রুদ্র মিজান: ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বের বৃহত্তম এইচআইভি বিজ্ঞান সম্মেলনকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার গবেষক, সমাজকর্মী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জড়ো হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। এতে এইচআইভি গবেষণায় বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি, সমস্যা ও করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী এ বিষয়ে সুশিক্ষার মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করতে সচেতনতা শিক্ষাই প্রতিরোধ করবে এইডস।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে এই সম্মেলনের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক এইডস সোসাইটি। এতে যোগদান করেন আন্তর্জাতিক গবেষণা স¤প্রদায়ের তিন সহস্রাধিক সদস্যসহ প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। এই উপলক্ষে ব্রিসবেন শহরের ব্রিজ এবং কনভেনশন সেন্টার ভবনে লাল ফিতা প্রতিফলিত করতে লাল রঙে আলোকিত করা হয়, যা এইচআইভিতে আক্রান্ত মানুষের জন্য সচেতনতা এবং সমর্থনের সার্বজনীন প্রতীক। এএসএম গ্লোবালের পরিচালিত চার দিনের এ সম্মেলন, বিশ্বব্যাপী এইচআইভির প্রতি অস্ট্রেলিয়া এবং কুইন্সল্যান্ডের অগ্রণী প্রতিক্রিয়া উপস্থাপন করেছে।
এই সম্মেলনের আয়োজন অস্ট্রেলিয়ার জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ নির্মূলের লক্ষ্যে পৌঁছানোর শুভ বার্তার প্রতীক। অবশ্য ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় এর পতনের হার বিশ্বের সেরাদের মধ্যে রয়েছে।
আইএএস ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট প্রফেসর শ্যারন লুইস, (অস্ট্রেলিয়ার পিটার ডোহার্টি ইনস্টিটিউট ফর ইনফেকশন অ্যান্ড ইমিউনিটির ডিরেক্টর) বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া মহামারির শুরু থেকেই এইচআইভির প্রতি প্রগতিশীল পদ্ধতি বজায় রেখেছে।
নিরাপদ যৌন সম্পর্কের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। সম্মেলনে অধ্যাপক লেউইন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া এইচআইভি ভার্চুয়ালি নির্মূল করার জন্য প্রথম না হলেও প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি হতে প্রস্তুত। সম্মেলনে এইডস প্রতিরোধে বিজ্ঞানের অসামান্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, বিশ্বকে সুরক্ষিত করতে শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করছেন।
এই সম্মেলন (আইএএস) এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এইচআইভির চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্যের দিকেও মনোযোগ কেন্দ্রীভ‚ত করবে। সেইসঙ্গে মনোযোগ কেন্দ্রীভ‚ত করবে এই অঞ্চলের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লোকেদের দিকেও। বিসিইসির মহাব্যবস্থাপক গোয়েসডন বলেন, এইচআইভি বিজ্ঞানবিষয়ক আন্তর্জাতিক এইডস সোসাইটির সম্মেলনের জন্য ব্রিসবেনে প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত।
উল্লেখ্য, বিসিইসি অ্যাডভোকেট এবং কনফারেন্স চেয়ার, প্রফেসর চার্লস গিলকস, কুইন্সল্যান্ড হেলথ অ্যান্ড ট্যুরিজম এবং ডেভেলপমেন্ট অস্ট্রেলিয়ার মাধ্যমে কুইন্সল্যান্ড সরকারের জোরালো সমর্থনে এএসএইচএম (অস্ট্রেলাসিয়ান সোসাইটি ফর এইচআইভি, ভাইরাল হেপাটাইটিস এবং সেক্সুয়াল হেলথ মেডিসিন)-এর সঙ্গে ইভেন্টটি সুরক্ষিত করতে নেতৃত্ব দেন।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য