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ ৪টি এমজি ও ৯টি বিজি মোট ১৩টি) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ২১৮টি (পূর্বাঞ্চল ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চল হতে ১০২টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

 

এছাড়াও গত সাত এপ্রিল যারা বাসের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তারাও নাড়ির টানে বাড়ি ফিরবেন। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও অগ্রিম বাসের টিকিট বিক্রি করা হয়। কাউন্টার সহ অনলাইনে টিকেট সংগ্রহের ব্যবস্থা ছিল। নামি দামি বাস কোম্পানী গুলোতে অগ্রিম টিকিটের জন্য ভীড় করেন যাত্রীরা। গরম বেশি হওয়ায় শুরুর দিকে এসি বাসের টিকিচের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৮ ও ১৯ এপ্রিলের টিকিটের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে ছোট খাট বাস কোম্পানীর টিকিট এখনও রয়ে গেছে।

 

গত ৭ এপ্রিল বিক্রি হয়েছে ১৭ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট। ৮ এপ্রিল ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল বিক্রি হবে ২১ এপ্রিলের ঈদযাত্রার ট্রেনের টিকিট। এদিকে, ২২ এপ্রিল শনিবার ঈদুল ফিতর ধরে (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) বাস কাউন্টারগুলোতে বিক্রি হয় ১৬ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।

 

সোহাগ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাস ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি ফারুক তালুকদার সোহেল বলেন, নিরাপদ ঈদ সার্ভিসের জন্য পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রাস্তায় যদি যানজট না থাকে তাহলে যাত্রীরা দ্রুত সময়ে ও নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারবেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version