মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত ৭ চিকিৎসকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ১৬ বছরে ১০ বার মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে তারা। রোববার দুপুর ১২টায় মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
তিনি জানান, পাবলিক পরীক্ষা এলেই একশ্রেণির চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সিআইডির তদন্তে বিগত ১৬ বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধ উপায়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে শত কোটি টাকা আয়ের প্রমাণ মিলেছে। এই চক্রের সদস্য ৮০ জন হলেও ৭জন চিকিৎসকসহ ১২জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
২০২০ সালে মিরপুর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলায় দায়ী ব্যক্তিরা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী ছিল। এদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় অর্থোপেডিক ও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক। এদের অনেকেই প্রাইমেট মেডিকো ও থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত বলে জানান সিআইডি প্রধান।
সিআইডির তদন্তে আরও উঠে আসে, ১৬ বছরে ১০ বার মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে অভিযুক্তরা। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১৯টি ল্যাপটপ, নগদ টাকা, চেক, ডেবিট ক্রেডিট কার্ড ও ভর্তির প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়েছে।
সিআইডি প্রধান জানান, ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্র পেয়ে যারা চিকিৎসক হয়েছেন বা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়ছেন তাদের অনেককেই চিহ্নিত করা হয়েছে। শিগগিরই তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া গ্রেপ্তার চিকিৎসকদের মধ্যে চারজন বিএনপি এবং একজন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান তিনি।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য