-->
শিরোনাম

দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে

দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এর আগে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড তাপমাত্রা।

 

একই দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল যশোরের আগে রেকর্ড হওয়া সবোর্চ্চ তাপমাত্রা। এর আগে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায়। সে সময় জেলার তাপমাত্রা ওঠে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার সেই তাপমাত্রা ছাড়াল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে।

 

গত সোমবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঝাঁঝালো রোদ দেখা যায়। তীব্র তাপমাত্রার পাশাপাশি আছে লু হাওয়া। গরম বাতাসে চোখমুখ ঝলসে যাচ্ছে। মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে। ধারণক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি থাকছে হাসপাতালে।

 

স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিনের গরমে রাস্তায় চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে। ফ্যানের বাতাসও অনেক গরম। রাতের বেলায় ফ্যানের বাতাসেও শরীরের ভিজে যাচ্ছে। এ জন্য রাতেও ঘুমাতে পারছেন না তারা। টিউবওয়েলের পানিও অনেক গরম। তাই পানি খেয়েও পিপাসা মিটছে না।

 

শ্রমিকেরা জানান, দিনের বেলায় অতিরিক্ত গরমে কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। রাতে বাড়িতে গিয়েও ঘুমাতে পারছেন না তাঁরা। ফলে পরের দিন আবারও কাজে গিয়ে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। টানা তাপপ্রবহের কারণে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

 

এতে তীব্র গরমে দিনরাত পার করছেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ আরও বেশি। তীব্র রোদ ও গরমের কারণে তারা পর্যাপ্ত আয় করতে পারছেন না।

 

মেহেরপুরের অব্যাহত তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। আবহাওয়া অফিসের হিট এ্যালার্ট সতর্কতার মধ্যেও জীবিকার তাগিদে তপ্তরোদ উপেক্ষা কাজ করছে কৃষক, দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ। ৩ সপ্তাহ ধরে চলমান তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ইরি বোরো ধান, আম লিচু ও শাকসবজি।

 

ফরিদপুরে তীব্র গরমে একটু প্রশান্তি দিতে পথচারিদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও গামছা বিতরণ করেছে জেলা পুলিশ।বৃষ্টির জন্য দোয়া প্রার্থনা করে রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন জেলায় বিশেষ নামাজের আয়োজন করে পৌরসভা।

 

এদিকে, হিট স্ট্েেরাকে রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, ঝিনাইদহ, নাটোর ও মুন্সিগঞ্জে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহীর ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version