-->
শিরোনাম

শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার: সাংস্কৃতিক উৎসবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার: সাংস্কৃতিক উৎসবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা

দেশের সমতল অঞ্চলের ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীদের ‘শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার’ শ্লোগানে মুখরিত হলো ময়মনসিংহ শহর। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট প্রদান করে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণ।

 

পাশাপাশি তারা জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে অভিযোগ করেন, দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একটি স্বার্থান্বেষী চক্র তাদেরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন, হুমকি প্রদান এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। ওই স্বার্থান্বেষী মহলের উচ্ছৃঙ্খলতা ও ব্যক্তি স্বার্থকেন্দ্রিক কাজকর্ম আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। এবিষয়ে দলীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণ।

 

ময়মনসিংহের এডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে বিভাগীয় উদযান কমিটি আয়োজিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উৎসবে তারা এমন অঙ্গীকার ও অভিযোগ ব্যক্ত করেন। উদযাপন কমিটির আহব্বায়ক সমূয়েল চিরান, যুগ্ম আহব্বায়ক জয়ন্ত হাজং মানিক ও সদস্য সচিব ছিলেন অখিল চন্দ্র বর্মন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন(টিডব্লিউএ), কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সেক্রেটারী বিপুল হাজং।

 

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য ও ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান সাংবাদিক নিখিল মানখিন এর সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশনে উদ্বোধক হিসেবে ময়মনসিংহ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহব্বায়ক এডভোকেট জালাল উদ্দিন খান এবং প্রধান অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।

 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ-১ আসন(হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি নি:শেষ দ্রং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধোবাউড়া আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন, ময়মনসিংহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভানেত্রী আফরোজা হক কলি ও কৃষিবিদ ডা. সামসুন্নাহার পারভীন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল কাদির খান প্রমুখ।

 

সাংবাদিক নিখিল মানখিনের সভাপতিত্বে উৎসবটির দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন নেত্রকোনা-১ আসনের(দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশতাক আহমেদ রুহী।

 

ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, গাজীজপুর জেলার গারো, হাজং , কোচ, ডালু,বানাই, হদি, বংশী(বর্মন), ভ‚ঁইমারি সম্প্রদায়ের ৫ শতাধিক সদস্য এই সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশ নেন।

 

জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী নির্বিশেষে সহাবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্যই স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িকভাবে সম্প্রীতি বজায় রেখে সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করেছে। সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ কর্মে নিয়োজিত থেকে দেশ গড়ার কাজে অবদান রাখছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার আহব্বান জানান মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।

 

সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশতাক আহমেদ রুহী বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি এ দেশের অমূল্য সম্পদ। সাংস্কৃতিক নানা উপাদান এসব জাতিগোষ্ঠীর সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। জাতীয় উন্নয়নের জন্যই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির বিকাশে কাজ যাচ্ছে বর্তমান সরকার।

 

তিনি বলেন, সংস্কৃতি হলো আত্মা বা মনের কর্ষণ। বিভিন্ন সমাজের প্রাপ্ত সামাজিক আচরণ ও নিয়মকানুনের সামষ্টিক বহিঃপ্রকাশ। বাংলা, বাঙালি ও বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে যার জীবন, সংগ্রাম ও রাজনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে তিনি বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনসহ সব আন্দোলনের অগ্রনায়ক ছিলেন।

 

অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনাই বাংলার হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষকে একতাবদ্ধ করে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তীব্র গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়ে উঠেছিল।

 

পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের উৎকর্ষ সাধানে বহু পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন এবং অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version