-->
শিরোনাম

মহেশখালীর শতবর্ষী শাপলাপুকুর খননে বাঁধা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
মহেশখালীর শতবর্ষী শাপলাপুকুর খননে বাঁধা
মহেশখালীর শাপলাপুকুর

কক্সবাজারের ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের সরকারী খাস খতিয়ান ভূক্ত শাপলা পুকুর খননে বাঁধা দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।

 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরী বলেন, যথাযথ বিধি মোতাবেক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর শতবর্ষী খাস পুকুর খননে ২৮ লক্ষ টাকার টেন্ডার ইস্যু করা হয়। ঠিকাদার কাজ করতে এসে মহেশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ তাসবীর হোসেনের বাঁধার মুখে পড়েন। শতবর্ষী ভরাট পুকুরটির খনন কাজ ব্যাহত হয়। স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী, স্কুল-মাদ্রাসা ও এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষের ব্যবহৃত এই পুকুরে পানি না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

 

এলাকাবাসীর সুবিধার্থে ইউপি চেয়ারম্যান খাল ও পুকুর খনন প্রকল্পের আওতায় তদবীর করে দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পড়ে থাকা পুকুরটি খনন করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ঠিকাদার পুকুর খনন, সিডি ও গাইড ওয়াল নির্মাণের যন্ত্রপাতি ও মালামাল নিয়ে আসেন যথারীতি। কিন্তু কাজ শুরু করতেই পড়ে এসিল্যান্ডের বাঁধা। এমনকি এ পুকুর খননকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে শত শত লোকের সামনে প্রকাশ্যে বাক বিতন্ডা হয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এসিল্যান্ডের মধ্যে।

 

চেয়ারম্যান বলেন, এসিল্যান্ড বাঁধা দেয়ার কারণ হচ্ছে তিনি এ কাজ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে চান।

 

এ বিষয়ে এসিল্যান্ডের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন ধরণের মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

 

চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরীর বলেন, এই পুকুরটি সরকারী খাস খতিয়ান ভুক্ত জমিতে হলে ও এর তত্বাবধানের দায়িত্ব রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের। যে কারণে খাল পুকুর খনন প্রকল্পের আওতায় ২৮ লাখ টাকার টেন্ডার দেয়া হয়। ঠিকাদার হিসেবে খনন কাজের দায়িত্ব গ্রহন করেন, জহির এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সময়মত কাজ শেষ করতে না পারলে টাকা ফেরত চলে যেতে পারে। এতে স্থানীয় পুকুর ব্যবহারকারীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version