অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান। দায়িত্বশীলতা, নিয়মানুবর্তীতা আর শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন দিয়ে নিজের মেধার পরিচয় দিয়েছেন দীর্ঘ কর্মজীবনে। তবে হাবিবুর রহমান নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন সমাজসেবামূলক মানবিক কর্মকাণ্ড দিয়ে। বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিটের প্রধান হিসেবে তার নতুন কর্মস্থল হতে যাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। হাবিবুর রহমান ডিএমপির ৩৬তম কমিশনার হিসেবে বর্তমান কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের স্থলাভিষিক্ত হবেন। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ পদায়ন করা হয়।
অতিরিক্ত আইজিপি হাবিব তার মেধা, যোগ্যতা, সততা, কর্মনিষ্ঠা ও নিবিড় চেষ্টায় সব সময় নিজের প্রতিটি কর্মস্থলের গুরুত্বকে বাড়িয়ে দিয়েছেন। একজন কর্মঠ ও নিবেদিত উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার বাইরে তিনি সফল ক্রীড়া সংগঠক, লেখক, গবেষক, সমাজ সংস্কারক, সমাজ সেবক এবং বাংলাদেশ পুলিশ প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা ‘ডিটেকটিভ’ এর সম্পাদক। বহুমাত্রিক প্রতিভাসম্পন্ন হাবিবুর রহমানের বড়গুণ তিনি একজন আদর্শ ও মানবিক ব্যক্তিত্ব।
হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক মানুষকে তাদের সঠিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছেন। বিশেষ করে অসহায়, দরিদ্র, বেদে জনগৌষ্ঠী ও হিজড়াদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে নানান ভূমিকা রেখে চলেছেন। কর্মক্ষেত্রও উজ্জ্বল করেছেন হাবিবুর রহমান। তার উদ্যোগে যুগান্তকারী নানান পদক্ষেপ পুলিশে এনেছে অনেক পরিবর্তন। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি দায়িত্ব সফলভাবে পালন করে আসা এই পুলিশ কর্মকর্তার পেশাগত সাফল্য তাকে নিয়ে গেছে ঈর্ষণীয় অবস্থানে।
জন্ম ও শিক্ষা
১৯৬৭ সালের ১ জানুযারি গোপালগঞ্জ জেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের আব্দুল আলী মোল্লা এবং মোসাম্মৎ রাবেয়া বেগম দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন হাবিবুর রহমান। শৈশব থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি খেলাধুলা, শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। এসএম মডেল হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক শেষ করে গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
পুলিশে যোগদান
১৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে ১৯৯৮ সালে কর্মজীবন শুরু করা হাবিবুর রহমান সারদাতে প্রশিক্ষণ নেন।নেতৃত্ব আর সৃজনশীলতা দিয়ে প্রশিক্ষণ সুপিরিয়র ‘আমার হলো শুরু’র সম্পাদক নির্বাচিত হন। যেখানে নিজের গবেষণা লেখা প্রকাশ পায়। বিশেষ করে বাংলাদেশ পুলিশের শেকড় সন্ধানী ইতিহাস, ঐহিত্য ও করণীয় সম্পর্কিত নানান দিক তুলে ধরা হয়। প্রশিক্ষণ শেষ করে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রথম কর্মস্থল শুরু হয়। এরপর ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হিসেবে পদায়নের পর হাবিবুর রহমান ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। ২০০১ সালে ভোলায় এএসপি হিসেবে দায়িত্ব পান এই পুলিশ কর্মকর্তা। পরের বছর উদ্দিপ্ত ক্যারিয়ারে আঘাত আসে। তবুও থেমে থাকে না হাবিবুর রহমানের স্বপ্নযাত্রা। পুনরায় তার কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়।
ডিএমপির ডিসি হেডকোয়ার্টার্স হিসেবে কর্মরত অবস্থায় নিজের মেধা ও নেতৃত্বগুণে তিনি সাধারণ মানুষ, সহকর্মী ও অধস্তন পুলিশ সদস্যদের কাছে হয়ে ওঠেন একজন সৃজনশীল, পজিটিভ ও মানবিক পুলিশি সেবার উজ্বল নক্ষত্র।
১০০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি
২০১২ সালের ১৪ নভেম্বর হাবিবুর রহমান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অভিনব সব কর্মকৌশল অবলম্বন করেন। চলমান অসঙ্গতি ও সংগঠিত অপরাধ দমন করার পাশাপাশি সম্ভাব্য অপরাধ প্রতিরোধ করার ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। আইনের প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সচেতনামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তার নেওয়া এসব উদ্যোগ আজও ধারাবাহিকভাবে চলমান।
