-->
শিরোনাম

মাঠে থাকবে র‌্যাব-পুলিশের ৩০ হাজার সদস্য

রুদ্র মিজান
মাঠে থাকবে র‌্যাব-পুলিশের ৩০ হাজার সদস্য

রুদ্র মিজান: একদিকে বিএনপির সমাবেশ, অন্যদিকে প্রায় একই সময়ে শান্তি সমাবেশ ডেকেছে আওয়ামী লীগ। নয়াপল্টনে বিএনপি আর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৩০ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে নয়াপল্টনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। এর মধ্যে পোশাকধারী পুলিশ সদস্য থাকবে প্রায় ২০ হাজার। অনভিপ্রেত যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত থাকবে তারা। কোনো সহিংসতা ঘটাতে চাইলে তা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করার নির্দেশনা রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি।

 

এদিকে, সমাবেশ সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিএনপি। দীর্ঘ ১৫ বছর পর রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় শোনা গেছে তাদের সমাবেশের প্রচারণার মাইকিং। এ উপলক্ষে বিপুল জনসমাবেশ ঘটাবে দলটি। ইতোমধ্যে ঢাকা ও আশপাশের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলসহ সমাবেশে যোগ দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। সেইসঙ্গে বিএনপিপন্থি পেশাজীবী সংগঠনগুলোও এতে অংশগ্রহণ করবে। সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে এই সমাবেশ ডেকেছে দলটি। অন্যদিকে, শান্তি সমাবেশের নামে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

 

বিএনপি নেতাকর্মীদের ধারণা, নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল, ফকিরাপুল, পুরানা পল্টন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে তাদের সমাবেশ। নেতাকর্মীসহ বিপুল জনসাধারণের উপস্থিতি ঘটবে এতে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীদের কাক্সিক্ষত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ।

 

তিনি মনে করছেন, পুলিশ তাদের সহযোগিতা করবে। তবে সমাবেশের নামে সরকারবিরোধী সহিংস কোনো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হলে তা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এজন্য সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে গোয়েন্দারা। কাকরাইল, পুরানা পল্টন ও ফকিরাপুল এলাকায় সাঁজোয়া যান প্রস্তুত রাখা হবে। বিভিন্ন বহুতল ভবনের ছাদে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তারা অত্যাধুনিক বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন। সেইসঙ্গে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের অফিস, বাসভবনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে গতকাল থেকেই।

 

গতকাল সন্ধ্যা থেকেই দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় র‌্যাব ও পুলিশের একাধিক টিমকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। বিএনপির এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত দুদিন থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় এসেছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

 

সূত্রমতে, কেন্দ্র থেকে এ ধরনের কোনো জোরালো নির্দেশনা না থাকলেও স্বেচ্ছায় অনেকেই ঢাকায় এসেছেন। তাদের বেশিরভাগই ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী।

 

অন্যদিকে, শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, সমাবেশের নামে বিএনপি কোনো বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা করার চেষ্টা করলে তা প্রতিরোধ করা হবে। এজন্য আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতকর্মীদের জোরালো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঢাকার দুই সিটির প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড থেকে মিছিলসহ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন তারা।

 

এসব বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, এসব ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ডিএমপি সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। সমাবেশের নামে কাউকে কোনো ধরনের নাশকতা করতে দেয়া হবে না। সব ধরনের নাশকতা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version