-->
শিরোনাম

গারো পাহাড়ে কাজুবাদাম চাষে সাফল্য পাচ্ছেন কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক
গারো পাহাড়ে কাজুবাদাম চাষে সাফল্য পাচ্ছেন কৃষক

শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ে এবার পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চমূল্যের কাজুবাদামের চাষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকার বাগানগুলোর কাজুবাদাম পরিপক্ব হতে শুরু করেছে এবং চাষিদের মুখে হাসিও ফুটতে শুরু করেছে। ফলে সীমান্তের পাহাড়িদের মনে আশার আলো জেগে উঠেছে। সেইসঙ্গে অবহেলিত ও প্রত্যন্ত পাহাড়ি জনপদের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরে যেতে পারে এ উচ্চমূল্যের কাজুবাদাম চাষে। বাসস।

 

তারা মনে করছেন পাহাড়ি অনেক অনাবাদি জমিতে আমদানি নির্ভর এ কাজুবাদাম চাষ করলে দেশের অর্থকড়িতে যোগ হবে নতুন ফসল। তেমনি স্থানীয় বেকারত্বের সমস্যার সমাধানসহ নতুন কর্মক্ষেত্রেরও শুরু হবে। শেরপুরের এ পাহাড়ি মাটি খুবই উৎকৃষ্ট হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই গাছগুলোতে বাদাম আসতে শুরু করেছে এবং আগামিতে আরো ফলন বাড়বে বলে আশা করছে বাগান কৃষকরা।

 

এদিকে গারো পাহাড়ে আমদানি নির্ভর এ উচ্চমূল্যের কাজুবাদামের চাষ হচ্ছে এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে কৃষি উদ্যোক্তা ও বেকার যুবক বাগান দেখতে ছুটে আসছে এবং তারাও বাণিজ্যিকভাবে এ লাভজনক কাজুবাদাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে।

 

ঝিনাইগাতি উপজেলার গজনি এলাকার বাগানের কৃষক সোলেমান বলেন, কৃষি বিভাগের এ পাইলট প্রকল্প হচ্ছে এ কাজুবাদাম চাষ। আমার বাগানে গতবছর থেকেই ফুল আসতে শুরু করে এবং এবার ফুল ও ফল হয়ে পাকতে শুরু করছে। আমার ৫০ শতক জমিতে ২ শত গাছ রয়েছে। গত তিন বছরে আমার সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি আগামী বছর থেকে ফলন আরো বাড়বে এবং প্রতি গাছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কেজি করে বাদাম পাওয়া যাবে। এতে ৮ শত থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বাদাম বিক্রি করা যাবে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, উচ্চমূল্যের এ কাজুবাদাম দেশের নতুন অর্থকরী ফসল। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে কাজুবাদামের উৎপাদন বাড়ানোর প্রকল্প নেয়া হয়েছে। দেশে এ ফসলের অনেক ঘাড়তি রয়েছে। প্রতি বছর এই বাদাম আমদানি করতে প্রচুর টাকা ব্যায় করতে হয়।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version