ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, শহরে দেখা যায় প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না, নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ থাকে না। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে ও সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পাড়া উৎসবের মাধ্যমের সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হবে।
শনিবার রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের ৩ নম্বর সড়কে পাড়া উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল অসান জুনিয়র, ব্রুনাই দারুসসালামের রাষ্ট্রদূত হাজী হারিস বিন ওসমান, জাপান দূতাবাসের মন্ত্রী (ডিসিএম) তাৎসুয়া মাচিদা, লিবিয়া দূতাবাসের মিনিস্টার প্লেনিপটেনশিয়ারী আবদালফাত্তাহ খিতরেশ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার হেড অব স্কুল জন স্মিথিসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।
ডিএনসিসি উদ্যোগে শুরু হওয়া এ পাড়া উৎসবে ছিলো দেশীয় পিঠার স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো, স্বাস্থ্যসেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্য ইত্যাদি।
এছাড়া, আরো ছিলো উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রং তুলি, ক্যারাম বোর্ড, টেবিল টেনিস দাবাসহ নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। পাশাপাশি স্ট্রিট ফুড, ট্যালেন্ট শো, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি, পথনাটক, খেলাধুলা, ট্রেডিশনাল ও মর্ডান মার্শাল আর্টসের আয়োজন করা হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র আরো বলেন, বর্তমানে আমরা সবাই মোবাইল ফোনে, ইন্টারনেটে ব্যস্ত হয়ে পরেছি। আমাদের সমাজের সবার সাথে সম্পৃক্ততা খুব প্রয়োজন। পাশের বাসার মানুষকে আমরা চিনি না। প্রতিবেশীর বাসায় কি সমস্যা সেটা আমরা জানি না, খোঁজ নেই না। ছোটবেলায় আমরা পাড়ায় পাড়ায় উৎসব করতাম। প্রতিবেশীদের বাসায় হালুয়া, রুটি বিতরণ করতাম। সমাজের সবার মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিলো। ছোটরা বড়দের সম্মান করতাম, দেখলে সালাম দিতাম। ঢাকায় এ ধরনের চিত্র দেখা যায় না। তাই সামাজিক বন্ধন সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এই পাড়া উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন সোসাইটিকে এ ধরনের উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান ।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য