-->
শিরোনাম

ত্রিদেশীয় সফরে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ

অনলাইন ডেস্ক
ত্রিদেশীয় সফরে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ দিনের সরকারি সফরে জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে আজ সকালে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

 

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বাসস’কে জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চাটার্ড ফ্লাইট (বিজি১৪০৩) আজ সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে।’

 

মন্ত্রিসভার সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগন, মহা-পুলিশ পরিদর্শক এবং কূটনৈতিক কোরের প্রধান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

 

বিমানটি টোকিও’র স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এসময় জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকেই সানসুকে ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাহাবুদ্দিন আহমেদ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী অভ্যর্থনা জানাবেন।

 

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

 

এরপর আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে সড়ক পথে ৩০ মিনিট পাড়ি দিয়ে তাঁকে আকাসাকা প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হবে। জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী টোকিও’র এই প্রাসাদেই অবস্থান করবেন।

 

সফরকালে টোকিওর সাথে ঢাকার আটটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংকালে বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর (বাংলাদেশ ও জাপান) উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে।’

 

তিনি আরো বলেন, জাপান সফরকালে কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধাস্বত্ব, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

 

মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল জাপানের স¤্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

 

একই দিন তিনি চুক্তি স্বাক্ষরের পর শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নৈশভোজের মাধ্যমে বৈঠকটি শেষ হবে।

 

জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিনিয়োগ সম্মেলন এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দিবেন।

 

মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ড অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ তুলে দেবেন।

 

২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টোকিওতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং জেট্রোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দিবেন।

 

সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী ও কমিউনিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

 

টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়াও তিনি জাইকা, জেইটিআরও, জেইইআইসি, জেবিপিএফএল, জেবিসিসিইসি’র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকসহ আরও কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিবেন।

 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সহধর্মিণী আকি আবে ও জাপানি এক স্থপতি তাদাও আন্দোর সঙ্গেও দেখা করবেন।

 

এছাড়া,জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘এনএইচকে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করবে।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে থাকবেন।

 

প্রধানমন্ত্রী টোকিও থেকে ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছে বিশ্ব ব্যাংকের সদর দফতরে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ মে, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য কমনওয়েলথ দেশের রাজা ও রাণী হিসেবে তৃতীয় চার্লস এবং তার পতœী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকে যোগদানের জন্য লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ করবেন।প্রধানমন্ত্রী আগামী ৯ মে লন্ডন থেকে ঢাকা পৌঁছবেন।

 

-বাসস

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version