নিখিল মানখিন: চলতি বছরের গত মে মাসে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ভিসানীতির প্রয়োগ। বিষয়টি এখন টক অব দ্য টাউন। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে শব্দটি। সৃষ্টি হচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন ভিসানীতির প্রয়োগ সবার জন্য প্রযোজন্য নয়। বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।
চলতি বছরের গত মে মাসে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভিসানীতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের কয়েকটি ধারা অনুযায়ী এই ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এই বার্তা দেয়া হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে এবং এক্ষেত্রে তারা পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
মার্কিন দপ্তরের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্র সর্বত্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করার অঙ্গীকার করেছেন। এই নীতিটি সেই প্রচেষ্টাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে সাহায্য করার জন্য প্রণীত হয়েছে।
নতুন এই ভিসানীতি বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বর্তমান বা সাবেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, সরকার সমর্থক এবং বিরোধীদলীয় সদস্যরা এর অন্তর্ভুক্ত। এমনকি নির্বাচনে বাধাদানকারীর পরিবারের নিকটতম সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত।
কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল নয় বরং দলমত নির্বিশেষে নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এমন কর্মকান্ডে জড়িত যেকোনো ব্যক্তি এই বিধিনিষেধের আওতাধীন থাকবে। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
ভিসানীতির প্রয়োগ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ভিসানীতির প্রয়োগ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমন ঘোষণা দিতে পারেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। তবে কাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে, তাদের কোনো নাম ঘোষণা করবেন না লু।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতির প্রয়োগ হয়েছে, তাদের ব্যক্তিগতভাবে জানিয়ে দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে যাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতির প্রয়োগ হচ্ছে, তাদের মধ্যে সরকার ও বিরোধী পক্ষেরও কারো কারো নাম আছে। তবে বিএনপির কোনোর নেতাকর্মীর নাম নেই বলে জানা গেছে।
বিচলিত নয় আওয়ামী লীগ: গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়া কিংবা ঘাবড়ানোর কিছু নেই, এতে বিরোধী দলের কথাও বলা আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আওয়ামী লীগেরও চাওয়া। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি বাংলাদেশের বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, সে ক্ষেত্রে এই দেশের জনগণ ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ। ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা হলে ক্ষতিটা তাদেরই যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। ভিসানীতি বাস্তবায়নের বাস্তবতাটা কি সেটা দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগ চায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার এ নিয়ে জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।
রোববার প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি কর্যকর হওয়ার প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘কোনও একটা নীতি (ভিসা নীতি) নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই নীতি তাদের বিরুদ্ধেই প্রযোজ্য হবে, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ সেটি প্রমাণ করে। তাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা এবং বহুমাত্রিক সম্পর্ক দিন দিন দৃঢ় হচ্ছে।
দেশের জন্য অপমানজনক: বিএনপি
গত শনিবার এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার বিধিনিষেধের জন্য এককভাবে সরকার দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন। ভিসার বিধিনিষেধ আরোপ শুরুর ঘটনাকে বাংলাদেশের জন্য ‘অপমানজনক ও লজ্জাজনক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ এসেছে। এটি আমাদের দেশের প্রাপ্য নয়। এজন্য বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো দায় নেই, এককভাবে সরকারই দায়ী।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, বাইডেন প্রশাসন বিশ্বে গণতন্ত্রের কথা বলছে। এর অংশ হিসেবে তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার এখন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে।
পুলিশ বাহিনীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না: রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের কাদের নিষিদ্ধ করেছে, সেটা জানা নেই। ভিসা নিষেধাজ্ঞা যারা দিয়েছেন, সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের দেশে তারা কাকে যেতে দেবেন, আর কাকে দেবেন না; সেটাও তাদের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই, বলারও কিছু নেই। এখন পর্যন্ত কাকে নিষিদ্ধ করেছে, সেগুলো আমরা জানি না।
রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। ভিসানীতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর আরোপ করা হয়েছে, তবে তারা কারা তা জানি না। যদি ভিসানীতি আসে তারা হয়তো দেশটিতে যেতে পারবেন না। ভিসানীতির কারণে দায়িত্ব পালনে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।
