বাড়ছে রসালো ফলের দাম। এখন বাজারে চাহিদা রয়েছে মাল্টা, কমলা ও আঙুরের মতো রসালো ফলের। সেই চাহিদাকে পুঁজি করে নিজেদের ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনোটির দাম বেড়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। সে তুলনায় কিছুটা কমে মিলছে দেশি ফল।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় এসব ফলের চাহিদা বেড়েছে। এতে লাফিয়ে লাফিয়ে দামও বাড়ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একই মানের ফল কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত পার্থক্য রয়েছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, একই জায়গা থেকেই ফল সংগ্রহ করেন তারা। এদিকে কেজি প্রতি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকায় দরে, লাল আঙুর ৪২০, সবুজ আঙুর ৪০০, কমলা ৩৬০ থেকে ৪০০, আনার ৩০০ থেকে ৪৫০ ও ড্রাগন ফল ২৫০ থেকে ৩২০ টাকায়। অন্যদিকে নাশপাতি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০, ফুজি আপেল ২৮০ থেকে ৩০০, গালা আপেল ২৮০ থেকে ৩২০, সবুজ আপেল ৩৮০ থেকে ৪২০, অস্ট্রেলিয়ান আপেল ৩০০ থেকে ৩৩০, সাম্বাম ১৫০ ও নাগফল ২৬০ থেকে ৩২০ টাকায়।
বাড়তি দামের কথা স্বীকার করে হাতিরপুল জারের বিক্রেতা স্বপন বলেন, বেশকিছু ফলের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। বিশেষ করে বিদেশি ফলের দাম চড়া। সচচেয়ে বেশি বেড়েছে মাল্টার দাম। আনার, আঙুর ও কমলার দাম বেড়েছে। তবে সবুজ আপেলের দাম কিছুটা কমেছে।
নিউমার্কেটসহ আশপাশের মার্কেটগুলো থেকে হাতিরপুল বাজারে দাম বেশি থাকার কারণ জানতে চাইলে এ বিক্রেতা বলেন, এখানকার প্রায় সব ক্রেতাই কিছুটা ভিন্ন। স্বচ্ছল মানুষ। বড়লোকেরা এখানে বাজার করেন। আমরাও চেষ্টা করি দামের দিকে না তাকিয়ে মানসম্পন্ন মাল নিয়ে আসতে।
নিউমার্কেট ফলপট্টিতে কথা হয় সামস নামে এক বিক্রেতার সাথে। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ২-৪ কার্টন ফল এনে বিক্রি করি। কেন বাড়ল বলতে পারবে আমদানিকারকরা।
তিনি বলেন, এ সময় সাধারণত আনার, লাল আঙুরও কমলার দাম কম থাক। কিন্তু সিজনেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফল প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০ টাকার বেশি লাভ করার সুযোগ পাই না।
একইভাবে নবাবগঞ্জ বাজারে ফল কিনতে আসা আবু জাফর জানান, সুবজ মাল্টা, কলা ও আমড়ার মতো দেশি ফল ছাড়া বাকিগুলো ছোঁয়াও যায় না। আনার, আঙুর, কমলা, আপেলের দাম যেন আগুন।অন্তত ৬ মাস হয়েছে, ফল কেনা হয়নি। এক আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছি। তিনি ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ফলের যে দাম তাতে সবগুলো থেকে ২-৪ পিস করে নিয়েছি। তাতেও বিল আসছে ৯০০ টাকা। আলী আজম নবাবগঞ্জ বাজারের ভ্রম্যমাণ ফল বিক্রেতা।
তিনি জানান, ফলের এখন ভরপুর সিজন। তাও আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। এক মাস আগে ১৫ কেজির এক কার্টন মাল্টা কিনেছি ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়। সেই একই মাল্টা কিনতে হয়েছে ৫ হাজার ৪০০ টাকায়।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য