-->
শিরোনাম

আচরণবিধি পালন ও অনিয়ম রোধে মাঠে ম্যাজিস্ট্রেটরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আচরণবিধি পালন ও অনিয়ম রোধে মাঠে ম্যাজিস্ট্রেটরা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি নির্বাচনী অনিয়ম রোধে ৩০০ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান ভোটের দুদিন আগে থেকে ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দিনসহ ৫ দিন দায়িত্ব পালন করতে বাড়তি ম্যাজিস্ট্রেটও নামানো হবে।

 

এছাড়াও ভোটের ১২ দিন আগে মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ২৬ বা ২৭ ডিসেম্বর থেকে ভোটের পর দুয়েকদিন পযন্ত তাদের নিয়োজিত রাখা হতে পারে বলে জানা গেছে। নির্বাচনী এলাকার যাওয়া-আসার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অন্তত ৬ দিনের জন্য স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্স এবং ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা সদস্যদের ভোটের দুদিন আগে মোতায়েনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে কথা হয়েছে। আরও পর্যাযলোচনার পর কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে ডিসেম্বরে পরিপত্র জারি করা হবে। এর বাইরে ‘বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা’ করতে নির্বাচনের আগে এবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইঙ্গিত রয়েছে ইসির।

 

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান প্রতি উপজেলায় একজন, তবে ১৫টির বেশি ইউনিয়ন (পৌরসভাসহ) হলে উপজেলায় দুজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। জেলা সদরের ‘এ’ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের বেশি হলে দুজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০ জন, খুলনা সিটিতে ছয়জন, গাজীপুর সিটিতে চারজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। এ ছাড়া অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

 

ইসি সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বা পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা হাকিমরা (জেলা প্রশাসক) ইসি নির্ধারিত সংখ্যার কমবেশি করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রতি জেলায় জেলা হাকিমের অধীনে অতিরিক্ত এক বা দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রাখার কথা বলা হয়েছে, যেন জরুরি প্রয়োজনে তারা যেকোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

 

সব মিলিয়ে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৭ লাখ সদস্য ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত রাখার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। কবে নাগাদ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে এবং ভোটকেন্দ্রে পুলিশসহ কত সংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত থাকবেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নিয়ে পরিপত্র জারি করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 

ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকও হয়েছে। তাতে বড়দিনের (২৫ ডিসেম্বর) দুয়েকদিন পর নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল টিম নামানোর আভাস মিলেছে।

 

অশোক কুমার দেবনাথ বলেন বলেন, ‘এবার ১৩ দিনের মতো (আসা-যাওয়াসহ) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের একটি অংশ নির্বাচনী এলাকায় রাখা হতে পারে। আরেকটি ধাপে ৬ দিনের জন্য মোতায়েন করা হতে পারে তাদের। এর মধ্যে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা সদস্যদের নির্বাচনের দিনের দুই দিন আগে নিয়োজিত করা হতে পারে।

 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামীকাল বৃহস্প্রতিবার। বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। এরপর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version