যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন–দুদক। সনদ জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল-আমিন।
মামলার আসামিরা হলেন- সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) যশোর সদর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দা হাসনা হেনা, সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) চৌগাছা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের সাকিব ইসলাম, টেকনিক্যাল অফিসার শ্যামনগর গ্রামের জাহিদ হাসান, সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) চৌগাছা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ও অফিস সহকারী সদরের বিরামপুর গ্রামের সুমন হোসেন।অভিযুক্তরা সবাই বরখাস্তকৃত বলে যবিপ্রবি সূত্রে জানা গেছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জাল করে এবং সনদ জাল জানা সত্ত্বেও তা সঠিক বলে ব্যবহার করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি নেয়। যা দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জাল করে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিলপূর্বক চাকরি নেয়। একইসঙ্গে সরকারি অর্থ বেতন-ভাতাদি হিসেবে উত্তোলনকরত, আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল-আমিন বলেন, ‘যবিপ্রবির বরখাস্তকৃত পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে বিচার হবে।’
উপপরিচালক মো. আল-আমিন আরও বলেন, ‘গত বছরের ৪ ডিসেম্বর যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বাদী হয়ে আসামি হাসনা হেনা, মো. সাকিব ইসলাম, মো. জাহিদ হাসান, মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. সুমন হোসেনের নামে জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন।’
এজাহারে বর্ণিত আসামিরা সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী হওয়ায় এটি দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ বিধায় থানা পুলিশ জিডি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুদক যশোরে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মামলাটি তদন্ত করবেন দুদক যশোরের উপসহকারী পরিচালক চিরঞ্জীব নিয়োগী।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য