শাহীন রহমান: দ্বীপজেলা ভোলার ইলিশা-১ কূপকে দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের এ ঘোষণা দেন। বলেন, ইলিশা-১ কূপে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। যেখান থেকে আগামী ২৫ বছর সরবরাহ পাওয়া যাবে। দৈনিক গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস তোলা যাবে। সেই হিসাবে ২৫ থেকে ২৬ বছর গ্যাস ক্ষেত্রটি থেকে গ্যাস পাওয়া যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বর্তমানে মোট গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে ২৮টি, যার মধ্যে ২০টি থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে। ভোলার ইলিশায় নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হওয়ায় এখন এই সংখ্যা দাঁড়াল ২৯টিতে। এসব ক্ষেত্র থেকে প্রতিবছর এক টিসিএফ করে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, ২৮টি গ্যাস ক্ষেত্রে মোট মজুত ছিল ২৮ টিসিএফ গ্যাস। সেখান থেকে ১৯ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলনের পর বর্তমানে মজুত রয়েছে ৯.০৬ টিসিএফ। সব মিলিয়ে ভোলাতে এখন পর্যন্ত ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে। নয়টিতেই গ্যাস পাওয়া গেছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এটিকে একটি রেকর্ড হিসেবে দেখছেন।
তারা বলেন, দেশের অন্য কোনো খনিতে এমন ঘটনা ঘটেনি। এর আগে ভোলা নর্থে গ্যাস পাওয়ার পর ২০১৮ সালে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ঘোষণা করা হয়েছিল ভোলাতে মোট গ্যাসের মজুত রয়েছে দেড় টিসিএফ। এখন বাপেক্স বলছে মজুত বেড়ে দুই টিসিএফ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোলার গ্যাস ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন সম্ভাবনা জেগেছে। বৃহত্তর খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে গ্যাসের সরবরাহ নেই। সরকার খুলনা পর্যন্ত ন্যাশনাল গ্রিড সম্প্রসারিত করলেও তা শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রেই গ্যাস সরবরাহ করছে। ফলে এ অঞ্চলের শিল্প বিকাশ আগের মতোই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বাপেক্স আশা করছে, পাইপলাইন নির্মাণ করা সম্ভব হলে এখান থেকে এখনই প্রতিদিন ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করা যাবে। আরো পাঁচটি কূপ খননের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে যা বেড়ে দৈনিক ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৯৩-৯৪ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিনের শাহবাজপুর ক্ষেত্রে প্রথম গ্যাস আবিষ্কৃত হয়। ভোলায় মোট ৩টি গ্যাসক্ষেত্রে নয়টি কূপ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুরে ছয়টি, সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে দুটি এবং ইলিশায় একটি। ইলিশার নতুন কূপে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন এরই মধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন এর আগে জানিয়েছিলেন, ইলিশায় মাটির ৩ হাজার ৪৩৩ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান মেলে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ইলিশা-১ কূপে গ্যাসের মজুত বিবেচনায় গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারের বিদ্যমান মূল্য বিবেচনায় ইলিশা-১ কূপে গ্যাসের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। ভোলাতে শাহজাদপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা মিলিয়ে প্রায় ২ দশমিক ২৩ টিসিএফ গ্যাস মজুত রয়েছে। প্রতিদিন উত্তোলন করা যেতে পারে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
দ্বীপজেলা ভোলায় পাওয়া গ্যাস মূল ভূখন্ডে আনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে ৬০ এমএমসিএফ গ্যাস নিয়ে এখন কাজ চলছে। ২৫ এমএমসিএফ গ্যাসের মধ্যে ৫ এমএমসিএফ গ্যাস সিএনজি আকারে আনার চেষ্টা চলছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এ কাজটি সম্পন্ন হবে। আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে পাইপলাইন নির্মাণ সম্পন্ন হলে প্রায় ২০০ এমএমসিএফ গ্যাস প্রতিদিন নিয়ে আসা যাবে।
