দুর্ঘটনার ২৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলরুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে দেওয়ানগঞ্জগামী আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস টঙ্গী স্টেশন ছেড়ে গেছে। এছাড়া সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে দেওয়ানগঞ্জগামী ভাওয়াল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা স্থল অতিক্রম করেছে।
বুধবার ভোররাত ৪ টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের বনখড়িয়া এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- দুর্বৃত্তরা নাশকতা করতে রেললাইনের একটি অংশ কেটে রেখেছিল।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রওহা গ্রামের আসলাম হোসেন (৩৫) নামের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন। এই দুর্ঘটনার পর থেকে এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প হিসেবে এই রুটের ট্রেন ভৈরব লাইন দিয়ে চলাচল করে।
টঙ্গী জংশনের স্টেশন মাস্টার রাকিবুর রহমান ট্রেন চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঢাকা- ময়মনসিংহ রেলরুটে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।’
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, দেওয়ানগঞ্জগামী ভাওয়াল এক্সপ্রেস প্রথমে ঢাকা থেকে টঙ্গী হয়ে জয়দেবপুর পৌঁছে সকাল সাড়ে ৫ টায়। এরপর এই ট্রেন দুর্ঘটনা কবলিত বনখুড়িয়া দিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বলাকা এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা স্থল অতিক্রম করেছে। এখন ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলরুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলো।
ঢাকা রেলওয়ে বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, রেললাইন বসানো হয়েছে। সম্পূর্ণ মেরামত শেষে ট্রেন চালু করা সম্ভব। দুর্ঘটনায় শুধু রেললাইনের বগি-ইঞ্জিনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, পাশাপাশি ৬০০ ফুট রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০০টি স্লিপার পুরোই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ৩০০ ফুট রেললাইনে নতুন করে পাত বসানো হয়েছে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য