-->
শিরোনাম

সবজির দাম কমছেই না, অস্বস্তিতে আদায়ও

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
সবজির দাম কমছেই না, অস্বস্তিতে আদায়ও

লাগাম টানা যাচ্ছে না সবজির দামে। দিন যাচ্ছে আর দাম বাড়ছে হুহু করে। ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন কবে এর দাম কমবে। কিন্তু এর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

 

গত ঈদুল ফিতরের পর হঠাৎ বেড়ে যায় সব ধরনের সবজির দাম। তখন থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। দু-একটি সবজির দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও বেশিরভাগের দাম কমেনি। এতে করে সবজির বাজারে এসে প্রতিটি ক্রেতাকে বাড়তি দামের জন্য হোঁচট খেতে হচ্ছে।

 

বিক্রেতারা বলছেন, নতুন সবজি উঠলে দাম কিছুটা কমবে।

 

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার বাড়তি দামেই বিক্রি হতে দেখা বেশিরভাগ সবজি। কমেনি আদার দামও।

 

বাজারে বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০, বেগুন প্রতি কেজি ৬০, ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি ৬০, করলা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০, মুলা প্রতি কেজি ৬০, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৮০, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১৬০, টমেটো প্রতি কেজি ৬০, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০, কাঁচকলা প্রতি হালি ৪০ এবং মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

এক মাস আগেও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। সেটি এখন বাজারে ক্রেতা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের পর এখন আবার বেড়েছে আদার দাম। ক্রেতা পর্যায়ে মানভেদে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়।

 

মহাখালী বাজারে বাজার করতে আসা গার্মেন্ট কর্মী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে বলতে গেলে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। যেটারই দাম করা হচ্ছে তার দামই ৬০ টাকা বা তার চেয়ে বেশি। প্রতিটি সবজির এত দাম হলে আমরা সাধারণ মানুষ কিনতে পারব না। আজ প্রায় এক মাস ধরে প্রতিটি সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

 

আগে যদি ১ কেজি সবজি কিনতাম এখন বাড়তি দামের জন্য আধা কেজি করে কিনি। কিন্তু বাজারে আসলে হিসেবে মেলে না।

 

সবজির বাড়তি দামের বিষয়ে মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা আহমদ আলী বলেন, কিছুদিন আগে করলা, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, বরবটি ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। সেই তুলনায় এগুলোর দাম কিছুটা কমেছে। মূলত শীতের সময় সবজির দাম কম থাকে, অন্য সময় একটু বেশি থাকে। তবে এবার একটু বেশি বাড়তি দাম যাচ্ছে সবজির।

 

কারওয়ানবাজার থেকে পাইকারিতে আদা কিনে এনে খুচরা বিক্রি করেন হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আমাদের দেশে আমদানি করা আদার প্রায় অর্ধেক আনা হয় চীনা আদা আর বাকি আদা বার্মিজ, ইন্দোনিশায়া, ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশ থেকে। কিছুদিন ধরে বাজারে চীনা আদা আসছে না, তাই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

 

অন্যদিকে এবার দেশি আদার উৎপাদনও কম হয়েছে সবকিছু মিলিয়ে আদার দাম বাড়তি যাচ্ছে। তবে ঈদের আগে আর আদার দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

 

রাজধানীর মহাখালী বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সরোয়ার আলম বলেন, যেহেতু চাকরি করি তাই শুক্রবার ছুটির দিনে একবারে সপ্তাহের বাজার করে নিই। বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি যা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই অস্বস্তির।

 

সেইসঙ্গে আজ আদার দাম দেখলাম আরো বাড়তি, এগুলো কি মনিটরিং করার কেউ নেই?

 

২৮০ থেকে ৩২০ টাকায় প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে যা সাধারণ ক্রেতাদের আরো অস্বস্তিতে ফেলেছে। বাজারে এমন কিছু নেই যার দাম বাড়তি যাচ্ছে না।

 

এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী, কিছুদিন আগেও আমদানি করা আদা বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকায়। আর এক মাস আগে এই আদা বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। সেইসঙ্গে গত বছরের এ সময় আদা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version