নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আজ শনিবার ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল। আগামী ১৩ অক্টোবর নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্নর বিষয় নিয়ে খবর খবর নেবেন তারা। এ জন্য বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নাগরিক পর্যবেক্ষক, নারী ও যুব গোষ্ঠীসহ সুশীল সমাজ সংস্থা, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থা এবং বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে দেখা করবে। সফর শেষে একটি বিবৃতি দেয়া হবে। যেখানে ইতিবাচক প্রবণতা এবং সেইসঙ্গে উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের বিভিন্ন সুপারিশমালাও তুলে ধরা হবে।
যদিও পিইএএমের প্রাথমিক কাজ হলো নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তথ্য দেয়া। নির্বাচনের দিনের জন্য সীমিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠাবে কি না, তাও এটি নির্ধারণ করবে। প্রতিনিধি দলে ৬ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ থাকবেন।
যার মধ্যে রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ. এন্ডারফার্থ, সাবেক ডেপুটি ইউএসএআইডি প্রশাসক বনি গ্লিক, মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির সাবেক সহযোগী কাউন্সেল জামিল জাফর, এনডিআই এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ ও আইআরআইয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের সিনিয়র ডিরেক্টর জোহানা কাও
জানা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য এনডিআইয়ের নীতিমালার ঘোষণা অনুযায়ী স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে একটি যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করবে তারা।
এর আগে গত ৮-২৩ জুলাই ঢাকা সফরে করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল। তারা ফিরে যাওয়ার পর ইইউ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার মতো কোনো পরিবেশ নেই। সে কারণে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না।
শুধু নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সীমিত আকারের গবেষকদল পাঠাতে পারে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য