আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অভিজ্ঞতা ও মতামত জানতে আজ বুধবার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিন ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক একটি কর্মশালাধর্মী আলোচনার আয়োজন করেছে এ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
আজ বেলা ১১টায় অনুষ্ঠেয় এ কর্মশালায় চার জন আলোচক, চার জন পর্যালোচক এবং বেশ কয়েকজনকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, বৈঠকে আট বিশিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া বাকিরা দর্শকের ভূমিকায় থাকবেন। সিইসি ও বাকি চার কমিশনার বিশিষ্টজনদের পরামর্শ শুনবেন এবং তাদের দেয়া বিভিন্ন সুপারিশ আগামী নির্বাচনে আমলে নেয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
ইসি সূত্র জানায়, বুধবারের (আজ) সংলাপে আলোচক হিসেবে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান অংশ নেবেন।
পর্যালোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ূন কবীর, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
এর আগে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন এ কমিশন গত বছর দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদদের সঙ্গে প্রথম সংলাপ করে। সেদিন ৩০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সংলাপে অংশ নেন মাত্র ১৩ জন। নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে ওই মার্চেই আয়োজিত পরের সংলাপে ৩৯ জন আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে ১৯ জন অংশ নিয়েছিলেন, বাকিরা আলোচনায় অংশ নেননি।
আমন্ত্রিত অতিথিরা ইসির সংলাপে অংশ না নেয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার মুখে পড়ে কমিশন। নির্বাচন কমিশন কর্মপরিকল্পনা ঘোষণার এক বছরের মাথায় ফের অংশীজনের মতামত নিচ্ছে।
সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সংসদ বহাল রেখে আগামী নির্বাচন করতে হলে তা ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে করতে হবে। সে অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হবে চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য