অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে দেশের ছয় জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলা বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। শনিবার ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা নিয়ে বলেন, টেকনাফ ও কক্সবাজারের জন্য সুনির্দিষ্ট করে দুই থেকে তিন মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ভোলার জন্য দুই মিটারের কম উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। তিন মিটারের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হলে আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনের জন্য একটি আশঙ্কা থেকে যায়। সেন্টমার্টিনের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হলেও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের শতভাগ আনা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হবে। এতে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। তবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড কাজ করছে। এখন বাতাসের যে গতিবেগ ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার, এটা বেড়ে হয়তো ১৮০ কিলোমিটার হতে পারে। এর বেশি হওয়ার শঙ্কা নেই। যে কারণে মোখাকে সুপার সাইক্লোন বা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বলা যাবে না।’
বিগত ঘূর্ণিঝড়ে টেকনাফসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে ২০ জনের বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। আর কক্সবাজারের অন্য জায়গায় মারা যান অর্ধশতাধিক। এবার পাহাড়ধসে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যের কোটায় রাখতে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে অতিভারি বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া ১৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য