তিনি বলেন, এটা খুবই আনন্দের সংবাদ এবং সৌভাগ্যের। ভোলাতে সব মিলিয়ে প্রায় তিন টিসিএফ গ্যাস মজুত আশা করা হচ্ছে। প্রায় ২৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যাবে। আমাদের একটি প্রসেস প্লান্ট রয়েছে, আরো একটি আনার কাজ শুরু হয়েছে।
আশা করছি, দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে পাইপলাইনে গ্যাস দেয়া সম্ভব হবে। ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনা যাবে একটি পাইপলাইন। প্রি-ফিজিবিলিটি টেস্ট শেষ, এখন ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ চলছে।
সোমবার এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুটি অনুসন্ধান কূপ (টবগী-১ ও ইলিশা- ১) এবং ১টি মূল্যায়ন উন্নয়ন কূপ (ভোলা নর্থ-২) খনন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে তিনটি ক‚প (টবগী ১, ভোলা নর্থ-২ এবং ইলিশা-১) খননের পরিকল্পনা করা হয়।
রাশিয়ার তেল-গ্যাস উত্তোলনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে ওই প্রকল্পের অধীনে টবগী-১, ভোলা নর্থ-২ এবং ইলিশা-১ কূপ খনন করা হয়। এতে প্রতিটি কূপ থেকে দৈনিক গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস প্রাপ্তি পরীক্ষিত হয়।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, এখন পর্যন্ত বাপেক্স যতগুলো খনিতে তেল-গ্যাস উত্তোলন করছে, তার মধ্যে ভোলা সব চাইতে বড় ক্ষেত্র। এর আগে ভোলাতে দেড় টিসিএফ মজুতের ঘোষনা দেয়া হয়েছিল। নতুন করে ইলিশায় গ্যাস পাওয়াতে আরো আধা টিসিএফ মজুত বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভোলার শাহবাজপুরে দৈনিক ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করার সক্ষমতা রয়েছে।
কিন্তু চাহিদা না থাকাতে উত্তোলন করা হয় না। এর বাইরে আরো তিনটি নতুন কূপ খনন করা হয়েছে। এখান থেকে আরো ৬০ থেকে ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট নতুন গ্যাস তোলা সম্ভব হবে। সব মিলিয়ে এখান থেকে এখনই ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। তবে ভোলাতে যেহেতু পাইপলাইন নেই, এ করাণে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পনিকে (জিটিসিএল) দ্রুত পাইপ লাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা জরিপ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোলাতে আরো ৫টি নতুন কূপ খনন করা হবে, যাতে আরো দৈনিক ১০০ থেকে ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনা পর্যন্ত গ্যাস আনা গেলে ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যোগ করা সম্ভব। খুলনাতে সরকার একটি ৮০০ মেগাওয়াটের গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। শুরুতে ভারত থেকে এলএনজি আমদানি করে কেন্দ্রর গ্যাসের চাহিদা মেটানোর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু পরে আবার পেট্রোবাংলাই সেখানে গ্যাস সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে।
কিন্তু একটি ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে যে পরিমাণ গ্যসের প্রয়োজন হবে, তা সত্যি সত্যি সেখানে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে ভোলা থেকে গ্যাস আনা সম্ভব হলে পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতির চালচিত্রই বদলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর জানান, দুই টিসিএফ অনেক গ্যাস। এটি মূল ভূখন্ডে আনা গেলে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন খাত ও অনেক শিল্প, কলকারখানা গড়ে ওঠায় ২০০১ সালের পর গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যায়। বিইআরসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জ্বালানি খাতের প্রায় ৪৬ শতাংশ গ্যাস খাত থেকে সরবরাহ করা হয়। গ্যাসের চাহিদা মেটাতে ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশের সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে শুরু করে। কারণ দেশে ৪০০০ মিলিয়ন ঘনফুটের চাহিদা থাকলেও প্রতিদিন তিন হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে কোম্পানিগুলো। যার মধ্যে ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানি করা এলএনজি গ্যাস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ২০১০ সাল থেকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেশে গ্যাসের অনুসন্ধান শুরু করে। সে সময় ২০১১ সালে নোয়াখালীর সুন্দরপুরে এবং ২০১২ সালে কুমিল্লায় গ্যাসক্ষেত্র পাওয়া যায়। এছাড়া ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি গ্যাসক্ষেত্র পাওয়া গেলেও সেটি থেকে এক বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলার পর বন্ধ হয়ে যায়।
