-->
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে প্রসাশক নিয়োগ

বিমা সেক্টরে বিদ্যমান আস্থার সংকট দূরীকরণে একটি মাইলস্টোন

হেলাল সাজওয়াল
বিমা সেক্টরে বিদ্যমান আস্থার সংকট দূরীকরণে একটি মাইলস্টোন

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বছরের শুরু থেকেই আলোচনায় দেশের অন্যতম বিমা কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সর্বশেষ বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম ফেরদৌস (অব.) এনডিসি, পিএসসিকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার আদেশ সুপ্রিম কোর্ট বহাল করেছে। আইডিআরএ জানায় বাংলাদেশে বিমা সেক্টরে বিদ্যমান আস্থার সংকট দূরীকরণে এটি একটি মাইলস্টোন হয়ে থাকবে। বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আরও জানায় আর কেউ গ্রাহকের টাকা তছরুপ করার সাহস যেন না পায় সে লক্ষ্যেই কাজ করবে নিয়োগকৃত প্রসাশক। নির্দিষ্ট মেয়াদকালে আরও স্বচ্ছ একটি নিরীক্ষা পরিচালনা করে দোষীদের শাস্তি এবং আত্মসাৎকৃত টাকা ফিরিয়ে এনে গ্রাহকের স্বার্থরক্ষার জন্যই মূলত সোনালী লাইফে প্রসাশক নিয়োগ দিয়েছে আইডিআরএ। নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি জানায় সোনালী লাইফে প্রসাশক নিয়োগ পুরো বিমা খাতের জন্য একটি ম্যাসেজ। এ খাতে আর কোনো দুর্নীতির সুযোগ দেয়া হবে না।

 

গত ২৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এনায়েতুর রহিমের চেম্বারে শুনানি শেষে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে প্রসাশক নিয়োগের চূড়ান্ত আদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে পূণার্ঙ্গ শুনানি করে বিষয়টির নিষ্পত্তির আদেশও জারি করেন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল রোববার বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। সোনালী লাইফ কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ’র এই আদেশের বিরুদ্ধে এক দিন পর হাইকোর্টে রিট করে। রিটের শুনানি শেষে আদালত ৬ মাসের জন্য আইডিআরএ’র আদেশ স্থগিত করেন। আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে হাইকোর্ট বিভাগের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আপিল করা হলে চেম্বার জজ দুই পক্ষের শুনানি শেষে হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশটি স্থগিত করেন। এতে আইডিআরএ’র প্রশাসক নিয়োগের আদেশটি বহাল থাকল। গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ কোম্পানির তৎকালীন চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস কতৃক সিইও মীর রাশেদ বিন আমানকে বহিষ্কার করার পর থেকে একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছে কোম্পানিটি। ভালোই চলছিল সোনালী লাইফ কোম্পানির কার্যক্রম। তবে বিপত্তি বাঁধে হিসাবের গড়মিল বিষয়ে ম্যাবস অ্যান্ড জে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে। ওই অভিযোগের পর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে সোনালী লাইফ কর্তৃপক্ষ। সেই তদন্তে বেরিয়ে আসতে থাকে মীর রাশেদের একের পর এক জালিয়াতি। এ বিষয়ে রাশেদ বিন আমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো তথ্য না দিয়ে উল্টো হুমকি দিতে থাকেন। বন্ধ করে দেন অফিসে আসা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পক্ষ থেকে মূল অভিযোগ বহিষ্কৃত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর রাশেদ বিন আমানের বিরুদ্ধে।

 

যদিও শুরু থেকেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন মীর রাশেদ বিন আমান। উল্টো অভিযোগ করছেন কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। আর তাতে ছয় লাখেরও বেশি গ্রাহকের আস্থার প্রতিষ্ঠানটির সুনাম পড়েছে হুমকির মুখে। যদিও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস শুরু থেকেই গ্রাহকদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেবেন না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়ে আসছেন। কোম্পানির পক্ষ থেকে নিয়োগ করা তৃতীয় পক্ষের তদন্ত এবং রাশেদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রাহক বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের তদন্ত তার কারণে প্রভাবিত হয়েছে; এমন অভিযোগ যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস পদত্যাগ করেন।

 

দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে সোনালী লাইফের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘স্বচ্ছতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সততা ও সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে আমি পদত্যাগ করেছি। নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিরীক্ষা কার্যক্রম নিবির্ঘ্ন করার পাশাপাশি তদন্ত চলাকালীন কোনো প্রভাববিস্তার না করে নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য আমি নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছি।’ মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি। তাঁর ছক অনুযায়ীই সোনালী লাইফের তহবিল তছরুপের অভিযোগ উঠলে গত ৩১ ডিসেম্বর বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) হুদা ভাসিকে নিরীক্ষক নিয়োগ করে। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি সম্প্রতি নিরীক্ষা প্রতিবেদন আইডিআরএর কাছে জমা দিয়েছে।

 

প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইডিআরএ ৪ এপ্রিল সোনালী লাইফের সব পরিচালক এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) জানায়, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তাঁর সহযোগী কিছু পরিচালকের গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস তাঁর স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, জামাতাসহ ৭ জনকে নিয়ে কোম্পানির তহবিল থেকে ১৮৮ কোটি টাকা সরিয়েছেন। দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানির ওপর নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানির তৈরি এক বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। আইডিআরএ জানায়, বিমাকারী ও বিমা গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষার্থে জরুরিভিত্তিতে কোম্পানিটির পর্ষদ ভেঙে দিয়ে এতে প্রশাসক বসানো হয়েছে।

 

প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত আইডিআরএ’র চিঠিতে বলা হয়, গত ১৮ এপ্রিলের শুনানিতে কোম্পানির পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান নূর-এ হাফজা পৃথকভাবে জবাব দাখিল করেন। আর বোর্ডের পক্ষে জবাব দাখিল করেন কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী মনিরুজ্জামান। কাজী মনিরুজ্জামানের জবাবে কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের অনুকূলে ইস্যুকৃত শেয়ারের মূল্য, মাসিক বেতন গ্রহণ, তার নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে অর্থ প্রদান, বিদেশ ভ্রমণ, বিদেশে শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ব্যয়বাবদ অর্থ নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে। তবে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস দাবি করেন, সোনালী লাইফের কাছে তার পাওনা ১৫৮ কোটি ৩৭ লাখ ২৩ হাজার ৩০৫ টাকা। এর মধ্যে জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত অফিস ভাড়া বাবদ ১১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮০০ টাকা, অফিস ভাড়ার বিলম্ব ফি বাবদ পাওনা ২৩ কোটি ১৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৬ টাকা, কোম্পানিকে ঋণ দেয়া বাবদ পাওনা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৪২ টাকা তিনি গ্রহণ করেছেন।

 

তবে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের এই দাবির সাথে কোম্পানির বুক অব একাউন্টস, লেজার সিস্টেম জেনারেটেট ভাউচার, ব্যাংকের এডভাইস চেক ইত্যাদি ডকুমেন্টেসের সাথে কোনো মিল না থাকায় তার এই বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি আইডিআরএ’র শুনানিতে। মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের ভাড়ার টাকা সমন্বয় করার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য না হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বছরভিত্তিক ফ্লোর এরিয়ার চাহিদা নির্ধারণ করে মোট ১৮৪ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ৮০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে ২০১৩ সালে চুক্তি সম্পাদন করা হয়। তবে ভাড়ার ওই চুক্তিতে কোম্পানির পক্ষে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বা চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেননি। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ভবন মালিক মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের জামাতা ও সোনালী লাইফের স্পন্সর পরিচালক শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল।

 

