-->
শিরোনাম

কোরবানির পশুর হাটে অভিযান চালাবে ভোক্তা অধিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
কোরবানির পশুর হাটে অভিযান চালাবে ভোক্তা অধিকার

কোরবানির পশুর হাটে ভোক্তা অধিকার অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

 

তিনি বলেছেন, কোরবানির পশুর হাটে আমাদের ব্যাপক কার্যক্রম থাকে। ইনজেকশন দিয়ে যেসব পশু মোটাতাজা করা হয়, সেইসব পশু সুস্থ কিনা, তা নিশ্চিত করতে পশুর হাটে অভিযান চালানো হবে।

 

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ‘ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার সুফল পাওয়া যাচ্ছে’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এই ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা। এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা।

 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, ঈদের সময় অনেক ক্ষেত্রে গরুর ট্রাকগুলো ঢাকায় ঢুকতে পারে না। সে সময় গরুর সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। পথে-পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। এটা নিয়ে আমরা কাজ করব। খুব শিগগিরই কোরবানির পশুর হাট নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মিটিং হবে।

 

সেখান থেকে আমরা বেশ কিছু নির্দেশনা পাব। শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশনে নয়, প্রতি জেলায় আমাদের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কাজ করবেন। যাতে করে গরুর হাটে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে গরুর দাম বাড়াতে না পারে।

 

ভোক্তাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমরা সবাইকে সম্পৃক্ত করে কাজ করতে চাই। এককভাবে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে পারবে না। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গেলে সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। একদিকে যেমন ভোক্তাকে সচেতন হতে হবে, অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। অবৈধ ব্যবসায়ীরাও ধীরে ধীরে পরিবর্তন হবেন।

 

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ কিরণ চৌধুরী বলেন, প্রতিটি ভোক্তারই নিরাপদ, মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে ভোক্তারা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।

 

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা, সাংবাদিক হিরযুন মীরা, স্থপতি সাবরিনা ইয়াসমিন মিলি প্রমুখ।

 

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও সনদপত্র দেয়া হয়।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version