মিশ্র প্রতিক্রিয়া জনমনে: সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, যারা গণতন্ত্রের পথে বাধা হবে, এই ভিসানীতি তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করবে। যারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বিনষ্ট করতে ভ‚মিকা রাখবে, তাদের ক্ষেত্রে তো সমস্যা হবেই। এছাড়া যারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা হবে, তাদেরও সমস্যা হবে। তবে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের পথে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করবে না, তাদের সমস্যা হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এই ঘটনায় বাংলাদেশের ওপর বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। এটা মূলত প্রতীকী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। অনেকেই মনে করে যে যুক্তরাষ্ট্র অসন্তোষ হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিন্তু ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়ে যুক্তরাষ্ট্রের লাভ বেশি। সেখানে কী যুক্তরাষ্ট্র তার ব্যবসা নষ্ট করবে? আমার মনে হয়, না। রাজধানীর মগবাজার মোড়ের কাছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গলির সমানে ফুটপাতে চা বিক্রি করেন মো. ফারুক।
ভিসানীতির বিষয়ে তার ধারণা রয়েছে। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, যারা চা খেতে আসেন তারা বিষয়টি নিয়ে আলাপে মত্ত থাকেন। তাদের কথা শুনতে শুনতে আমিও ধারণা পেয়ে গেছি। তবে এসব বিষয় নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই বলে জানান মো. ফারুক।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন বিশাল বনোয়ারী। তিনি গারো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় তার বাড়ি। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, এটা আমাদের মতো মানুষদের জন্য প্রযোজ্য নয়। নির্বাচনকেন্দ্রিক বিষয়। যারা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তারাই এই নীতির আওতায় পড়বেন। আমাদের মতো খেটে-খাওয়া মানুষেরা এসব নিয়ে খুব বেশি ভাবি না বলে জানান বিশাল বনোয়ারী।
রাজধানীল গুলশানে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করেন সুব্রত দাশ। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, বাংলাদেশের জন্য মার্কিন ভিসা নয়। প্রায় ১৭ কোটি মানুষের ক’জন নির্বাচনী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত? আর রাজনৈতিক দলগুলোর নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা নীতির আওতায় আসতে পারেন। নির্বাচনকে অগণতান্ত্রিক পথে প্রভাবিত করবে এমন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার লোকজনও আওতায় রয়েছে। তাই আমি বিষয়টি নিয়ে তেমন দুশ্চিন্তা করি না।
কার্যকর হয়নি আফ্রিকায়: এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। সেসব দেশ হচ্ছে-নাইজেরিয়া, উগান্ডা এবং সোমালিয়া। এসব দেশে কোনোটিতে নির্বাচনের আগে, কোনোটিতে নির্বাচনের পরে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে আফ্রিকার দেশগুলোতে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও সেটা যে উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছিল, তা কার্যকর হয়নি।
বাংলাদেশে ভিসানীতি ঘোষণার ঠিক ৯ দিন আগে একই ধারা ব্যবহার করে নাইজেরিয়াতেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোটের ফলাফল কারচুপি ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকান্ডের জন্য কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। ২০১৯ সালের নির্বাচনের এক মাস আগেও আমেরিকা ঘোষণা করেছিল- নাইজেরিয়ায় নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।
আফ্রিকার আরেক দেশ উগান্ডাতেও নির্বাচনকে ঘিরে কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি সে দেশে। উগান্ডায় ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি, তিনি একইসঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনাপ্রধান। প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা তাকে দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনার জন্য প্রশংসা করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে উগান্ডায় সাধারণ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্রিঙ্কেন বলেছিলেন, ‘বিরোধী দলের প্রার্থীদের ধারাবাহিকভাবে হয়রানি করা হয়েছে এবং কোনও অভিযোগ ছাড়াই আটক করা হয়েছে। তবে সে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।’
এদিকে সোমালিয়ার নির্বাচনে নাগরিকদের সবার ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না। সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতারা সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন। এর পরের ধাপে সেই সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে থাকেন। ভিসানীতির পর কিছু শর্ত মেনে নিতে হয়েছে তাদের। কারণ, সোমালিয়ার ওপরে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট প্রভাব আছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা সেখানকার রাজনীতিবিদদের জন্য একটা ধাক্কা ছিল। কারণ, সোমালিয়াকে পশ্চিমা সাহায্যের জন্য নির্ভর করতে হয়।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য