-->
শিরোনাম

আচরণে কর্তৃত্বের ছাপ

নিখিল মানখিন
আচরণে কর্তৃত্বের ছাপ

নিখিল মানখিন: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক দেশি-বিদেশি শক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপ সামাল দিয়ে চলেছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক ও কিছু বিষয় নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতা কয়েকগুণ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের সরকারবিরোধী অবস্থান যেন আরো সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। প্রকাশ্যে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন তারা।

 

তাদের সরকারবিরোধী অবস্থানে ছাপা পড়ে যাচ্ছে বিএনপির এক দফা আন্দোলন। ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছেন তারা। তবে বিদেশি কূটনীতিকদের জোরালো সরকারবিরোধী অবস্থান যেন বিএনপির জন্য আশীর্বাদ ও সহায়ক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। নতুন যোগ হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস প্রসঙ্গ। তার পক্ষ অবলম্বন করে শতাধিক নোবেল বিজয়ীর খোলা চিঠি এবং সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বক্তব্যে রয়েছে রাজনীতির গন্ধ।

 

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশি কূটনৈতিক তৎপরতা ‘অস্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা থাকাটা স্বাভাবিক। সম্প্রতি বাংলাদেশে বিদেশি কূনীতিকদের আগমন, কথাবার্তা ও আচরণ অনেকটা অস্বাভাবিক। অনেক সময় তাদের কাজকর্ম এবং বিএনপি জোটের দাবি যেন মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিদেশি কূটনীতিকদের ভূমিকা নিয়ে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

 

২০২২ সালের শেষের দিকে এসে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে শতভাগ ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার অগ্নিপরীক্ষায় পড়ে বাংলাদেশ। কূটনৈতিক মহলের আলোচিত খবর ছিল র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি, যা বিদায়ী বছরে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মাঠও উত্তপ্ত করে।

 

ঢাকায় মায়ের ডাকের সমন্বয়কের বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের যাওয়াকে কেন্দ্র করে ক‚টনৈতিক বিতর্ক গড়ায় যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বৈরিতা পর্যন্ত। এলিট ফোর্স র‌্যাব ও এর ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়ে শুরু হওয়া বিদায়ী বছরে সবচেয়ে আলোচিত ছিল ঢাকা-ওয়াশিংটন টানাপড়েন।

 

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানিসহ পশ্চিমা কূটনীতিকদের এ দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে খোলামেলা কথা বলা ও তাদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলতে সরকারের বারবার তাগিদের মধ্যেও বছরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হয়ে ওঠে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এক অপ্রীতিকর ঘটনা।

 

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের ইস্যুতে রুশ-মার্কিন পাল্টাপাল্টি বাগ্বিতন্ডা ফেসবুক, টুইটার ও ঢাকা থেকে মস্কো পর্যন্ত গড়ায়। গত ২২ ডিসেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা মস্কো থেকে বিবৃতির মাধ্যমে পিটার হাসের ঘটনার ব্যাপক সমালোচনা করেন। এর মধ্যেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কিছু জিনিসপত্র বহনকারী রাশিয়ার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ উরসা মেজর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি পায়নি।

 

২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে যৌথভাবে এক বিবৃতি প্রকাশ করে ১৫টি দেশ। তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও নির্বাচন বিষয়ে অঙ্গীকার রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এখানেও বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয় আওয়ামী লীগের ওপর।

 

২০২৩ সালের মার্চে প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তারসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিষয় উল্লেখ করে বিদেশি দেশ ও সংস্থাগুলোর বিবৃতিতে বিব্রত অবস্থায় পড়ে সরকার। গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের দিন একটি কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় যৌথ বিবৃতি দেয় ঢাকায় ১২ দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনপ্রধান।

 

সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্যের নির্বাচনী অনুসন্ধানী মিশন টিম, যুক্তরাষ্ট্রের সিভিলিয়ান সিকিউরিটি, ডেমোক্রেসি ও হিউম্যান রাইটসবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া, মানবাধিকারবিষয়ক ইইউর বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করেছেন।

 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ গত ৬ থেকে ৮ আগস্ট ঢাকা সফর করে গেছেন। এরই মধ্যে আগামী ১২ থেকে ১৫ আগস্ট চার দিনের বাংলাদেশ সফর করেন ২ মার্কিন কংগ্রেসম্যান রিচার্ড ম্যাককরমিক এবং এড কেস।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, স্বাভাবিকভাবে গণতন্ত্র বা নির্বাচন নিয়ে আমাদের ঘাটতি আছে। সেটা অস্বীকার করলে চলবে না। এই ঘাটতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয়, বড় দলগুলোর নিজেদের মধ্যে কোনো আস্থা নেই। বিভাজনের রাজনীতি আছে। এই বিভাজন রাজনীতিই বিদেশিদের জন্য জায়গা তৈরি করে দেয়। যেসব দেশে ঘাটতি থাকে না সেসব দেশে রাষ্ট্রদূত বা মিশনপ্রধানরা তেমন কিছু বলতে পারে না। যেহেতু আমাদের ঘাটতি আছে, সেহেতু তারা সুযোগটি পায়। সুযোগ আমরাই করে দিই। যারা বিরোধী দলে থাকে তখন স্বাভাবিকভাবে তারা নিজেদের অবস্থান ভালো করার জন্য, পত্রপত্রিকায় তাদের অবস্থা জানানোর জন্য, বিদেশিদের মধ্যে প্রচার পাওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা তুলে ধরেন। তাতে একটা বড় স্পেস তৈরি হয়।

 

