তাপদাহের হাত থেকে যেন রেহাই মিলছে না। কবে নাগাদ বৃষ্টি হবে, তা-ও ঠিকমতো বলতে পারছে না আবহাওয়া অফিস। প্রচন্ড গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। এমনই সময় যোগ হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। যানজটও কম ভোগাচ্ছে না।
গত কয়েকদিন ধরেই অসহনীয় গরমে হিমশিম খাচ্ছেন দেশবাসী। সব মিলিয়ে এক অসহনীয় পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়ার এ তীব্রতার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে এখন মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এটি আগামী ৫-৬ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহের কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এখন মৌসুমি বায়ু আসার সময়। সাধারণত ৩১ মের মধ্যে এটি উপকূলের টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর তা বিস্তার লাভ করে। কিন্তু এবার আসতে দেরি হচ্ছে। এ কারণেও কাক্সিক্ষত বৃষ্টির দেখা মিলছে না।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী ৫-৬ দিন এমন মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকার জন্য গরমের অনুভূতিও বেশি হতে পারে। তবে সারা দেশে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলেও কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
তারা জানায়, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এতে গরম কমবে না।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, নওগাঁ, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ তাপপ্রবাহ আরো চলতে পারে।
তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তাহলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে।
৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়, যখন তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আর অতি তীব্র হয় ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য