সয়াবিন তেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা ও পামতেলের দাম লিটারে চার টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি’ পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, সয়াবিন তেল বোতলজাত ১৭৪ টাকা থেকে পাঁচ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা প্রতি লিটার এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৪ টাকা থেকে ১৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর পামতেলে ১২৮ টাকা থেকে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যেই এ দাম কর্যকর করা হবে। আজকের ঘোষণার পরে সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, আমদানি পণ্যের মধ্যে তেল ও চিনি আমাদের বেশি প্রয়োজন। চিনি আমাদের ৯৯ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আর তেল ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। চিনির ডিউটি ভ্যালুসহ সবকিছু ধরে আমরা মাঝে মাঝে দাম নির্ধারণ করে দেই। সয়াবিন তেল একসময় ২০৫ টাকা হয়ে গিয়েছিল। সেটা কমতে কমতে ১৭৪ টাকা হয়েছে। আর যেটা খোলা বিক্রি হয় সেটা ১৫৪ টাকা। সে হিসাবে ৩৫ টাকার মতো দাম কমেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজই আমরা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি পাম এবং সয়াবিন তেলের দাম আরও কমানো হবে। সেখানে সয়াবিন তেল লিটারে পাঁচ টাকা ও পামতেল চার টাকা কমানো হবে। আজ এবং কালকের ভেতর ঘোষণা করবে কোম্পানিগুলো।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদোর চিনির দাম খোলা প্রতি কেজি ১২০ ও প্যাকেটজাত ১৩৫ টাকা কেজি। এটা এখনো কমানোর মতো অবস্থা হয়নি। ভারত থেকে আনতে পারলে দাম কম পরতো কিন্তু ভারত বন্ধ করে দিয়েছে।
এছাড়া ৪০ টাকার ওপরে সরকার ডিউটি নির্ধারণ করেছে। কাজেই আগের দামেই রয়েছে। তবে আমরা বাজার পর্যবেক্ষণের মধ্যে আছি যে মুহূর্তে দেখবো আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে সে মুহূর্তে দেশের বাজারে দাম কমিয়ে দেবো।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য