-->

গাবতলীতে বাড়িফেরা মানুষের ভিড় বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
গাবতলীতে বাড়িফেরা মানুষের ভিড় বাড়ছে

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। তাই ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে কয়েকদিন ধরেই ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজ গন্তব্যে ছুটছে মানুষ। আজও সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে বাড়িফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

 

রোববার (৭ এপ্রিল) সরেজমিনে গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে সকাল থেকেই বাস টার্মিনালে ভিড় জমাচ্ছেন যাত্রীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর পরিমাণও বাড়ছে। টিকিট কেটে অনেকেই অপেক্ষা করছেন বাস ছাড়ার। কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, সরকারিভাবে ঈদের ছুটি শুরু হলে যাত্রীর পরিমাণ আরও বাড়বে।

 

মাগুরাগামী পূর্বাশা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বশির আহমেদ বলেন, যাত্রীর পরিমাণ ভালোই, সকাল থেকেই টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এখনো তো ছুটি শুরু হয় না, সেটা শুরু হলে যাত্রীর পরিমাণ আরও বাড়বে।উত্তরা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আকরাম বলেন, যাত্রীসংখ্যা ভালোই, তবে আরো বাড়বে বলে আশা করছি। যথাসময়ে আমাদের প্রতিটি বাস ছেড়ে যাচ্ছে।

 

সেবা গ্রিন লাইনের কাউন্টারকর্মী মো. সাকিব বলেন, যাত্রীরা এসে সহজেই টিকিট কাটতে পারছেন, কোনো সমস্যা বা ভোগান্তি নেই। ছুটি শুরু না হলেও ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই আগে আগে চলে যাচ্ছেন। কথা হয় চুয়াডাঙ্গাগামী যাত্রী ফারজানা ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, টার্মিনালে এসে টিকিট কেটেছি, এতো কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। আপাতত বাসের জন্য অপেক্ষা করছি।

 

কুষ্টিয়াগামী যাত্রী রাশেদুল বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়নি। যথাসময়ে বাস ছাড়লে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হব। তবে কোনো কারণে যদি কেউ যথাসময়ে যাত্রা না করেন, সেক্ষেত্রে অগ্রিম টিকিটের টাকা ফেরত বা তারিখ পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন কাউন্টারসংশ্লিষ্টরা।

 

চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের কাউন্টার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের এখন টাইট শিডিউল চলছে। সেক্ষেত্রে বিক্রিত টিকেটের ফেরতের কোনো সুযোগ নেই, এমনকি যদি কেউ নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রা না করেন, সেক্ষেত্রে যাত্রার সময় পরিবর্তনের সুযোগ নেই। কারণ নেক্সট ট্রিপের ক্ষেত্রে পুরো বাস বুকিং হয়ে যায়, অন্য যাত্রী দেয়া সম্ভব হয় না।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version