ভোলার ভাদুরিয়ায় ২০১৮ সালে একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে বাপেক্স। সর্বশেষ ২০২১ সালে সিলেটের জকিগঞ্জে একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়। তবে এই দুটি থেকে এখনো পুরোপুরি উত্তোলন শুরু হয়নি। তারা জানান, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র-বিরোধ নিষ্পত্তি হলেও বঙ্গোপসাগরে এখনো কোনো অনুসন্ধান কূপ খনন করতে পারেনি বাংলাদেশ। সাগরে এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া একমাত্র গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গুও পরিত্যক্ত হয়েছে। সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ইতোমধ্যে সমুদ্র ব্লক গুলোকে ২৬টি ব্লকে ভাগ করেছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলছেন, বিশ্বে যেখানে পাঁচটি কূপ খনন করলে একটা গ্যাসক্ষেত্র পাওয়া যায়, আমাদের এখানে গড়ে প্রায় তিনটা কূপ খনন করলে একটা মেলে। ফলে এখানে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। দেশে যে জ্বালানি গ্যাসের বিপুল সম্ভাবনা আছে, সেটা বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছে তুলে ধরতে হবে। সেইসঙ্গে দামের ক্ষেত্রেও সমন্বয় করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি চোখে আঙুল দেখিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, জ্বালানির জন্য নিজস্ব দীর্ঘমেয়াদি উৎস থাকা দরকার। সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র বিকল্প হতে পারে গ্যাসের আরো অনুসন্ধান ও উৎপাদন জোরদার করা। ভোলায় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার দেশের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোলায় স্থলভাগে আবিষ্কৃত গ্যাস ছাড়াও সাগরাঞ্চলে আরো গ্যাস পাওয়ার আশা রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই ভোলায় গ্যাস অনুসন্ধান করা হচ্ছিল। এই প্রথম ভোলা নর্থ প্রকল্পের আওতাধীন নদীর ঠিক ওপরের দিকে নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার করা হয়েছে। আরো আশাবাদী, কারণ ভোলার অনশোর বাদ দিয়েও অফশোর বা সাগরে ড্রিলিংয়ের দিকে যাব।
গ্যাস সঞ্চালনের বিষয়ে বলেন, ভোলার সব গ্যাস নিয়ে একটা পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। ভোলা থেকে ফেনী পর্যন্ত একটি পাইপলাইন তৈরি এবং ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনার দিকে একটি পাইপলাইন তৈরির জন্য কাজ করছি।
এ মুহূর্তে বরিশালের দিকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ শুরু হচ্ছে। বরিশাল থেকে এই পাইপলাইন মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ হয়ে ঢাকায় চলে আসবে। আরেকটা লাইন যাবে খুলনার দিকে। পায়রা থেকে এফএসআরইউর মাধ্যমে যে এলএনজি আসবে, সেটি ৬৭ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ভোলা-বরিশাল লাইনের সঙ্গে যুক্ত হবে। অর্থাৎ আমরা একটা রিং ফেইজ ইনস্টল করছি সারা বাংলাদেশে, যার মাধ্যমে প্রতিটি এলাকা গ্যাসের আওতায় আসবে।
বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলা ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাস ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা ব্যবহার করার সুযোগ পাবে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই শিল্প, কারখানা ও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ভোলা থাকবে অগ্রাধিকারে। এ মুহূর্তে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ আছে। সে কারণে ভোলাতেও এখন আবাসিক সংযোগ দেয়া হচ্ছে না।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কীভাবে গ্যাস সুবিধা দেয়া যায় সে চিন্তা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য