বিশ্ব বরেণ্য সঙ্গীতঅজ্ঞ উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, শচীন দেববর্মণ এবং নালন্দা মহাবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আচার্য শীলভদ্রের আবাসভূমি এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিধন্য সংস্কৃতির তীর্থভূমি কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, দুদিনব্যাপী বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের ‘বিশ্ব সম্মেলন’। আয়োজন ঘিরে সাংস্কৃতিক বোদ্ধারা উচ্ছ্বসিত।
সম্মেলনের সদস্য সচিব বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী কাজী মাহতাব সুমন জানালের সম্মেলনের থিম সঙ্গীত বানানো হয়েছে, বাংলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে। তাছাড়া এযাবত যতগুলো কমিটি হয়েছে, তার অনুমোদন ছাড়াও পাঁচ বছরের কর্ম পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তারা মনে করেন, সাংস্কৃতির পণ্ডিদের আবাসভূমি কুমিল্লা এবং তারা সকলেই বিশ্ব সাংস্কৃকি ক্যানভাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র। কৃর্তিমান ও স্মরণীয় সাংস্কৃতিক পুরোধাব্যক্তিত্ত্বের আবাসভূমিতে বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের প্রথম ‘বিশ্ব সম্মেলনে’ দেশ-বিদেশের ১৫০জন প্রতিনিধি যোগ দেবার কথা রয়েছে। ভারত থেকে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সেবক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মন্ত্রী, এমপি, জনপ্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ শতাধিক ব্যক্তি যোগ দেবার কথা রয়েছে।
উদ্যোক্তারা মনে করেন, সম্মেলনটি শিল্প-সাহিত্যিক এবং সর্বস্তরের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হবে। সম্মেলন ঘিরে কুমিল্লায় ‘বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের’ আয়োজকদের নির্ঘুম রাত কাটচ্ছে।
কুমিল্লার প্রাণ কেন্দ্র রাজা বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তনে ২ জুন মহাআয়োজনের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সম্মেলনে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী, কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহম্মদ রবি, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত ও আগরতলা পুরসভার মেয়র প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন।
পশ্চিববঙ্গ, আগরতলা ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের স্রোতস্বীনিতে যোগ দেবেন সাংস্কৃতিক ভূবনের বাসিন্দারা। উদ্যোক্তারা জানালেন, টাউন হলের সুবিশাল চত্বরে একসঙ্গে কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন।
কুমিল্লা সদরের সংসদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত এবং গর্বিত। বলেন, এমন আয়োজন কুমিল্লা দাবি রাখে। বাংলা সাংস্কৃতি বলয়ের আয়োজনের সফলতা কামনা করে এই জনপ্রতিনিধি বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে কেবল বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেনি, সাংস্কৃতিক উত্তোরণের দুয়ার খুলে দিয়েছেন অবিসংবাদীত নেতা।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রতিটি উৎসবের সমৃদ্ধ আয়োজন হয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় এই সম্মেলনটি আরও একটি স্মরক হয়ে থাকবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য