ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল দেশের সাধারন মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত হবে আর সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের হাতে নেয়া সার্বজনীন পেনশন স্কীম প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, পেনশন স্কীমের আওতায় আসলে কাউকে ভাতার আশায় থাকতে হবে না। বৃদ্ধ বয়সে পেনশনের টাকা দিয়েই চলতে পারবেন কারো মুখোপেখি হতে হবে না।
আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় গোপালগঞ্জের টুংগীপাড়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় চত্তরে আমার বাড়ী আমার খামার প্রকল্পের অধীনে দারিয়ার কুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সুবিধা ভুগিদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ আর সে জন্য সারাদেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে, খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিশ্চতে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না। ইতোমধ্যে গনভবনে ফাকা যায়গায় চাষাবাদ শুরু হয়েছে টুংগীপাড়া কোটালীপাড়া যে সকল জমি অনাবাদী আছে সকল জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশ আজ ডিজিটাল হয়েছে বলেই মানুষ ঘরে বসে দেশ বিদেশে থেকে আয় করতে পারছে, সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে সাধারন মানুষ ।
আমরা বিজয়ী জাতি আমরা কেন অন্যের কাছে মাথা নিচু করে থাকব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের সম্পদের সঠিক ব্যবহার করে সাবলম্বী হব সে জন্য সকলকে বলব কোন জমি অনাবাদী রাখবেন না। পরিবেশ রক্ষায় পহেলা আষাঢ়ে অন্তত একটি করে গাছ লাগানোর জন্য আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তিনি বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু সহ ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল ও তার স্ত্রী শাহানা ইয়াসমিন সম্পা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৭ টা ৫ মিনিটে গণভবন থেকে পদ্মা সেতু হয়ে সড়ক পথে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সকাল ৯ টা ৫৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের ১ নং গেট দিয়ে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেলা ১১ টায় উপজেলার দারিয়ার কুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মতবিনিময় করেন। পরে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এছাড়া বিকাল পাঁচটায় টুঙ্গিপাড়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে সড়ক পথে গণভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য