-->

সাংবাদিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে করা হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাংবাদিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে করা হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

নাগরিক টেলিভিশনের রিপোর্টার ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সদস্য আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে করা ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিএইচআরএফ সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকাল দুপুর ১২টাঢ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

 

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিএইচআরএফ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিখিল মানখিন বলেন, একজন সাংবাদিক যখন প্রতিবেদন তৈরি করেন তখন তিনি আপন পর ভাবেন না, বস্তুনিষ্ট সংবাদ তৈরি করেন। নাগরিক টিভির আনোয়ার হোসেন একটি বন্তুনিষ্ঠ সংবাদ করেছেন। আমাদের ভাই আনোয়ারের রিপোর্ট একটি স্বার্থান্বেষী মহলের আঘাত হানায় এ মামলা করেছে। আনোয়ারের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক মামলার নিন্দা জানাচ্ছি, দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহার করা হোক।

 

বিএইচআরএফ এর সহ-সভাপতি সেবিকা দেবনাথ বলেন, সবাই সাংবাদিকদের জাতির বিবেক, চতুর্থ স্তম্ভ বলে কিন্তু যখন কারো স্বার্থে আঘাত আসে তখন আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। শুধু আনোয়ার নয় বেশ কযেকটি পত্রিকার নামেও মামলা হয়েছে, এই উদ্দেশ্যমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এখন ফেসবুকে সাংবাদিকদের কুলাঙ্কার বলে গালিগালাজ করছে অনেক চিকিৎসক। ডাক্তার ও সাংবাদিকদের এই মুখোমুখি অবস্থান নিরোসনেও উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

 

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে রিপোর্টার্স এগেইনেস্ট করাপশনের সাবেক সভাপতি, মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,আমাদের কন্ঠরোধ করতে স্বার্থান্বেষী মহল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে, আমরা চাই আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে করা এ হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

 

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক কাউসার আজম বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করলে আমাদের ওপর খড়ক নেমে আসে। সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

 

মানবন্ধনে বিএইচআরএফ এর সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, আমাদের সহকর্মী আনোয়ার হোসেন ছাড়াও আরো নয়টি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ১২৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা। আনোয়ারের অপরাধ কী? রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী কোন রোগী চিকিৎসা নিতে অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার স্বীকার হলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) অভিযোগ দিতে পারে।

 

একজন ভুক্তভোগী রোগীর বিএমডিসিতে দায়ের করা অভিযোগ আনোয়ার তুলে ধরেছে এখানে তার বা নাগরিক টেলিভিশনের ব্যক্তিগত কোন মতামত নেই। কিন্তু সরকারের সাহায্যপুষ্ট ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যে রোগী অভিযোগ করেছেন তার বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন।

 

আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামালা করা চিকিৎসক ও তার প্রতিষ্ঠানকে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version