বিএনপি জোট: রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতির খেলায় বিপাকে পড়েছে বিএনপি। এক দফা দাবি বাস্তবায়নে দাঁড়াতে পারছে না মাঠে। হচ্ছে না নির্বাচনী প্রস্তুতি। নির্বাচনকেন্দ্রিক সিদ্ধান্তে বিভক্ত হয়ে পড়ছেন দলটির প্রথম সারির নেতারা। রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণ নেই খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার। আওয়ামী লীগের শান্তির সমাবেশ রূপ নিয়েছে প্রতিরোধ কর্মসূচিতে। আর আন্তর্জাতিক চাপের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান বিএনপির মানসিক অবস্থা আরো দুর্বল করে দিয়েছে।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মাঠ। মুখোমুখি অবস্থানে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই দুটি রাজনৈতিক দলের নেতারা তীব্র বাগ্যুদ্ধে সীমাবদ্ধ ছিলেন। ওই বছরের শেষ দিকে ঢাকায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ঘটে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা। ওই সময় কৌশলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আওয়ামী লীগ।

 

তবে হাল ছাড়েনি বিএনপি। নানা কৌশলে তারা অব্যাহত রাখে বিভিন্ন দফার দাবি আদায়ের আন্দোলন। বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচির বিপরীতে শান্তি সমাবেশ শুরু করে আওয়ামী লীগ, যা কিছুদিন আগেও অব্যাহত থাকে। শান্তি সমাবেশের পরিবর্তে বিএনপির আন্দোলনকে ঠেকাতে প্রতিরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজধানীতে গত ২৮ জুলাই সফল মহাসমাবেশ এবং ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান’ কর্মসূচির পর সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের আর নতুন কোনো কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ ও সফল করতে পারেনি বিএনপি। ২৯ জুলাইয়ের কর্মসূচি ‘আলোচনা না করে কর্মসূচি দেয়ায়’ গণতন্ত্র মঞ্চসহ যুগপতে যুক্ত নেতাদের পক্ষ থেকে বিএনপিকে অসন্তোষের কথা জানানো হয়।

 

পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির গত ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলীয়ভাবে যুগপতে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একদিকে সমন্বয়ের পক্ষে অবস্থান নিলেও অপরদিকে দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতার প্রতি আস্থাহীনতার কারণে কর্মসূচি কী হবে, তা এখনও ঠিক করতে পারেনি বিএনপি।

 

গণতন্ত্র মঞ্চসহ যুগপতে যুক্ত দলগুলোর শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, ২৮ জুলাই মহাসমাবেশের পরদিন আকস্মিকভাবে ঢাকার প্রবেশমুখে কর্মসূচি দেয়া হয়। ওই কর্মসূচি নিয়ে যুগপতে যুক্ত কারো সঙ্গে বিএনপির তরফে আলোচনা করা হয়নি। উপরন্তু, দলের স্থায়ী কমিটির তিনজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার অনুপস্থিতি, দুই নেতার কর্মসূচিতে আচরণ, আটক ও পরবর্তী ঘটনার কারণে সিনিয়র নেতাদের মধ্যেই আস্থাহীনতা প্রকাশ পাচ্ছে। ইতোমধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চসহ একাধিক জোট ও দলের সঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনা করা হলেও কর্মসূচি নিয়ে কোনো অবস্থানে পৌঁছাতে পারেননি নেতারা।

 

ড. ইউনূস প্রসঙ্গ: রাজনীতিতে বইছে গুমোট হাওয়া। চলছে বিদেশি কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদদের নানাবিধ তৎপরতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে যেন গুঞ্জনের শেষ নেই। এমন পরিস্থিতিতে দেশের রাজনীতিতে বিএনপিকে ছাপিয়ে গিয়ে শুরু হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস প্রসঙ্গ। তার পক্ষ অবলম্বন করে শতাধিক নোবেল বিজয়ীর খোলা চিঠি এবং সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বক্তব্যেও রয়েছে রাজনীতির গন্ধ।

 

বিগত সময়েও ড. ইউনূসের মধ্যে রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ এবং রাজনীতি করার প্রবল আগ্রহ প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব বাসী। বিএনপি ড. ইউনূসকে নিয়ে ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে বলে ইতোমধ্যে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সব ডিঙিয়ে দেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে এখন ড. ইউনূস।

 

২৭ আগস্ট ইউনূসকে লেখা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সই করা একটি চিঠিও প্রকাশিত হয়। চিঠির একটি ছবি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন ড. ইউনূস। তাতে দেখা যায়, চিঠিতে তারিখ ১৭ আগস্ট উল্লেখ রয়েছে। ওই চিঠিতে মামলার কথা স্পষ্ট করে কিছু বলা না হলেও ‘ড. ইউনূস স্বাধীনভাবে নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো চালিয়ে যাবেন’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

গত শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে এবং নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ আরোপ করে কিছুই অর্জন করা যাবে না।

 

নাগরিক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলি, এই মাটি আমাদের। আমরা জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছি। তাই আমাদেরকে হুমকি দিয়ে অর্জন করার কিছু নেই। এ ছাড়া, বাংলাদেশের মানুষ জানে কীভাবে তাদের অধিকার আদায় করতে হয়।’

 

তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল বিএনপি প্রতিদিন আন্দোলনের নামে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করছে। ভীতি ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের জনগণ কোনো বাধা ছাড়াই উন্নয়নের প্রবাহের দিকে অগ্রসর হবে এবং এ ধরনের ভয়কে জয় করবে।’

 

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক চাপের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি কখনোই কোনো বিদেশি চাপের কাছে মাথা নত করবেন না। তাকে চাপ দিতে পারে, এমন কোনো চাপ নেই। কারণ, তার শক্তি জনগণ। আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version