স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, পশু কোরবানি এবং দ্রুততম সময়ে পশুর বর্জ্য অপসারণে সকল সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
এছাড়াও নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যাতে পশুর হাট না বসে এবং তা জনজীবনে কোন প্রকার অসুবিধার সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদ উল আযহা, ২০২৩ উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতি, পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে প্রস্তুতি পর্যালোচনামূলক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সভাপতিত্ব শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরদানকালে এ কথা বলেন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, কোরবানি পশুর বর্জ্য সূর্যাস্তের পূর্বেই সংগ্রহ করার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক কমিটি করা হয়েছে যাতে কোরবানি পশুর রক্ত ও বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা হয়।
জনগণ উদ্বুদ্ধ ও সচেতন হলে এবং সহযোগিতা করলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও সংগ্রহ করা সহজ হয় বলেও জানান তিনি।
মোঃ তাজুল ইসলাম আরো বলেন, পশুর হাট যেন ডেংগু ছড়ানোর উৎস না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় মন্ত্রী কোরবানির পশুর হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় মেশিন স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বলেন, এছাড়াও মোবাইল ফিনানশিয়াল মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য সকল আয়োজন রাখা হবে।
ছাদ বাগান বিষয়ক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, নির্দিষ্ট মানদন্ড অনুসরণ করে ছাদে বাগান এবং সবজি চাষ করাকে উৎসাহিত করার জন্য সকল সিটি কর্পোরেশনভুক্ত এলাকায় বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স এ ১০% ছাড় দেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য