-->
শিরোনাম
নিরাপদ মাতৃত্বের বাইরে ৪৫ শতাংশ মা

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ

নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতকরণে পিছিয়েছে বাংলাদেশ। শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার নিম্নমুখী থাকলেও দেশে মাত্র ৫৫ শতাংশ মায়ের নিরাপদ মাতৃত্ব সুবিধা নিশ্চিত করতে পেরেছে সরকার। এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ বার পালিত হচ্ছে বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস।

 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এখনো ৬৮ শতাংশ প্রসব বাড়িতে হয় এবং অবশিষ্ট ৩২ শতাংশ হয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবা প্রদানকারীদের মাধ্যমে। গর্ভকালীন ১৪ শতাংশ মহিলাই নানাবিধ ঝুঁকিপূর্ণ জটিলতায় ভোগেন, যা মাতৃ মৃত্যুর জন্য বহুলাংশে দায়ী। মাত্র ৬৮ শতাংশ গর্ভবতী মহিলা একটি প্রসবপূর্ব সেবা এবং ২৬ শতাংশ মহিলা চারটি প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণ করে থাকেন।

 

প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, গর্ভকালীন জটিলতা, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা ও পরিবারের অবহেলা মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তবে ৫১ শতাংশ মৃত্যুই রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনির কারণে হয়ে থাকে বলে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকার ঘোষিত মাতৃ মৃত্যুহার হ্র্রাসের পরিসংখ্যান ও প্রচলিত মাতৃস্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলিজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা ভোরের আকাশকে বলেন, মা এবং বাচ্চার সুস্থতার জন্য উচ্চমানের সেবার নিমিত্তে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটাই নিরাপদ মাতৃত্ব। এ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য মাতৃ মৃত্যুহার কমানো এবং নবজাতকের মৃত্যু ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা রোধ করা।

 

তিনি বলেন, বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ৮৩০ জন মা মারা যান গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন জটিলতার কারণে। ৯৯ শতাংশ এ মৃত্যু ঘটে উন্নয়নশীল দেশে। নিরাপদ মাতৃত্বের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো কমিউনিটিতে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা, রেফারালের সুবিধা বাড়ানো এবং যোগাযোগের উন্নীতকরণ। ডা. গুলশান আরা আরো বলেন, নিরাপদ মাতৃত্বের ছয়টি পিলার হলো

 

পরিবার পরিকল্পনা, গর্ভবস্থায় মায়ের সেবা, প্রসবকালীন মা ও নবজাতকের সেবা, প্রসবপরবর্তী সেবা, গর্ভপাত পরবর্তী সেবা এবং যৌনরোগ/এইচআইভি/এইডস নিয়ন্ত্রণ করা।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version