এ ধরণের চুক্তি স্বাক্ষরকে আইডিআরএ অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য ও অপকৌশল বলে মনে করছে। অপরদিকে নূর-এ হাফজা তার জবাবে বলেন, তার নামে ইস্যুকৃত প্লেসমেন্ট শেয়ারের মূল্য তিনি পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। এছাড়া তিনি কোম্পানি থেকে যে পরিমাণ অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন তা পরিশোধ করতে ইচ্ছুক বলেও জানান। আইডিআরএ বলছে, অসম্পূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ বা তথ্য গোপন, অস্বচ্ছ হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি, অভ্যন্তরীণ কন্ট্রোল সিস্টেমের অনুপস্থিতি, ক্যাশ চেকে বড় অংকের লেনদেন, এফডিআর জামানত রেখে বিপুল পরিমাণ ব্যাংক ঋণ গ্রহণ এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কোম্পানিটির ব্যাংক সিগনেটরির প্রায় সকলেই একই পরিবারের সদস্য। এমন অবস্থায় সোনালী লাইফ কর্তৃপক্ষ বিমা কোম্পানিটির কার্যক্রম এমনভাবে পরিচালনা করছে যে, এতে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে কোম্পানি ও বিমা গ্রাহকদের স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এর আগে সোনালী লাইফের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অডিট ফার্ম হুদাভাসী চৌধুরী অ্যান্ড কোংকে নিরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওই তদন্তে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ উঠে আসে। এদিকে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অফিস ভাড়াকে ওই ভবনের ক্রয়মূল্যের অগ্রিম মূল্য পরিশোধ হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক চেয়ারম্যান মুস্তফা গোলাম কুদ্দুস। তার দাবি কোম্পানিটির তৎকালীন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর রাশেদ বিন আমান ‘জালিয়াতির’ মাধ্যমে এটা করেছিলেন।

 

সম্প্রতি কোম্পানির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এই দাবি করা হয়। মুস্তফা গোলাম কুদ্দুস বলেন, মীর রাশেদ বিন আমান তথ্য বিকৃতির মাধ্যমে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রদত্ত অফিস ভাড়াকেই ভবনের ক্রয়মূল্যের অগ্রিম মূল্য পরিশোধ হিসেবে দেখিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের ‘ইম্পিরিয়াল ভবন’ নামে একটি ভবন রয়েছে রাজধানীর মালিবাগে। ওই ভবনেই সোনালী লাইফের প্রধান কার্যালয়। ভবন কেনাবেচার জন্য এর মালিক ও সোনালী লাইফের মধ্যকার দুটি সমঝোতা চুক্তির কপি পায় নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানি। প্রথমটি চুক্তিটি হয় ২০২১ সালে, যাতে ভবনের দাম উল্লেখ করা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০২২ সালে সম্পাদিত দ্বিতীয় চুক্তিতে দাম বলা হয়েছে ১১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। উভয় চুক্তির একটির বিষয়েও পর্ষদের কোনো অনুমোদন ছিল না। অথচ জমি ও ভবন কেনা বাবদ অগ্রিম দেখিয়ে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে সোনালী লাইফের তহবিল থেকে অবৈধভাবে ১৪১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সোয়েটার ক্রয়, আপ্যায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। চিঠিতে আইডিআরএ এসব কথা তুলে ধরেছে। ইম্পিরিয়াল ভবনের জমির মালিকানা ও ভবন নির্মাণের অনুমতি যাচাইয়ের জন্য মূল দলিল, বায়া দলিল, খতিয়ান, নামজারি, ভূমিকর পরিশোধের রসিদ পায়নি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইডিআরএ বলেছে, ৭ কাঠা জমির ওপর ভবন নির্মাণের বরাদ্দপত্র, ইজারা চুক্তি ও ভবন নির্মাণের অনুমোদন নেই। ফলে জমির মালিকানা নিষ্কণ্টক নয় ও ভবনের বৈধতাও প্রশ্নসাপেক্ষ।

 

প্রসাশক নিয়োগ ও তার কার্যকাল সম্পর্কে আইডিআরএ‘র মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম ভোরের আকাশকে জানান, ‘দুই মাসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য কোর্ট আদেশ জারি করেছে। তবে প্রসাশক নিয়োগ দেয়ার পেছনের কারণ হলো দুর্নীতিমুক্ত একটি বোর্ড গঠন এবং কম্পøাযেন্স পরিপালন নিশ্চিত করা। আত্মসাৎকৃত টাকা ফিরিয়ে আনা এবং দোষীদের শাস্তি বিষয়ে আইডিআরএর মুখপাত্র জানান গ্রাহকের টাকা জালিয়াতি করে কেউ পার পেয়ে যাবে তা হয় না। এ সংস্কৃতি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইডিআরএ। আইনগতভাবে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না আইডিআরএ। যেহেতু বিষয়টি এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের।’

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version