চলতি বছরের মে মাসে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৬৪টি। এর মধ্যে ১৮৫ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৮১ জন নিহত ও ১১৪ জন আহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৮ জন নিহত ও ৭৬৯ জন আহত হয়েছেন। আর এ সময়ে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৫৬৪টি দুর্ঘটনায় ৫২৭ জন নিহত ও ৭৭৯ জন আহত হয়েছেন।
একই সময় রেলপথে ৫০টি দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। নৌপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, আহত আটজন ও ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১০ জন নিহত ও ১৫১ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সিলেট বিভাগে।
২৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ৬২ জন আহত হয়েছেন। সড়কে দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তির মধ্যে ১২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৮২ জন চালক, ৯১ জন পথচারী, ৫৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭৫ জন শিক্ষার্থী, ১৩ জন শিক্ষক, ৭৮ জন নারী, ৬৩ জন শিশু, চারজন সাংবাদিক, পাঁচজন চিকিৎসক, দুইজন মুক্তিযোদ্ধা এবং আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সেনাসদস্য, ১৩৭ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৮৩ জন পথচারী, ৫৩ জন নারী, ৪৫ জন শিশু, ৩৯ জন শিক্ষার্থী, ৩০ জন পরিবহন শ্রমিক, সাতজন শিক্ষক, চারজন চিকিৎসক, দুইজন সাংবাদিক, দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পাঁচজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
এ সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংঘটিত ৬৮৭টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাস, ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩ দশমিক ২০ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহেন্দ্র-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬ দশমিক ১১ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ গাড়িচাপা দেয়ার ঘটনা, ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ বিবিধ কারণে, শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ গাড়ির চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং ১ দশমিক ৪১ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ২৬ দশমিক ৮১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ৪১ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১ দশমিক ৪১ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য