হাবিবুর রহমান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার থাকাকালীন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেকে এনে মাত্র একশ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দিয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেন। সেসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিনি ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে উচ্চ প্রশংসা পান।
২০১৬ সালে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে সফলভাবে কাজ করেন তিনি। ২০১৮ সালে ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ডিআইজি হিসেবে ঢাকা রেঞ্জে যোগদান করেন হাবিবুর রহমান। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে করোনাকালে সমাজের নিম্নস্তরের ও পিছিয়ে থাকা মানুষদের সহায়তা, পুলিশ নিয়োগ ও পদায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা, জনগণকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সম্পৃক্ত করা, মনিটরিং সেল স্থাপনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশকে অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যান। যা অন্যান্য পুলিশ ইউনিটের জন্য অনুকরণীয় হিসেবে প্রকাশ পায়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান হিসেবে যোগদান
দীর্ঘ তিন বছর ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ট্যুরিস্ট স্পটে নিরাপত্তা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। পেশাগত জীবনে তার অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য যেমন লাভ করেছেন প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি, তেমনি অর্জন করেছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
‘মানবিক পুলিশ অফিসার’ হিসেবে পরিচিত হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের বেদে সম্প্রদায় ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জীবন। কাজ করেছেন যৌনপল্লির শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়াতে। দেশজুড়ে অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসা ও কবরস্থান নির্মাণ করেছেন।
তিনবার বিপিএম ও দুইবার পিপিএম পেয়েছেন হাবিবুর রহমান
কর্মক্ষেত্রে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে হাবিবুর রহমান তিনবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও দুইবার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন। পুলিশের চাকরির পাশাপাশি লেখালেখিতেও সক্রিয় অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান। গত ৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘চিঠিপত্র: শেখ মুজিবুর রহমান’ ও একই বইয়ের ইংরেজি সংস্করন ‘লেটারস অব শেখ মুজিবুর রহমান’ এর মোড়কও উম্মোচন করেন। এ বই দুটি সম্পাদনায় হাবিবুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. এনায়েত করিম।
ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বই দুটির মোড়ক উম্মোচন করেন। এর আগে হাবিবুর রহমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে নিয়ে ‘নন্দিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান’ সম্পাদনা করেন।
‘মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ’ নামে তার গ্রন্থিত আরেকটি বইয়ে প্রথমবারের মতো বিস্তারিত উঠে আসে একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা। ২০১৮ সালে প্রকাশিত বইটি সম্পাদনায় মুন্সিয়ানাও দেখিয়েছেন হাবিবুর রহমান। এছাড়াও হাবিবুর রহমানের গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘ঠার’ আলোচিত। এই বইয়ে তিনি বেদে সম্প্রদায়ের বিলুপ্তপ্রায় ভাষা নিয়ে কাজ করেছেন।
হাবিবুর রহমানের হাত ধরে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে রাজধানীর অদূরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রকল্পে গড়ে ওঠা অত্যাধুনিক মাদক নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘ওয়েসিস’ এ টেলিমেডিসিন সেবা চালু হয়। যেখানে বিনামূল্যে ২৪ ঘণ্টা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া হয়।
পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের উদ্যোক্তা তিনি
তার আরেকটি মানবিক উদ্যোগ ‘পুলিশ ব্লাড ব্যাংক’ যা করোনা রোগীদের প্লাজমা এবং ডেঙ্গু রোগীদের প্লাটিলেট সরবরাহ করে কোডিড-১৯ ও ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।
ক্রীড়া সংগঠক হাবিবুর রহমান
