-->
শিরোনাম

অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা: র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা: র‌্যাব

র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

সোমবার দুপুরে গাবতলী কোরবানির পশুর হাট ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

 

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনলাইনে অনেকে পশু কেনাবেচা করেন। এই অনলাইনে পশু কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য র‌্যাবের সাইবার টিম কাজ করছে। বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। যারা অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে মঈন বলেন, আমরা বেশ কিছু অনলাইন পশু কেনাবেচার পেইজ শনাক্ত করেছি। যারা কোরবানির পশু বেচাকেনা করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরবরাহ করেনি, ঈদের এখনো দুই দিন বাকি আছে। আমরা মনিটরিং করছি।

 

মঈন বলেন, পশুর হাটগুলোতে হাসিল ঘর রয়েছে। অনেকের কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ এসেছে। আমাদের মোবাইল টিম রয়েছে সবগুলো হাটে, অতিরিক্ত হাসিল গ্রহণ করলে আমাদের জানান, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

তিনি বলেন, হাটে প্রচুর কোরবানির পশু বেচাকেনা হয়, এই কোরবানির পশু বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিক দ্রব্য খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করে অথবা অস্বাস্থ্যকর গবাদি পশু বিক্রি করে। এসবের বিরুদ্ধে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ভেটেনারি ডাক্তারের সমন্বয়ে র‌্যাব একটি টিম গঠন করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। বিভিন্ন হাটে এই টিম পর্যবেক্ষণে যাচ্ছে। সকাল থেকে গাবতলী হাটেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ জন ব্যবসায়ীকে সতর্ক করেছি। হাটকেন্দ্রিক দালাল, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, প্রতারক চক্র ও জাল টাকা কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। রোববার রাত থেকে অভিযানে প্রতারণা, ছিনতাইয়ে জড়িত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, হাটকেন্দ্রিক প্রচুর টাকার নগদ লেনদেন হয়।

 

যেখানে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জাল টাকা নিয়ে হাটে আসেন, লেনদেনের চেষ্টা করেন। হাটে জাল টাকা শনাক্ত করার মেশিন রেখেছি। সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের উদ্দেশে মঈন বলেন, আপনারা যারা পশু হাটে ক্রয়-বিক্রয় করবেন, তারা নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিন, প্রয়োজনে লেনদেনের টাকা জাল কিনা নিশ্চিত হতে মেশিনে জাল টাকা শনাক্ত করুন, এতে করে আমরা জাল টাকা কারবারিদের আইনের আওতায় আনতে পারব।

 

গত কয়েকদিনে ৫০ জনের বেশি জাল টাকার কারবারি আটক ও তাদের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা (জাল) জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

 

তিনি বলেন, নারী ক্রেতারা অনেক সময় ভোগান্তি-হয়রানির, ইভটিজিংয়ের শিকার হন। কেউ প্রতারিত বা ভোগান্তির শিকার হলে র‌্যাব কন্ট্রোল রুমে অভিযোগ করুন, আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

মঈন বলেন, বিভিন্ন সময় পশুর চামড়ার সঠিক মূল্য পান না প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে। আমি তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, আমাদের গোয়েন্দা শাখার একাধিক টিম কাজ করছে। আমরা বেশ কিছু তথ্য ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছি। চামড়া বেচাকেনা সিন্ডিকেট করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

মহাখালী ও সাভারে গোয়েন্দা টিম অভিযান পরিচালনা করে দালালচক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া গরু চুরি ঠেকাতেও কাজ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মঈন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version