হাবিবুর রহমান একজন সফল ক্রীড়া সংগঠক। তিনি বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি। বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি হাবিবুর রহমানের হাত ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক নতুন উচ্চতায আবির্ভূত হয়। তার গতিশীল নেতৃত্বে দেশে বাংলাদেশ গেমস, যুব গেমস, জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতা, আইজিপি কাপ জাতীয় যুব কাবাড়ি, প্রিমিয়ার কাবাডি লীগ, প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ কাবাডি লীগসহ অসংখ্য কাবাডি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বকাপ কাবাডিতে বাংলাদেশ কাবাডির অবস্থান ৫ম।
এছাড়া এশিয়ান কাবাডিতে ৫ম ও সাউথ এশিয়ান কাবাডিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩য়। কাবাডিতে তার অভূতপূর্ব উদ্যোগের কারণে ২০২২ সালে ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর মধ্যে কাবাডি ফেডারেশন শ্রেষ্ঠ ফেডারেশন হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
হাবিবুর রহমানের মানবিকতা
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের হাট বাসুদেবপুর গ্রামে সান্দার বেদে গোত্রের প্রায় ২০০টি পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস করে। তাদের শতভাগ মুসলমান। অথচ এই জনগোষ্ঠীর কেউ মারা গেলে মুসলমান হিসেবে তাদের সৎকারটুকুও করতে পারত না। পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে আশপাশের কোনো কবরস্থানে তাদের কবর দিতে দেওয়া হতো না। এমন করুণ অবস্থা জানতে পেরে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি সহকর্মীদের সহযোগিতায় একটি জায়গা খুঁজে পান, যেটি কিনে দান করে দেন এই জনগোষ্ঠীর ২০০ পরিবারের কল্যাণে।
এছাড়া ২০২০ সালের শুরুতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে প্রথমবারের মতো একজন যৌনকর্মীর পুরোপুরি ইসলামি প্রথা মেনে জানাজা পড়িয়ে দাফন করা হয়। পরে চেহলামেরও আয়োজন করা হয়। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হিসেবে করে দিয়েছেন পশু খামার। তাছাড়া অনেককে গার্মেন্টসে চাকরি, পার্লার ও খাবার দোকানের ব্যবসা গড়ে দিয়েছেন। এসব উদ্যোগের নেতৃত্ব রয়েছেন মানবিক পুলিশ হিসেবে সুনাম পাওয়া হাবিবুর রহমান। এখন নতুনভাবে দৌলতদিয়ার যৌনপল্লির শিশুদের জন্য কাজ শুরু করেছেন তিনি। যার সুফলও মিলছে। বিশেষ করে যৌনপল্লির শত শত শিশুকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে তার হাতে গড়া ‘উত্তরণ ফাউন্ডেশন’।
রাজারবাগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
হাবিবুর রহমানের একক প্রচেষ্টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে টেলিকম ভবনে প্রতিষ্ঠিত হয় পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, যা এক ঐতিহাসিক স্থাপনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দায়বদ্ধতা থেকেই তার এই উদ্যোগ। ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ এটি সর্বসাধারণের প্রবেশের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ‘জাতীয় পুলিশ সপ্তাহ ২০১৭’-এর উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভের ঠিক পাশেই নব-নির্মিত জাদুঘর ভবনের উদ্বোধন করেন।
যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় পুলিশ সদস্যদের ব্যবহৃত রাইফেল, বন্দুক, মর্টারশেল, হাতব্যাগ, টুপি, চশমা, মানিব্যাগ, ইউনিফর্ম, বেল্ট, টাই, স্টিক, ডায়েরি, বই, পরিচয়পত্র, কলম, মেডেল, বাঁশি, মাফলার, জায়নামাজ, খাবারের প্লেট, পানির মগ, পানির গ্লাস, রেডিও, শার্ট, প্যান্ট, র্যাঙ্ক ব্যাজসহ টিউনিক সেট, ক্যামেরা, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, লোহার হেলমেট, হ্যান্ড মাইক, রক্তভেজা প্যান্ট-শার্ট, দেয়ালঘড়ি, এমএম রাইফেলসহ অনেক কিছু সংরক্ষণ আছে।
হাবিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত পুলিশ থিয়েটারের বিশ্বরেকর্ড
সাংস্কৃতিমনা হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ পুলিশ নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা। এক বছরে শততম বার মঞ্চায়ন করে দেশব্যাপী সাড়া জাগিয়েছে পুলিশ থিয়েটারের কালজয়ী নাটক ‘অভিশপ্ত আগস্ট’। মঞ্চ নাটকটির পরিকল্পনা, গবেষণা ও তথ্য সংকলন করেছেন হাবিবুর রহমান। তিনি ২০১১ সালে যখন ডিএমপির সদরদপ্তরের ডিসি ছিলেন তখন পুলিশ থিয়েটারটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখন পর্যন্ত এক বছরে কোনো থিয়েটার গ্রুপ শতবার কোনো নাটক মঞ্চায়িত করতে পারেননি।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য